কোরবানির পর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘর মাংসে ভরে যায়। তাই তাড়াহুড়া করে মাংস গোছাতে গিয়ে অনেক সময়েই সঠিক নিয়মে মাংস সংরক্ষণ করা হয় না। ফলে মাংস দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়, কালো হয়ে যায় কিংবা স্বাদ ও পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই সঠিক উপায়ে মাংস সংরক্ষণ করা উচিত।

জেনে নিন সঠিক উপায়ে মাংস সংরক্ষণের নিয়ম।

  • মাংস সংরক্ষণের জন্য অবশ্যই ফ্রিজ পরিষ্কার করে নিতে হবে আগেই। তাহলে ফ্রিজে জমে থাকা ময়লা ও জীবাণুর কারণে মাংসের গুনাগুণ নষ্ট হবে না।
  • ফ্রিজের সব বরফ গলিয়ে রাখা যাবে না। ফ্রিজ পরিষ্কারের পরে ফ্রিজে আবার বরফ জমিয়ে নিতে হবে। এতে মাংস দ্রুত ঠাণ্ডা হবে এবং মান ভালো থাকবে।
  • পশু জবাইয়ের সাথে সাথেই মাংস ফ্রিজে না রাখাই ভালো। কারণ এসময়ে মাংস কিছুটা গরম থাকে। মাংসের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা উচিত।
  • মাংস সংরক্ষণ করার আগে অবশ্যই অতিরিক্ত রক্ত ধুয়ে পরিষ্কার করে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। পানি পুরোপুরি ঝরে গেলে পরিষ্কার ব্যাগে ভরে মাংস সংরক্ষণ করতে হবে।
  • একটি মাংসের প্যাকেট রেখে মাঝে কাগজ দিয়ে আরেকটি প্যাকেট রাখা যেতে পারে। এতে দীর্ঘদিন ফ্রিজে থাকলে একটির সাথে আরেকটি প্যাকেট আটকে যাবে না। ফ্রিজ থেকে সহজেই মাংসের প্যাকেট বের করে নিতে পারবেন।
  • মাংস রাখার পরে ফ্রিজের তাপমাত্রা একদম কমিয়ে দিতে হবে। এতে মাংস তাড়াতাড়ি জমবে।
  • ফ্রিজে গরুর মাংস এবং খাসির মাংস পাঁচ থেকে ছয় মাস পর্যন্ত রেখে খাওয়া যায়। তবে কলিজা বেশিদিন ফ্রিজে না রাখাই ভালো। এতে স্বাদ ও গুন নষ্ট হয়ে যায়।

 

 

 

 

ফ্রিজে জায়গা না হলে

  • ফ্রিজে যদি মাংস রাখার জায়গা না হয় তাহলে কিছু মাংস জ্বাল দিয়ে রাখুন। প্রতিদিন জ্বাল দিলে অন্তত চার থেকে পাঁচ দিন মাংস ভালো থাকবে। বিশেষ করে মাংসে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকলে মাংস বহুদিন এভাবে সংরক্ষণ করা যায় এবং খেতেও বেশ ভালো লাগে।
  • রোদে শুকিয়েও মাংস সংরক্ষণ করা যায়। এই পদ্ধতিতে মাংস ছোট টুকরা করে কেটে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনো চর্বি না থাকে। একটি তারে মাংস গেঁথে কড়া রোদে ৬/৭ দিন শুকিয়ে নিতে হবে। এতে মাংসের সব পানি শুকিয়ে যাবে। এই পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা মাংস রান্না করার আগে হালকা গরম পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হয়।

Comments are closed.