আপনি যদি গুহায় বসবাস না করেন তাহলে আপনি কিছুটা হলেও জানেন কীভাবে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করতে হয় যা আমাদের জন্য ভালো । সবুজ শাক-সবজি খাওয়া, মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা । সঠিক সময়ে ঘুমানো, ব্যায়াম করা ও দুশ্চিন্তা কম করা হচ্ছে সুস্থ থাকার অন্যান্য এই গুলোই হচ্ছে মূল উপাদান। কিন্তু এগুলো লেখা যতটা সহজ বা মনে ধারণ করা যতটা সহজ, এগুলো নিয়মিত এইগুলো পালন করা  মোটেই ততটা সহজ নয়। আমরা কতজন এগুলো সত্যি সত্যি বাস্তবে পালন করি বা  করতে পারি?

আসুন জেনে নিই নিজেকে ভালো রাখার ১২টি  কৌশল

 

১. খেতে হবে প্রাকৃতিক খাবার: নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে খেতে হবে সবজি, ফলমূল, টার্কি ও মুরগির মতো চর্বিহীন মাংস এবং পরিমিত পরিমাণ ভাত, রুটি বা অন্যান্য খাদ্যশস্য । মসলাযুক্ত খাবার ও চর্বিযুক্ত মাংস একদম এড়িয়ে চলায় ভালো।

২. সময় পেলেই হাঁটুন: সাধারণত এখন কার সময় আমরা হাঁটতেই চাই না কিন্তু এটা মোটেই ঠিক না । হেঁটে যাওয়া যায় এমন দূরত্বে রিকশা বা গাড়ির পরিবর্তে হেঁটে যাওয়ার অভ্যাস করতে হবে এবং যখনই একটু অবসর সময় পাবেন তখন পার্কে বা ফুটপাতে হাঁটুন এবং ধীরে ধীরে হাঁটার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলুন এতে আপনারই ভালো হবে ।

৩. এলকোহল থেকে দূরে থাকুন: যতটা সম্ভব এলকোহল এড়িয়ে চললে আপনার লিভার ও মানিব্যাগ দুটোই ভালো থাকবে। সুস্থ জীবনও পাবেন আবার টাকাও বাঁচে যাবে ।

৪. বাসা থেকে লাঞ্চ নিয়ে যান: আমরা যারা অফিস করি তারা অফিসের সময় দুপুরে বাইরে না খেয়ে বাসা থেকে লাঞ্চ নিয়ে যাবে এটা শরীরের জন্য ভালো আর এখন তো অনেক অফিসেই লাঞ্চ এর ব্যবস্থা করে থাকে । তাই অনেকেই এই জামেলা থেকে মুক্তি পায় আর যাদের অফিস এ এই ব্যবস্থা নেই তারা বাসার খাবার নিয়ে যাওয়াই ভালো। এক্ষেত্রেও আপনি দুটো সুবিধা পাবেন। একদিকে যেমন টাকা বাঁচবে অন্যদিকে রেস্টুরেন্টের অস্বাস্থ্যকর খাবারও খেতে হবে না সুস্থ থাকবেন ।

৫. ছুটি নিন: আমরা অনেকেই আছি জীবনে কাজ ছাড়া কিছুই বুজিনা বিশেষ করে তাদের বলছি – জীবনটা শুধুই মুখ বুজে মাথা নিচু করে কাজ করার জন্যে নয়। নিয়মিত বিরতিতে ছুটি নিন এতে করে ছুটি শেষে পূর্ণ উদ্যমে কাজে সময় দিন।এর ফলে সময় ও ভালো যাবে আর কাজে মন ও বসবে ।

৬. নেতিবাচক চিন্তা করবেন না:  আমাদের সকলের উচিৎ সবসময় ইতিবাচক থাকা  এবং দেখবেন আপনার চারপাশের সবকিছুই আস্তে আস্তে আরো ভালো হচ্ছে যা আপনার ভালও লাগবে ।

৭. ঝামেলাযুক্ত সম্পর্কের ইতি টানুন: যতটা পারবেন ঝামেলাযুক্ত সম্পর্ক থেকে দূরে থাকুন  কারন এই ধরনের সম্পর্কগুলো আমাদের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। এগিয়ে যেতে হলে এসব সম্পর্ক পেছনে ফেলেই এগিয়ে যেতে হবে এতে করে ভালো থাকবেন ।

৮. প্রযুক্তির জালে ফাঁসবেন না:  বর্তমানযুগে  পৃথিবীতে প্রতিদিনের জীবন প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়েছে আর আমরা এর উপরই নির্ভরশীল  । কিন্তু একাধারে ডিজিটাল মাধ্যমে ডুবে থাকাটা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যে  অনেক ক্ষতিকর। মাঝে মাঝে প্রযুক্তি ব্যবহার থেকে বিরতি নিন এতে করে ভালো হবে ।

৯. শারীরিক কার্যক্রম বাড়ান:  হতে পারে তা সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানো। কিন্তু এই কাজগুলোই আপনাকে মানসিক ক্লান্তি থাকে মুক্তি দেবে এবং ছোটবেলায় ফিরিয়ে নিবে।

১০. পড়ুন: যেকোনো বই পড়ুন। পড়া আমাদের ব্রেইনের জন্যে উদ্দীপনা হিসেবে কাজ করে থাকে ।

১১. নতুন শখ তৈরি করুন: সব সময় কাজ নিয়ে ব্যস্ত না থেকে  পারিবারিক ও পেশার কাজের বাইরে এমন কিছু করুন যা করতে আপনার ভালো লাগে।

১২. মানুষ কি ভাববে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না: আমরা অনেকেই আছি মানুষ কিভাবে তাই নিয়ে ভাবি কিন্তু টা মোটেও ঠিক না আপনি যা, দিনশেষে আপনি তাই-ই। অন্যেরা কী ভাবছে তা নিয়ে আপনার এনার্জি খরচ করার দরকার নেই। নিজের মৌলিক গুণ বা বৈশিষ্ট্যগুলো ধরে রাখুন এবং সবার কাছে আকর্ষণীয় একজন ভালো মানুষ হয়ে উঠুন।


No comments so far.

Leave a Reply