মুখের পাশাপাশি হাত ও পায়ের যত্ন নিতেই হয় আমাদের । তা না করলে  সৌন্দর্য নষ্ট থেকে শুরু করে দেখা দেয় না না রকমের সমস্যা। তার পাঝে অনেকের  পায়ে ফাঙ্গাস পরার কমন সমস্যা তো আছে। তবে আমরা অনেকই মনে করি  হাত পা সুন্দর ও ঠিক রাখার জন্য পার্লারে গিয়ে  পেডিকিউর-মেনিকিউর করাতে হবে আমাদের । আমাদের অনেকের কর্ম ব্যস্তার কারনে পার্লারে গিয়ে  পেডিকিউর-মেনিকিউর  করবো কিন্তু আর করা হয়ে উঠে না । হাত পা সুন্দর ও ঠিক রাখার জন্য পেডিকিউর-মেনিকিউর করাটা জরুরী । তবে পেডিকিউর-মেনিকিউর যে  পার্লারে গিয়েই করাতে হবে এটা ঠিক না। আপনি চাইলে বাড়িতেই বসে করে নিতে পারবেন পেডিকিউর-মেনিকিউর খুবই সহজে ।

যা যা লাগবে:
পায়ের গোড়ালি যাতে ডোবে এমন একটি বড় পাত্র  বা গামলা
ব্রাশ
নেইল কাটার
ফাইলার
বাফার
কিউটিকল কাটার
শ্যাম্পু
নেল পলিশ রিমুভার
পেট্রোলিয়াম জেলি/ লোশন
লেবু এবং চালের গুঁড়া, শসা গাজরের রস মিশিয়ে বানানো স্ক্রাব করা যায় ।

যেভাবে করবেন:
. পায়ে যদি  নেইলপলিশ লাগানো থাকলে তা উঠিয়ে ফেলুন।
. গামলায় কুসুম গরম পানি নিয়ে এতে  শ্যাম্পু মেশান। তারপর  এতে ৫-৭  মিনিট হাত ও পা ভিজিয়ে রাখুন। পায়ে ব্যথা থাকলে পানিতে একটু লবণ ছিটিয়ে নিলে ভালো হবে ।
. এবার  পা মুছে নখগুলো  কেটে নিন। কিউটিকলে সমস্যা থাকলে কিউটিকল কাটার দিয়ে সাবধানে অতিরিক্ত কিউটিকল সরিয়ে নিতে হবে ।
. এখন  ঝামাপাথর দিয়ে পায়ের নিচে ও গোড়ালি ঘষে নিন। এতে করে পায়ের মরা চামড়া উঠে যাবে সহজে ।
. তারপর  নখে পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে আবার ভিজিয়ে রাখুন ৫ মিনিট । এরপর ম্যাসাজ করে পরিষ্কার করে নিন। একটি শুকনা তোয়ালা দিয়ে পা মুছে ফেলুন আস্তে আস্তে ।

. তারপর  আসবে স্ক্রাবের পালা। প্রথমে পায়ে স্ক্রাব মেখে রাখুন ৫  মিনিট। এখন  ম্যাসাজ করে নিন ২-৩  মিনিট, তারপর আস্তে আস্তে ব্রাশ দিয়ে ঘষে পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

. তারপর আবার পা ধুয়ে এবার নখে ও আঙুলে লেবুর রস মেখে পরিষ্কার করে নিন। চাইলে নখ চকচকে করতে বাফার ঘষে নিতে পারেন। সবশেষে পা ধুয়ে মুছে ময়েশ্চারাইজার বা লোশন লাগিয়ে নিন ।

ব্যাস হয়ে গেল পেডিকিওর। ঠিক একইভাবে করে  হাতেও সেরে নিন মেনিকিউর। প্রথমে পেডিকিউর করার পর মেনিকিউর, এতে করে  হাতে বাড়তি চাপ পড়বে না। মাসে দুবার পেডিকিউর মেনিকিউর করলে হাত ও পায়ের কালো দাগ দূর হয়ে যায় খুব সহজে এজন্য আর পার্লারে যেতে হবে না ।

 


No comments so far.

Leave a Reply