নারীদের মুখের অবাঞ্ছিত  লোম  বাধা হয়ে দাঁড়ায় সৌন্দর্যতার পথে। মুখের পশম শরীরের অন্যান্য অংশে পশম হওয়ার মতই স্বাভাবিক। তবে অনেকেরই পশম স্বাভাবিকের চেয়ে তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে।  ফলে সব সময় পার্লার গিয়ে থ্রেডিং অথবা ফেসিয়াল ওয়্যাক্সিং করিয়ে থাকেন। কিন্তু নিয়মিত  পার্লার গিয়ে করানো সম্ভব হয়ে উঠে না ব্যস্ততার কারনে  । এমন একটি উপায় আছে যাতে, পার্লার যাওয়ারও কোন প্রয়োজন পড়বে  না, আবার ঘরে বসেই ফেসিয়াল হেয়ার রিমুভ সম্ভব। ব্যবহার করুন ফেসিয়াল হেয়ার রেজার। রেজারের  শুনে ভয় পাচ্ছেন? ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই রেজার মুখের লোম  দূর করার জন্যই তৈরি করা হয়েছে ।

ফেসিয়াল হেয়ার রেজর কেন ব্যবহার করবো?
১. কোনো রকম ইচিং ছাড়াই ঝটপট সমাধান

ফেসিয়াল হেয়ার রিমুভার গুলো বিশেষ করে আমাদের ফেইস  ত্বককের  জন্যই  তৈরি করা হয়েছে । তাই এটি ফেইসকে  একদমই রাফ করে না। কাজ করে খুব তাড়াতাড়ি  এবং স্মুথলি। ব্যবহার করার পর ফেইস কোন খসখসে ভাব অনুভব হয় না। তো ভয় পাওয়ার কিছু নেই ।

২. একই সাথে করা যাবে আপারলিপ এবং আইব্রো হেয়ার রিমুভ

নারীদের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে আপারলিপ এবং আইব্রো প্লাক করার ট্রেন্ড কিন্তু বহুকাল ধরেই । আমরা মেয়েরা মাসে ১ বার কি ২ বার আপারলিপ এবং আইব্রো প্লাক করে থাকি , প্রতিনিয়ত তা ঠিকমত মেইনটেইন করা না হলে ফেইস দেখতে  কিন্তু  খুবই বাজে লাগে। একই রেজার  দিয়েই যখন প্রয়োজন নিজেই ঘরে বসে করে নিতে পারেন আপারলিপ এবং আইব্রো প্লাক খুব সহজে।

৩. পেয়ে যাবেন খুবই রিজনেবল প্রাইসে

আপনি যে কোন মার্কেটে এখন অনেক ধরণের ফেসিয়াল রেজার  পাওয়া যায়। ফেসিয়াল রেজার   দাম  খুবই কম । যে কেউই খুব সহজেই কিনতে পারবে, ফেসিয়াল রেজার ১ টা  সিঙ্গেল বা সেট দুই ভাবেই মার্কেটে এখন পেয়ে যাবেন। অনেক ব্র্যান্ডের মধ্যে আপনার স্কিন বুঝে পছন্দ অনুযায়ী বাছাই করে কিনে নিতে পারবেন কোনো ঝামেলা ছাড়াই।

৪. একাধিকভাবে ব্যবহার উপযোগী 

ফেসিয়াল রেজার   অনায়াসে ৪ থেকে ৫ বার ব্যবহার করতে পারবেন। আর যদিআপনি  একটি সেট কিনে ফেলেন তাহলে তো কথাই নেই কয়েক মাসের জন্যে একদম নিশ্চিন্ত থাকা যাবে।

যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে
  •  যখনই ফেসিয়াল ব্যবহার করবেন তখন  হেয়ার রিমুভের সময় কোনো রকম তাড়াহুড়া করা যাবে না। তাড়াহুড়া না করে আস্তে আস্তে এক সাইড থেকে সাবধানে ব্যবহার  করতে হবে।
  • ফেসিয়াল হেয়ার রেজার  ব্যবহারের পূর্বে ফেইস একদম শুষ্ক থাকলে, তাতে হালকা একটু ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে নিতে হবে। এতে ব্যবহারের সময় স্কিন অনেকটাই কোমল  থাকবে।
  • মনে রাখবেন সবচেয়ে ভালো হয় যদি গোসলের পর পর ফেসিয়াল হেয়ার রেজার  ব্যবহার করেন , তখন স্কিন তুলনামূলকভাবে নরম থাকে।
  • ফেসিয়াল হেয়ার রেজার ব্যবহার করার পর অবশ্যই আবারও একটি ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ত্বকে লাগিয়ে নিতে হবে।এতে ত্বক ভালো থাকবে।
  • মনে রাখতে হবে অবশ্যই ব্যবহার করার আগে ও পরে অ্যালকোহলজাতীয় কিছু দিয়ে ফেসিয়াল হেয়ার রেজারটি ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে।

 

 


No comments so far.

Leave a Reply