মাছে ভাতে বাঙ্গালী হলেও আমার ভাতের সাথে বিভিন্ন উৎসবে নানান রকমের  ভর্তা খেতে পছন্দ করি। তাই আজ আমরা বিভিন্ন ভর্তার  রেসিপি জানবো।

১) মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা

উপকরণঃ
১) মিষ্টি কুমড়া ২ কাপ,

২) পেঁয়াজ কুঁচি ২ টা,
৩) লবণ পরিমাণমতো,

৪) কাঁচামরিচ ৫-৬ টা (কুচি করা বা চাইলে সেদ্ধ করে নিতে পারেন ),
৫) সরিষার তেল পরিমাণ মতো।

প্রণালীঃ

প্রথমে মিষ্টি কুমড়া খোসা ছাড়িয়ে কেটে ধুয়ে পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে । এরপর মিষ্টি কুমড়া বাদে সব উপকরণ এক সাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিন। এবার সেদ্ধ করা মিষ্টি কুমড়ার সাথে  সব উপকরণ খুব ভালো করে মেখে নিন। হয়ে গেল মজাদার মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা।

 

২) ডিম আলু ভর্তা

উপকরণ:

ডিম ২/৩ টি, আলু ২ টি, পেয়াজ কুচি পরিমান মত ,  ৬/৭ টি শুকনা মরিচ, ধনিয়া পাতা কুচি ৩/ ৪ টেবিল চামচ, জিরা সামান্য পরিমান ,  সরিষা তেল ২/৩ টেবিল চামচ, লবণ পরিমান মতো।

প্রণালী:

প্রথমে ডিম ও আলু সেদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর শুকনা মরিচ ভেজে নিতে হবে। জিরা ভেজে নিতে হবে। এবার একটি পাত্রে পেয়াজ কুচি, মরিচ মেখে নিয়ে সেদ্ধ আলু, ডিম দিয়ে মেখে ধনিয়া পাতা, জিরা, সরিষা তেল লবণ মেখে নিন। ব্যাস হয়ে গেল মজাদার ডিম আলু ভর্তা।

 

৩) চিংড়ি শুটকির ভর্তা

উপকরণ:

ছোট চিংড়ির শুটকি ২৫০-৩০০  গ্রাম, কাচা/শুকনা মরিচ ৬/৭  টা ,পিঁয়াজ ২/১ কাপ,ধনে পাতা ২-৩ টেবিল চামচ।

প্রণালী:

সর্ব প্রথম চিংড়ি শুটকি খুব ভাল করে বেছে ধুয়ে একটি পাত্রে অল্প তেলে মাঝারি আঁচে মচমচা করে ভেজে নিতে হবে।পিঁয়াজ, মরিচ, এক সাথে মাঝারি আঁচে বাদামী রং করে ভাঁজতে হবে।এরপর ধনে পাতা ভাল করে ধুয়ে কুচি করে কাটুন।এবার পাটায় ভাজা পিঁয়াজ কুচি, মরিচ ও ভাজা চিংড়ি শুটকি বেটে নিন যাতে খুব মিহি না হয়।এবার বাটা চিংড়ি, পিঁয়াজ, মরিচের সাথে ধনে পাতা কুচি/বাটা হাতে মলে মিশিয়ে ফেলুন। ব্যস হয়ে গেল মজার চিংড়ি শুটকি ভর্তা।গরম ভাতের সাথে খেতে খুব মজা লাগবে ।

 


No comments so far.

Leave a Reply