আমাদের দ্রুত প্রবহমান জীবনের তালে আমরা এতটাই ব্যস্ত যে নিজেদের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে ভাববার অবকাশ নেই বললেই চলে। শরীর যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝা যায় যখন কোনোরকম অসুস্থ হই । শীত এসে গেছে । সুস্থ থাকার জন্য মাত্র কয়েকটি বিষয় যদি মেনে চলি তাহলেই হয়তো অনেকটাই সুস্থ থাকতে পারবো । একদিকে ত্বক অন্যদিকে ঠোঁট শীতে খুব বেশি আক্রান্ত হয়। আর হজমের সমস্যার মূলে হল এই সময়কার Food Habit । কারণ গরম গরম চপ ,কাটলেট , চাউমিন , দোসা , সিঙ্গারা থেকে শুরু করে নানা মুখরোচক খাবার । ফ্রেন্ডদের অনুরোধ উপেক্ষা করাও কঠিন । তাই নিচের কয়েকটি বিষয় মেনে চলো দেখবে ভালো থাকবে এবং ভালো লাগবে ।

১. রোজ একটি করে কমলালেবু :

এ কথা নিশ্চয়ই বলার দরকার নেই যে যেকোনো seasonal fruit কতটা উপকরি । কমলায় থাকে আন্টি- অক্সিডেন্ট আর ভিটামিন সি । যা শরীরকে তরতাজা রাখবে আর স্কিনের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখবে।

২. সকালে এক চামচ মধু :

এক গ্লাস কুসুম গরম জলের সঙ্গে এক চামচ মধু খুব উপকার করবে । শরীর গরম রাখবে । আর যদি সর্দি কাশির ধাত থাকে তবে অবশ্যই খাওয়া দরকার। আর এর আন্টি ব্যাক্টিরিয়াল উপাদান সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।

৩. একটি ডিম প্রতিদিন :

প্রতিদিনের মেনু তে একটি ডিম রাখা দরকার। কাউকে ডিমের উপকারিতা খোলসা করে আর বলে দেবার দরকার নেই। ক্যালসিয়াম , আয়রন , জিঙ্ক , ফসফরাস , নানা মিনারেল, এমাইনো এসিড সহ প্রয়োজনীয় ভিটামিন শীতের সময় নানা সংক্রমণ থেকে দূরে রাখবে ডিমের মধ্যে থাকা এইসব বিভিন্ন উপাদান ।

৪. চা :

সাধারণ চা নয় , গ্রিন টি । চা প্রেমীরাও দিনের তালিকায় আজই গ্রিন টি যোগ করে নাও। কারণ এর আন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান তোমায় সুস্থ রাখতে পারবে আশা করা যায়।

৫. শীতের সবজি :

শীতের প্রায় সমস্ত সবজি ঘুরিয়ে মেনু বদলে খাবার তালিকায় রাখবে। এখানে তাজা সবজির উপকারিতার কথা বলার দরকার আছে কী !

৬. স্নান করা ও হাত মুখ ধোয়া :

হা হা হা । বলতেই কেমন লাগে , কিন্তু ডাক্তারবাবুর কথামতো এ কথা মানতেই হবে । শীতের ঠান্ডায় প্রথমত শরীর শুষ্ক থাকে , দ্বিতীয়ত নানা ব্যাক্টিরিয়া জীবাণু আস্তানা গারে হাতে পায়ে , বিশেষত মোজার আড়ালে । তাই সাবান দিয়ে ভালো করে হাত মুখ ধোয়া দরকার। আর স্নান ; কুসুম গরম জলে স্নান করলে ফ্রেশ লাগবে । শরীর চনমনে থাকবে। মনে রাখা ভালো শরীর সবসময় চায় শরীরের তাপমাত্রার সমান তাপমাত্রার জলের ব্যবহার ।

৭. ভালো ময়শ্চরাইজার ক্রিম :

সঙ্গে অবশ্যই পছন্দসই ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করবে। যারা বাইরে যাও তারা সঙ্গে বা ব্যাগ এ এটা রাখবে । হাত মুখ ধুয়ে ব্যবহার করবে । ঠোঁট এর জন্য একটা লিপ বাম জাতীয় কিছু বা গ্লিসারিন জাতীয় কিছু রাখো। অন্তত প্রতি 3 ঘন্টা অন্তর মুখ0 ধুয়ে ব্যবহার করলে ঠোঁট ফাটার সম্ভাবনা থাকবে না ।

৮. আমলা জুস :

যারা মোবাইল বুকের উপর নিয়ে বেশি রাত জাগো আর যাদের সর্দিকাশির ধাত রয়েছে কিংবা যাদের হজম এর সমস্যা বা গ্যাস এসিডিটির সমস্যা আছে তারা আমলা জুস কিনে নাও। রোজ সকালে 30ml ( বয়স অনুসারে কমবেশি হতে পারে । কিন্তু ক্ষতি নেই সামান্য কমবেশিতের প্রাকৃতিক গুনমান ঠিক থাকলে )

৯. মাস্ক ব্যবহার :

শুস্ক আবহাওয়া বলে খুব ধুলো বাতাসকে ভারাক্রান্ত করে রাখে যা খালি চোখে দেখাই যায় না। ফুসফুস এর বা স্বাস প্রশ্বাস জনিত কোনো সমস্যা না থাকলেও মাস্ক এর ব্যবহার সুস্থ ও আরামদায়ক অবস্থায় রাখতে পারে।

১০. হালকা এক্সারসাইজ :

হাঁটা বা হালকা এক্সারসাইজ , ডিপ ঘুম , হাসিখুশি থাকা শুধু শীত কেন সারা বছরই প্রয়োজন ।

ব্যস্ত জীবনের স্বাস্থ্য ভাবনায় খুব সংক্ষেপে টিপসগুলো দেয়া হলো । কারো শরীরে কোনো বিশেষ অসুখ বা সমস্যা থাকলে কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নেবে । আর খু উ উ উ উ উ উ ব ভালো থাকবে।

 


No comments so far.

Leave a Reply