সকালের আলো-বাতাস যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ভালো তেমনি সকালবেলার নাস্তাটাও শরীরের পক্ষে খুবই দরকারি। আজকাল অনেকেই ডায়েট কন্ট্রোল করার নামে সকালের নাস্তাকে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেয়। বিশেষ করে আজকালকার তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই বদ্ধমূল ধারণাটি প্রচণ্ডভাবে লক্ষ্য করা যায়।গবেষকদের মতে, এই প্রবণতার ফলে ওজন ঝরা ও ফিটনেস আসার পরিবর্তে উল্টো শরীরে মেদ জমে যায়। এ যেন কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসার মতো। ব্রেকফাস্ট বা সকালের নাস্তা বাদ দেয়ার ফলে আপনার যেসব ক্ষতি হতে পারে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল-

 

> ওজন বেড়ে যাওয়াঃ নাস্তা না করলে ওজন কমার বদলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। কারণ ক্ষুধা লাগলে তখন আপনি প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলবেন যা আপনার উপকারের বদৌলতে অপকারই করবে। এই বিষয়ে বিজ্ঞানীরা বলেন, ৩ বেলা পেট ভরে না খেয়ে আপনি ঐ খাবার অল্প অল্প করে ৫ বেলা খান। ফলে খাবার হজম হওয়ার যথেষ্ট সময় পায় ফলে আর মেদ-চর্বি শরীরে জমতে পারে না।

> ডায়াবেটিসঃ সকালের নাস্তা নিয়মিত বাদ দিলে আপনার ইনসুলিনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফলে টাইপ টু ডায়াবেটিসসহ বহু জটিল রোগ হতে পারে।

> হৃদরোগঃ  ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে হাইপার টেনশন, ওবেসিটি, হাই ব্লাড সুগার, হাই কোলেস্টেরলের প্রবণতা বেড়ে যায় যা হৃদরোগের সম্ভাবনাকে অনেকগুন বাড়িয়ে তোলে।

> মাইগ্রেন সমস্যাঃ নিয়মিত নাস্তা না করলে পানিরও ভারসাম্যহীনতা ঘটে। যা আপনার মাইগ্রেন সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।

> মেজাজ হারানোঃ সকালে যদি নাস্তা না করে আপনার কর্মজীবন শুরু করেন তবে তার ফলও খুব একটা সুখকর নয়। পেট খালি থাকার ফলে আপনার ব্রেইন সহজভাবে কাজ করতে পারবে না। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাবে। আপনার এনার্জিতে ঘাটতি পড়বে, অবসাদ ঘিরে ধরবে এবং আপনার স্মৃতিশক্তি কমে আসবে। ফলে আপনি কারণে অকারণেই মেজাজ হারাবেন।

তাই জীবনের প্রতিটা মুহূর্তকে মূল্য দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে সকালের নাস্তার কোন জুড়ি নেই।

 


No comments so far.

Leave a Reply