আমাদের দেশে ছোট মাছ বা গুঁড়া মাছ বেশ জনপ্রিয় সকলের কাছে । ছোট মাছ আকারে ছোট হলেও পুষ্টিতে ছোট নয়। পুষ্টিগুণের দিক থেকে বিচার করলে দেখা যায়, বড়, মাঝারি বা ছোট মাছে কোনো তফাৎ নেই।  আমাদের দেশে নানা ধরনের ছোট মাছ পাওয়া যায়। পুঁটি, ট্যাংরা, মলা, ঢেলা, কাচকি, ফলি ইত্যাদি মাছ  সবার কাছেই জনপ্রিয়। অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ডিম ছাড়ার আগমুহূর্তে মাছে অসম্পৃক্ত বা উপকারী চর্বির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। এ ছাড়া ছোট মাছে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। আয়রন, প্রোটিন, ফসফরাস, উৎস ছোট মাছ। তবে অধিকাংশে  আয়োডিনের পরিমাণ কম থাকে। আসুন আমরা জেনে নিই কয়েকটি উপকারী ছোট মাছের কথা-

 

ছোট মাছ কেন খাবেন

ছোট মাছ খেলে – ছোট মাছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই বললেই চলে। মাছ খেতে হবে কাঁটাসহ এবং চিবিয়ে।এতে করে  পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ছোট মাছের অসম্পৃক্ত চর্বি উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ রোগ থেকে আপনার শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে । তাই আমাদের সকলের উচিত  ছোট মাছ নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা ।এতে করে আমরা শরীর সুস্থ রাখতে পারব ।

 

 

ছোট মাছের উপকারিতা-

১)  ছোট মাছে আছে প্রচুর পরিমাণ  ক্যালসিয়াম। কাঁটাসহ ছোট মাছ ক্যালসিয়ামের এক অনন্য মাধ্যম । মলা, ঢেলা, চাঁদা, ছোট পুঁটি, ছোট চিংড়ি, কাচকি ইত্যাদি জাতীয় মাছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন ‘এ’ থাকে । এতে করে শরীর সুস্থ থাকবে । মানবদেহে দৈনিক প্রচুর ক্যালসিয়ামের চাহিদা থাকে। ছোট মাছ বিশেষ করে খেতে হবে যাদের  বাড়ন্ত শিশু, গর্ভবতী মা এবং প্রসূতি মায়েদের ক্যালসিয়ামের চাহিদা আরও বেশি তাই ছোট মাছ খাওয়া জরুরী ।প্রতিটা মানুষের  হাড় ও দাঁত গঠনে ক্যালসিয়াম অত্যন্ত প্রয়োজন । তাই প্রতিদিন আমাদের  ছোট মাছ খাওয়া দরকার ।

২)  উঠতি বয়সী শিশুদের জন্য ছোট মাছ খুবই প্রয়োজন । ছোট মাছে আছে  প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন-সি ইত্যাদি, এগুলো শারীরিক গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে খুব ।

৩) ছোট মাছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-এ থাকে যা রাতকানা, অন্ধ হয়ে যাওয়া ছাড়াও দৈনন্দিন অনেক শারীরিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে । শিশুদের রাতকানা রোগ ঠেকাতে ভিটামিন-এ দরকার  মলা, ঢেলা ও গুঁড়া মাছ খাওয়াবেন। দৃষ্টিশক্তির জন্যও গুঁড়া মাছ খুবই দরকার ।

৪)  যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ আছে তারা  গুঁড়া মাছ  খেলে উচ্চ রক্তচাপ  কমাতে সাহায্য করে থাকে ।

৫)  ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খনিজ লবণ দরকার তারা ছোট বা  গুঁড়া মাছ খেলে  উপকার পাবেন । হৃদরোগী, স্ট্রোকের রোগী ও গর্ভবতী মা ও দুগ্ধদানকারী মায়ের জন্য ছোট বা  গুঁড়া মাছ খুবই উপকারী ।

আমাদের মাথায় রাখতে হবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ছোট মাছ রাখা । পরিবারের সবাই এই খাবারে অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে অনেক সমস্যায় সমাধান হবে । এতে আপনার পরিবার অনেক রোগ থেকে রেহাই পাবে। অনেক সময় দেখা যায় যে পরিবারের ছোট সদেস্য ছোট মাছ খেতে চায় না । তাকেও ছোট মাছ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে ।

 


No comments so far.

Leave a Reply