বাচ্চার বয়স ৬ মাস হলে প্রত্যেক মায়ের উচিত বুকের দুধের পাশাপাশি তার শিশুকে অন্য কোন পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো। কিন্তু বাজারে যে সব খাবার পাওয়া যায় টা কত টুকু নিরাপদ?  এটটুকু শিশুর জন্য কোন রিস্ক নেয়া চলবে না। দায়িত্ব নিতে হবে আপনাকেই।

আপনি অনেক রকরমের সবজি একসাথে দিয়ে বাচ্চার জন্য সবজি খিচুরী রান্না করে দিতে পারেন। অনেক অল্প সময়ে পুষ্টিকর খাবার তৈরি করে আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন।

 

চাল, ডাল সবজি এবং তেল ব্যবহার করে তৈরি করা সবজি খিচুড়ি একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। এটি একটি প্রধান খাবার যা শিশুদের প্রয়োজনীয় শক্তির চাহিদা পূরণ করার জন্য পর্যাপ্ত ক্যালোরি সরবরাহ করে । এছাড়াও চাল এবং ডালকে একত্রিত করার ফলে এদের সম্পূরক বৈশিষ্ট্যের কারণে এতে আমিষের গুনগত মান বেড়ে যায়।

রান্নায় ব্যবহৃত তেলের কারণে শক্তির ঘনত্ব বেড়ে যায় এবং এটি সবজি হতে প্রাপ্ত ভিটামিন ও বিটা ক্যারোটিনের শোষণকে বাড়িয়ে দেয়।

উপকরন ঃ

  • চাল- ২ মুঠো ,
  • মসুরের ডাল- ১ মুঠো ,
  • বাদাম গুড়ো- ১ চা চামচ,
  • গাজর কুচি- ১ টেবিল চামচ,
  • বরবটি কুচি- ১ টেবিল চামচ,
  • পালং শাক কুচি- ১ টেবিল চামচ,
  • পেয়াজ- ১ টি (মাঝারি সাইজের),
  • তেল- ১ টেবিল চামচ,
  • চিনি- ১ চামচ,
  • আদা, রসুন বাটা ও হলুদের গুড়ো- সামান্য পরিমানে,
  • পানি ২ কাপ (পরিমান মত)

প্রস্তুত প্রনালি ঃ

  • চাল এবং ডাল ভালোমত পরিষ্কার করে ধুয়ে ফুটানো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।। ১০ মিনিট পর ভালোমত পানি ঝরিয়ে নিন।
  • বাদাম হাল্কা ভেজে নিয়ে গুড়া করে নিন।
  • সব শাকসবজি এবং পেঁয়াজ ভালোমত ধুয়ে কেটে নিন।
  • একটি রান্নার পাত্রে তেল গরম করুন। তেল গরম হলে এতে পেঁয়াজ কুচি, আদা-রসুন বাটা দিন।
  • পেঁয়াজ এবং মশলা সামান্য ভেজে এতে চাল ডালের মিশ্রণ ঢেলে দিন। কিছুক্ষন নাড়াচাড়া করুন। স্বাদ অনুযায়ী হলুদ গুড়া এবং সামান্য লবন যোগ করুন। আবার অল্প আঁচে কিছুক্ষন (১-২ মিনিট) নাড়াচাড়া করুন।
  • চাল ডাল সামান্য ভাজা হলে এতে প্রয়োজনমত পানি (সম্ভব হলে গরম পানি) যোগ করুন। এবং রান্না হওয়ার জন্য পাত্রটি একটি পরিষ্কার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
  • চাল এবং ডাল অর্ধেক সিদ্ধ হয়ে এলে এতে সবজিগুলো সব ঢেলে দিন। ভালোমত নাড়াচাড়া করুন যাতে সবগুলো উপকরণ একসাথে মিশে যায়। পাত্রটি আবার ঢেকে দিন।
  • সবগুলো উপকরণ ভালোমত সিদ্ধ হয়ে গেলে চামচ দিয়ে ভালো ভাবে নেড়ে গলিয়ে নিন। বাচ্চার গিলতে সুবিধা হবে।
  • ১ চামচ চিনি দিয়ে নেড়ে নিন ( চিনি খিচুড়ির স্বাদ বাড়াবে )।
  • চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।
  • প্রয়োজনে খিচুড়ি চামচ দিয়ে সামান্য ডলে নরম করে নিন এবং শিশুকে পরিবেশন করুন।

 

এই ভাবে প্রস্তুত করা খিচুড়ি আপনার শিশু কে ২/৩ বার খাওয়াতে পারবেন। তবে , এর বেশি না খাওয়ালেই ভালো। এই খিচুড়ি টি আপনার শিশুকে সঠিক পুস্টি দেবে।

পাশাপাশি শিশুকে নিয়মিত বুকের দুধ পান করান।

Make Baby Food At Home 


Comments are closed.