কাঠ বাদাম – Almond , খাবার হিসেবে কাঠবাদামের জনপ্রিয়তা দিনদিন বেড়েই চলেছে। কাঠ বাদাম খাওয়ার পিছনে অবশ্য যুক্তিগত  কারণও রয়েছে।

কাঠবাদাম ওজন কমাতে সাহায্য করে। শরীরের ফোলাভাব কমায়।কাঠবাদাম যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে।এইসব কথা বিশ্বাস হচ্ছে না? সত্যি বলছি, কাঠবাদামের অনেক উপকারিতা রয়েছে । ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে ভরপুর কাঠবাদাম রান্না করে খেলেও উপকার। কাঠবাদাম তো ক্ষীর বা পায়েসের উপর গার্নিশ করেও খাওয়া যায়।

 

হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে: অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, বাদামে উপস্থিত ফসফরাস শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু ধরনের কাজ করে যার প্রভাবে হাড়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে বহু গুণ। তাই প্রতিদিন যদি অভ্যাস করা যায় বাদাম খাওয়ার তাহলে হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে ।

মস্তিস্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:  কাঠ বাদামে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই পরীক্ষার  সময় যদি  ছাত্রছাত্রীদের নিয়ম করে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করে তাহলে মস্তিস্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ।

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে: পুষ্টিবিজ্ঞানীরা গবেষণায় করে দেখেছেন, বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।তাই বাদাম খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেক ।

ওজন নিয়ন্ত্রণের সহায়ক: যারা নিয়মিত খায় তারা বলতে পারবে বাদাম খাওয়ার পর ক্ষিদে একেবারে কমে যায়। ফলে মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কম থাকে  । সেই সাথে  শরীরে প্রয়োজন অতিরিক্ত ক্যালরি জমে ওজন বাড়াতে  সম্ভাবনাও কমে থাকে ।

কোষের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: বাদামে থাকা প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ই যা  শরীরের প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে থাকা কোষের কর্মক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটানোর সাথে সাথে  শরীরে যাতে কোনও ক্ষতের সৃষ্টি হয় না , সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে বয়স বাড়লেও শরীরের উপর এর কোনও প্রভাব পরতে দেয় না।

হজম ক্ষমতার উন্নতি: বহু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পানিতে ভেজানো বাদাম খেলে দেহের ভিতরের  বিশেষ কিছু এনজাইমের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায় , যার প্রভাবে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সাথে  গ্যাস-অম্বলের প্রকোপও কমে যায় অনেক ।

আমাদের মধ্যে অনেকেই ভাজা বাদাম খেতে পছন্দ করেন কিন্তু পুষ্টিবিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বলছেন ভাজা বাদামের চেয়ে কাঁচা বাদামের পুষ্টিগুণ বেশি।

 


No comments so far.

Leave a Reply