শীতকালটি অন্য সব ঋতু থেকে আলাদা। এ সময় চুলের রূক্ষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়াও রয়েছে কয়েকটি অযাচিত ঝামেলা, যা থেকে চুলকে রক্ষার জন্য বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। শীতকালে চুলের যত্নে কয়েকটি টিপস

 

১. আমাদের সবারই উচিৎ ভালো মানের একটি শ্যাম্পু ব্যবহার করা। তবে অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রতিদিন নয় বরং ২/৩  দিন পর পর শ্যাম্পু করুন। তবে আমাদের যেহেতু প্রতিদিন বাড়ির বাইরে যেতে হয় চুলে  ধুলোবালির কারণে যদি অতিরিক্ত ময়লা হয়ে যায় তখন প্রয়োজনের ভিত্তিতে শ্যাম্পু এক দিন পর পর ব্যবহার করতে হবে। তাই শিতকালে কনকনে ঠাণ্ডা কিংবা গরম পানি নয়, বরং কুসুম গরম (দেহের তাপমাত্রার) পানি ব্যবহার করুন।

২. চুলের যত্নে ভালো মানের  কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিবার চুল ধোয়ার পর সুবিধামতো একটি কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এটি চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াবে ও চুল ভেঙে যাওয়া রোধ করবে খুব সহজে ।

৩. অনেকেই আছে চাকুরীজীবী তেমন ভাবে চুলের যত্ন নিতে পারে না তারা সপ্তাহে একবার করে হেয়ার ট্রিটমেন্ট মাস্ক ব্যবহার করুন। এতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।চুল হবে ঝলমলে।

 

৪.শীত কালে  হেয়ারড্রায়ার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন । জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করলেও তা যেন বাড়তি গরম ও বাড়তি শুষ্ক না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ রাখুন।

 

৫.আমরা অনেকেই আছি যে ভেজা চুল নিয়ে বের হয়ে যাই । ভেজা চুল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হবেন না। ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় চুলের ক্ষতি হতে পারে।

 

৬.চাকুরীজীবী অনেকেই আছে যারা চুলের কালিং কিংবা স্ট্রেইটনার ব্যবহার করেন তাহলে চুলের ক্ষতি এড়াতে প্রয়োজনীয় কন্ডিশনার ও স্প্রে ব্যবহার করুন।যাতে করে চুলের ক্ষতি না হয় ।

 

৭. হারবাল তেল বা নারিকেলের মতো প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করুন। চুলের ময়েশ্চার ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে তেল। সপ্তাহে ১বার হট অয়েল ট্রিটমেন্ট করতে পারেন।

 

৮.বেশির ভাগ মহিলাদের চুলের ডগা ফেটে যায় তারা  নিয়মিত চুলের ডগা ছেটে চুল ফেটে যাওয়া রোধ করুন। সেক্ষেত্রে প্রতি ৫/৬ মাস পর পর এ কাজটি করতে পারেন।

 

৯. শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে চুল ঠিক রাখতে প্রয়োজনে স্কার্ফ ব্যবহার করুন।

 

১০. শীতের শুষ্ক বাতাসে বাইরে ঘোরাঘুরি করলে চুল বেঁধে রাখুন। এ সময় চুল বেশি ক্ষণ ছেড়ে রাখলে তা রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।


No comments so far.

Leave a Reply