kata-jolpaier-achar কাটা-জলপাইয়ের-আচার@chuijhal.com

জলপাই 

জলপাই  একটি গ্রীষ্মকালীন ফল । জলপাই গাছ মাঝারি আকারের হয়ে থাকে , এটি ১০ থেকে ১২ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে ।  শীতকালে পাতা ঝরে পড়ে , ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে নতুন পাতা আসে ।  সেই সঙ্গে আসে ছোট ছোট সাদা ফুল । একটি ফলের ওজন ১৫.৭৮ থেকে ২২.৪৬ গ্রাম ,  , দৈর্ঘ্য  ৪.০৭ থেকে ৪.৪৯ সে:মি: ,  ব্যাস ২.৬২ থেকে ২.৮৯ সে:মি: হয়ে থাকে । ফলের রং হয় গাঢ় সবুজ ,  একটি বীজ থাকে ফলের মধ্যখানে ,  বীজের চারপাশ ঘিরে থাকে টক-মিষ্টি স্বাদের শাঁস।

kata-jolpaier-achar কাটা-জলপাইয়ের-আচার@chuijhal.com
উৎপাদন

জলপাই প্রথম উৎপাদিত হয় ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং এই সব অঞ্চলেই এই ফলের চাষ শুরু হয় । বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় জলপাইয়ের চাষ হচ্ছে ও অধিক পরিমানে চাষ করা হচ্ছে ।

 

চাষ প্রক্রিয়া

 

জলপাই চাষের জন্য  বন্যার পানি জমে না এমন উঁচু বা মাঝারী উঁচু জমি নির্বাচন করে আগাছা পরিষ্কার করে চারা রোপন করতে হয় । মে-অক্টোবর মাস চারা রোপণের উপযুক্ত সময় ।  তবে পানি সেচের সুব্যবস্থা থাকলে সারা বছরই চারা রোপণ করা যেতে পারে। কলম রোপণের অন্তত ১৫-২০ দিন পূর্বে সোয়া ২৩ ফুট ×  সোয়া ২৩ ফুট দূরত্বে সোয়া তিন ফুট ×  সোয়া ৩ ফুট ×  সোয়া ৩ ফুট আকারের গর্ত করে উন্মুক্ত অবস্থায় রাখতে হবে ।  কলম রোপণের ১০-১৫ দিন পূর্বে গর্ত প্রতি ১৫-২০ কেজি পচা গোবর , ৩০০-৪০০ গ্রাম টিএসপি , ২৫০-৩০০ গ্রাম পটাশ , ২০০ গ্রাম জিপসাম ও ৫ ০ গ্রাম দস্তা সার গর্তের মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে গর্ত বন্ধ করে রেখে দিতে হবে ।  মাটিতে রসের ঘাটতি থাকলে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। গর্ত ভর্তির ১০-১৫ দিন পর নির্বাচিত চারাটি গর্তের ঠিক মাঝখানে এমনভাবে বসাতে হবে , যেন চারার গোড়া ঠিক খাড়া থাকে এবং কোনভাবে আঘাত পাবার সম্ভাবনা না থাকে ।  চারা রোপণের পরপর পানি দিতে হবে এবং খুটিঁ ও বেড়ার ব্যবস্থা করতে হবে । তারপর ১-২ দিন পর পর পানি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

 

জলপাইয়ের পুষ্টিগুণ

 

জলপাই হচ্ছে টক জাতীয় একটি ছোট ফল। এর খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। এই আঁশ নিয়মিত খাবার হজমে সাহায্য করে ।  পাশাপাশি পাকস্থলী , ক্ষুদ্রান্ত , বৃহদান্ত , কোলনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এই ফল ।  শুধু ফল হিসেবে নয় , এর তেলও খুব স্বাস্থ্যকর ।  কাঁচা জলপাইয়ে রয়েছে বেশি পুষ্টি । এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক জলপাইয়ের কিছু গুণাগুণ-

হৃদযন্ত্রের যত্নে জলপাই যখন কোনো মানুষের রক্তে ফ্রির্যা ডিকেল অক্সিডাইজড কোলেস্টোরেলের মাত্রা বেড়ে যায় তখন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে। জলপাইয়ের তেল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় । জলপাইয়ের এ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তের কোলেস্টেরেলের কমায়। ফলে  হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায় ।

 

২. ক্যান্সার প্রতিরোধে জলপাই  কালো জলপাই ভিটামিন ই এর বড় উৎস ।  যা কিনা ফ্রির্যাডিকেলকে ধ্বংস করে । ফলে শরীরের অস্বাভাবিক ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে । শুধু তাই নয় , জলপাইতে রয়েছে মনোস্যাটুরেটেড ফ্যাট ।   জলপাইয়ের ভিটামিন ই কোষের অস্বাভাবিক গঠনে বাধা দেয় ।  ফলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে  ।

 

৩. ত্বক ও চুলের যত্নে জলপাই কালো জলপাইয়ের তেলে রয়েছে ফ্যাটি এসিড ও এ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা কিনা ত্বক ও চুলের যত্নে কাজ করে । জলপাইয়ের তেল চুলের গোড়ায় লাগালে চুলের গোড়া মজবুত হয় । এতে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা দূর হয় । জলপাইয়ের ভিটামিন ই ত্বকে মসৃনতা আনে । এছাড়া ত্বকের ক্যানসারের হাত থেকেও বাঁচায় জলপাই । সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকের যে ক্ষতি হয় তাও রোধ ক রে জলপাই ।

 

৪. হাড়ের ক্ষয়রোধ করে জলপাই  এর মনোস্যাটুরেটেড ফ্যাটে থাকে এন্টি ইনফ্লামেটরি । রয়েছে ভিটামিন ই ও পলিফেনাল । যা কিনা অ্যাজমা ও বাত-ব্যাথা জনিত রোগের হাত থেকে বাঁচায় । বয়সজনিত কারণে অনেকেরই হাড়ের ক্ষয় হয় । এই হাড়ের ক্ষয়রোধ করে জলপাইয়ের তেল  ।

 

৫. পরিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে জলপাই নিয়মিত জলপাই খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে । খাবার পরিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে জলপাই । শুধু তাই নয় , গ্যাস্ট্রিক ও আলসারে হাত থেকেও বাঁচায় জলপাই । জলপাইয়ের তেলে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে ।  যা বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে ।

 

৬. আয়রনের বড় উৎস জলপাই কালো জলপাই আয়রনের বড় উৎস ।  রক্তের লোহিত কনিকা অক্সিজেন পরিবহন করে ।  কিন্তু শরীরে আয়রনের অভাব হলে শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয় ।  ফলে শরীর হয়ে পড়ে দূর্বল ।  আয়রন শরীরের অ্যানজাইমকে চাঙ্গা রাখে ।

 

৭. চোখের যত্নে জলপাই:  জলপাইয়ে ভিটামিন এ পাওয়া যায় । ভিটামিন এ চোখের জন্য ভালো । যাদের চোখ আলো ও অন্ধকারে সংবেদনশীল তাদের জন্য ঔষধের কাজ করে জলপাই । এছাড়াও জীবাণুর আক্রমণ , চোখ ওঠা , চোখের পাতায় ইনফেকশনজনিত সমস্যাগুলো দূর করে এই জলপাই ।

 

৮. বিভিন্ন রোগ দূর করে জলপাই সংক্রামক ও ছোঁয়াচে রোগগুলোকে রাখে অনেক দূরে । নিয়মিত জলপাই খেলে পিত্তথলির পিত্তরসের কাজ করতে সুবিধা হয় । পরিণামে পিত্তথলিতে পাথরের প্রবণতা কমে যায় । এই তেলে চর্বি বা কোলেস্টেরল থাকে না । তাই ওজন কমাতে কার্যকর । যেকোনো কাটা-ছেঁড়া , যা ভালো করতে অবদান রাখে ।  জ্বর , হাঁচি-কাশি , সর্দি ভালো করার জন্য জলপাই খুবই উপকারী।

 

৯.রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় জলপাই  জলপাইয়ে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে , যা দেহের ক্যান্সারের জীবাণুকে ধ্বংস করে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে বাড়ায় দ্বিগুণ পরিমাণে ।

jol-pai জল-পাই

জলপাইয়ের উপকারিতা

 

জলপাই শুধু খেতেই সুস্বাদু নয় । নিয়মিত জলপাই খেলে পেতে পারেন এমন সব উপকারিতা যেগুলো প্রতিটি স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ চায় । চলুন , দেখে নেয়া যাক জলপাইয়ের এমন কিছু উপকারিতার কথা-

 

১. ক্যান্সার প্রতিরোধে  কালো জলপাই ভিটামিনেরই ভালো উৎস । জলপাইতে আছে মনোস্যাটুরেটেড ফ্যাট । জলপাইয়ের ভিটামিন ই কোষের অস্বাভাবিক গঠনে বাধা দেয় । ফলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে ।

২. হৃদযন্ত্রের উপকারিতা  যখন মানুষের হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে চর্বি জমে , তখন হার্টএ্যটাক করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে । জলপাইয়ের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হার্ট ব্লক হতে বাধা দেয় ।  জলপাইয়ে রয়েছে মোনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট , যা আমাদের হার্টের জন্য খুবই উপকারী ।

৩. ওজন কমাতে  যখন জলপাইয়ের মোনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট অন্য খাবারে বিদ্যমান স্যাচুরেটেড ফ্যাটের বদলে গ্রহণ করা হয় তখন তা দেহের ভেতরের ফ্যাট সেলকে ভাঙতে সাহায্য করে । জলপাইয়ের তেলেও রয়েছে লো কোলেস্টেরল যা ওজন এবং ব্লাডপ্রেশার কমাতে সহায়ক ।

৪. আয়রনের উৎস  জলপাই বিশেষ করে কালো জলপাই আয়রনের উৎস , আয়রন আমাদের দেহে রক্ত চলাচল করাতে সহায়তা করে  , আর প্রাকৃতিক আয়রনের উৎসের জন্য জলপাই-ই সেরা।

৫. অ্যালার্জি প্রতিরোধে গবেষণায় দেখা গেছে , জলপাই অ্যালার্জি প্রতিরোধে সহায়তা করে । জলপাইয়ে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা ত্বকের ইনফেকশন ও অন্যান্য ক্ষত সারাতে কার্যকরী ভুমিকা রাখে।

৬. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে  জলপাইয়ে যে খাদ্য আঁশ আছে তা মানুষের দেহের পরিপাক ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং হজমে সহায়তা করে ।

৭. ত্বক ও চুলের যত্নে  কালো জলপাইয়ের তেল আছে ফ্যাটি এসিড ও এ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা কিনা ত্বক ও চুলের যত্নে কাজ করে । জলপাইয়ের ভিটামিন ই ত্বকে মসৃনতা আনে । চুলের গঠনকে আরও মজবুত করে । ত্বকের ক্যানসারের হাত থেকেও বাঁচায় জলপাই  । সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকের যে ক্ষতি হয় তা রোধ করে জলপাই ।

৮. চোখের যত্নে   জলপাইয়ে ভিটামিন এ পাওয়া যায় ।   ভিটামিন এ চোখের জন্য ভালো  । যাদের চোখ আলো ও অন্ধকারে সংবেদনশীল তাদের জন্য ওষুধের কাজ করে জলপাই ।

 

সংগ্রহ

 

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাছাই করে সেরা মানের হৃষ্টপুষ্ট জলপাই গুলো সংগ্রহ করে আচার তৈরি করা হয় ।

 

আচারের উপাদান

 

জলপাইয়ের আচার তৈরি করতে যা যা লাগে-

টুকরো করে কাটা জলপাই , খাঁটি সরিষার তেল , পাঁচফোড়ন গুড়া ,গরম মশলা গুড়া , লবণ , চিনি , শুঁকনো মরিচ গুড়া , সিরকা ।

 

আচারের উপকারিতা

 

জলপাইয়ে রয়েছে বহুবিধ উপকারিতা ।  খাবার কিংবা ঔষধ দুভাবেই জলপাইকে চালিয়ে দেয়া যায়। সম্প্রতি একদল গবেষক গবেষণা শেষে জলপাইয়ের সাত ধরণের উপকারিতার কথা বলেছেন। তাই হৃদরোগ , ক্যান্সার , চর্ম রোগ সারাতে জলপাইয়ের আচার খেতে পারেন ।

 

এই মজাদার ও পুস্টিগুন সমৃদ্ধ আচারটি  পেতে কল করুন-

০১৭১১৩০৫৮৮৯ এই নাম্বারে ।

এবং ক্লিক করুন-

কাটা জলপাইয়ের আচার ২৫০ মি লি

https://chuijhal.com/product/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%B2%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-jolpai-pickle-250ml/

কাটা জলপাইয়ের আচার ৫০০ মি লি

কাটা জলপাই এর আচার (jolpai Pickle) ৫০০ মিলি জার

 

 

 


Comments are closed.