শীতের শুষ্ক আবহাওয়ার প্রভাব শুধু ত্বকেই নয় চুলের উপর ও পড়ে। চুল  হারায় তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা এবং দুর্বল হয়ে ভেঙ্গে পড়ে। তাই শীত কালে ত্বকের পাশাপাশি চুলের ও নিতে হয় বিশেষ যত্ন।

শীতকালে চুলের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে খুসকি। মাথার তালুর সাদা শুষ্ক ত্বকের স্তরই হচ্ছে খুসকি। এই সময়ের আর্দ্রতাহীন আবহাওয়ার কারনে এই সমস্যা আরো বেড়ে যায়। চুলের বিশেষজ্ঞদের মতে এই সময় চুলে ড্রায়ার ব্যবহার না করাই ভালো কারন এতে সমস্যা আরো বাড়তে পারে।

কুসুম গরম তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করা বেশ ভালো একটি উপায়। মাথার তালুতে ভালো করে লাগিয়ে কিছুক্ষন মেসেজ করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।

শীতকালে চুলের উজ্জলতা কমে গিয়ে জট পাকিয়ে থাকার কারন শুধুমাত্র আবহাওয়া নয় অন্যান্য কারন ও এর সাথে জড়িত। গরম কাপড়ের ঘষা লাগা, মাথায় টুপি, মাফলার প্যাঁচানোর ফলেও চুলের উজ্জলতা হারায় এবং ক্ষতি হয়।

কখনোই খুব গরম পানিতে চুল ধোয়া ঠিক নয়। যার ফলে চুলের রুক্ষতার পরিমান বাড়ে। চুল ধোয়ার ক্ষেত্রে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। চুল আঁচড়ানোর ক্ষেত্রে শক্ত ব্রাশ বা চিরুনি ব্যবহার করা যাবে না। চুলের মসৃনতা বজায় রাখতে ভালো কোম্পানির চুলের সিরাম ব্যবহার করতে পারেন।

চুল ভালো ভাবে আঁচড়ে নিয়ে চুলের গোঁড়ায় মধু লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। তারপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এই প্রক্রিয়াতে চুল পুনর্গঠিত হয় এবং চুল হয় উজ্জ্বল ঝলমলে। এটি চুলের ক্ষতি বন্ধ করার একটি উত্তম প্রক্রিয়া।

শীতকালে চুল ধোয়ার পর বেশির ভাগ সময়ই সঠিকভাবে চুল শুকায় না। অনেকেই ভেবে থাকেন একটু ভেজা অবস্থায় চুল বেঁধে ফেললে হয়তো সমস্যা হবে না। কিন্তু এই কাজটা করা আসলে চুলের জন্য ক্ষতিকর। ভেজা চুল বেঁধে রাখা বেশির ভাগ চুলের সমস্যার মূল কারন। তাই কখনোই চুল পুরোপুরি ভাবে না শুকালে বা সামান্য ভেজা থাকলেও চুল বাধা যাবে না। ফ্যানের বাতাসে পুরোপুরি শুকানোর পরই চুল বাঁধুন।

চুলের যত্ন নেয়ার সব উপকরণ এক সাথে পেতে ক্লিক করুন 

 


Comments are closed.