শীতকাল চলে গেসে বলে কি আপনাদের গুড় খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে?একে বাড়েই না থামাবেন না, অন্তত নিজেকে সুস্থ্য রাখতে প্রতিদিন গুড় খাওয়ার অভ্যাস করুন । চিনির চেয়ে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হচ্ছে খেজুরের গুড়। আমাদের সবাইকেই সুস্থ্যভাবে ‘বাঁচতে হলে জানতে হবে’ গুড় খাওয়ার উপকারিতা।
এবার জানুন এই সস্তা গুড়ের কত অনবদ্য সব গুণ!
১) কোষ্ঠকাঠিন্যের যম
গুড় হজমশক্তি বাড়ায়। সেই সাথে এর ভিতরে থাকা শর্করা কোষ্ঠও সাফ করে। যারা দীর্ঘ দিনধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগছেন তারা ,রোজ ১ চামচ গুড় খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন তাহলে আপনাকে স্বস্তি দিবে ।
২) লিভার ভাল রাখে
খেজুরের গুড় লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে । ফলে, শরীর থেকে বের করতে চাইলে রোজ ১ চামচ বা ১ কামড় গুড় হতে পারে আপনার সহায়ক ।
৩) সর্দি-কাশি তাড়ায়
অনেকের যে শুধু শীত কালেই সর্দি-কাশি হয় তা কিন্তু নয় অনেকের আবার গরমেও সর্দি-কাশি সমস্যা লেগেই থাকে । খেজুরের গুড় সর্দি-কাশিও তাড়ায়। সর্দি হলে একটু গুড় খেয়ে দেখুন। স্বস্তি পাবেন নিমিষেই ।
৪) রক্ত পরিষ্কার রাখে
খেজুরের গুড় যেহেতু লিভার থেকে ক্ষতিকর জীবাণু বের করে দেয়, সেই সাথে রক্তও পরিস্কার রাখতে সাহায্য করে ।
৫) শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
খেজুরের গুড় কোষ্ঠ পরিস্কার করে, রক্ত পরিস্কার রাখে। ফলে, আপনার শরীরের প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়তে সাহায্য করে ।
৬) শরীর পরিস্কার রাখে
খেজুরের গুড় খেলে শুধু লিভারই নয়, তার পাশাপাশি অন্ত্র, ফুসফুস এবং শরীরের অভ্যন্তরের অনেক যন্ত্রই পরিষ্কার রাখে সাহায্য করে ।
৭) মেনস্ট্রুয়াল ব্যথা কমায়
বেশির ভাগ নারীদের পিরিয়ড সময় পেটে ব্যথা হয়, তারা সেই সময়ে খেজুরের গুড় খেয়ে দেখতে পারেন। সাথে সাথে স্বস্তি পাবেন ব্যথা অনেক টাই কমে যাবে ।
৮) রক্তাসল্পতা রোধ করে
খেজুরের গুড় হিমোগ্লেবিনের সংখ্যা বাড়ায়! ফলে, রক্তাসল্পতা রোধে এর বিকল্প নেই বললেই চলে । খেয়ে দেখতে পারেন প্রমান পাবেন।
৯) মিনারেল ম্যাজিক
খেজুরের গুড় শরীরের মিনারেলের ঘাটতি পূরণ করে বহু গুন । ১০-১২ গ্রাম গুড় প্রায় ১৬ মিলিগ্রাম মিনারেলের জোগান দেয়।
১০) স্টমাক ঠাণ্ডা রাখে
খেজুরের গুড় সারা শরীর তো ঠাণ্ডা করে তো বটেই, সেই সাথে বিশেষ করে স্টমাক ঠাণ্ডা রাখে। ফলে, কর্মক্ষমতা বাড়ে বহু গুন ।
১১) প্রেসার নিয়ন্ত্রক
খেজুরের গুড়ে সোডিয়াম আর পটাসিয়াম থাকে, যার ফলে ব্লাড প্রেসারের ভারসাম্য বজায় রাখে সাহায্য করে ।
১২) শ্বাসকষ্ট কমায়
খেজুরের গুড় যেহেতু শরীর ঠাণ্ডা রাখে, সেহেতু আপনা থেকেই শ্বাসকষ্টে মেলবে স্বস্তি । অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিসের মতো অসুখে ভোগেন তারা রোজ গুড় খেলে উপকার পাবেন ।
১৩) গাঁটের ব্যথা কমায়
গাঁটের ব্যথায় খেজুরের গুড় খেলে স্বস্তি এনে দেয়। যাদের ১ গ্লাস দুধের সাথে খান দেখবেন উপকার পাবেন ।
১৪) মেদ ঝরায় গুড়
খেজুরের গুড় খেলে শরীর থেকে বাড়তি মেদ ঝরাতে খুবই সাহায্য করে। ফলে, রোজ খেজুরের গুড় খাওয়া অভ্যাস করতে পারেন এবং খেলে শরীর ঝরঝরে থাকে।
১৫) ক্লান্তি নিরোধক
খেজুরের গুড় নিয়মিত খেলে শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে, শ্বাসকষ্ট কমিয়ে, মেদ গলিয়ে শরীরকে ঝরঝরে রাখে।যার ফলে, কর্মক্ষমতা যেমন বাড়ে, তেমনই ক্লান্তিও কমে বহুগুণ ।