flax-seed তিসি-বীজ

তিসি বীজ

যার ইংরেজি নাম ফ্লেক্স সিড। আমরা যাকে তিসি হিসেবেই চিনে থাকি।

তিসি বীজ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভালো একটি খাবার।

তিসি বীজ ফাইবার, ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিডের প্রধান উৎস।

আমাদের দেশে বাদামি ও হলুদ রঙের তিসি বীজ বেশি পাওয়া যায়।

আপনি কি জানেন ছোট্ট এই বীজের অসাধারণ স্বাস্থ্যগুণ?  চলুন তবে দেখে নেয়া যাক তিসি বীজের কিছু স্বাস্থ্যকথা।

flax-seed তিসি-বীজ

তিসি বীজ উচ্চমাত্রার আঁশ এবং কম শর্করাযুক্ত: 

তিসিবীজে একধরনের জেলির মত খাদ্য আঁশ থাকে, যা পানিতে দ্রবণীয় তাই এটি শরীরের আভ্যন্তরীণ অঙ্গের জন্য অবিশ্বাস্য রকমের উপকারী।

যা পাকস্থলীকে দ্রুত খালি করতে সাহায্য করে যার ফলে পুষ্টি উপাদান দেহে ভালো ভাবে শোষিত হতে পারে।

তিসিবীজে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় দুই ধরনের আঁশ থাকায় তা কোলনের বিষাক্ততা দূর করতে সাহায্য করে, ওজন কমাতে এবং চিনি খাওয়ার ইচ্ছাকে কমাতে সাহায্য করে।

 

সুন্দর ত্বক ও চুলের জন্য: 

তিসি আমাদের চুল ও ত্বকের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি শস্য। 

স্বাস্থ্যবান ত্বক, চুল ও নখ পেতে প্রতিদিনের পানীয়তে ১ টেবিল চামচ তিসির তেল রাখুন।

২ টেবিল চামচ তিসিবীজ রাখুন প্রতিদিনের খাওয়াতে।

তিসিবীজে থাকা আলফা লিনোলেইক এসিড ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাট সরবরাহ করে।

যা ত্বকের রুক্ষতা ও শুষ্কতা দূর করতে সাহায্য করে।

ত্বকের অ্যাকজিমা, ব্রনের সমস্যা দূর করে এটি।

নিয়মিত এটি খেলে ত্বক এবং চুল আভ্যন্তরীণ ভাবে স্বাস্থ্যবান হয়। 

এটি ব্রণ ও যেকোন চামড়া জাতীয় রোগ প্রতিরোধ করে।

এটি মাথায় খুশকি হতে দেয় না এবং মাথার ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ঠিক রাখে।

ওজন কমাতে:

তিসিবীজে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও আঁশ আপনাকে অনেক্ষন পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয়।

যার ফলে কম ক্যালরি গ্রহণ করা হয় এবং ওজন কমে।

ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডের ALA অর্থাৎ আলফা লিনোলেইক এসিড শরীরের উদ্দীপ্ততা কমাতে সাহায্য করে।

উদ্দীপ্ত শরীরের সব সময় প্রবণতা থাকে অতিরিক্ত ওজন ধরে রাখার।

তাই ওজন কমাতে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় স্যুপ, সালাদ ও যেকোনো পানীয়ের সাথে কয়েক চা চামচ তিসিবীজ রাখুন।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে: 

তিসিবীজের দ্রবণীয় আঁশ চর্বি ও কোলেস্টেরলকে হজমতন্ত্রের মাঝে এমন ভাবে আঁটকে ফেলে,

যে আর দেহে শোষিত হতে পারে না।

গবেষণা থেকে জানা গেছে, তিসিবীজ প্রাকৃতিক ভাবে আমাদের শরীরের HDL গুড কোলেস্টোরাল বাড়ায় এবং খারাপ কোলেস্টোরালকে কমায়।

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তিসি রাখুন।

এতে করে রক্তের কোলেস্টোরলের মাত্রা কমে যাবে।

গ্লুটেন ফ্রি: 

তিসিবীজ গ্লুটেন বা আঠালো সমৃদ্ধ খাবার গুলোর চমৎকার বিকল্প হতে পারে।

কারন গ্লুটেন সমৃদ্ধ খাবার গুলো প্রদাহী অপরদিকে তিসি হচ্ছে প্রদাহবিরোধী।

তাই যাদের সিলিয়াক ডিজিজ বা বা গ্লুটেন অ্যালার্জি রয়েছে তাদের জন্য তিসিবীজ হতে পারে চমৎকার একটি খাবার।

আবার যাদের সামুদ্রিক মাছের ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডে অ্যালার্জি রয়েছে তাদের জন্য ও চমৎকার বিকল্প হতে পারে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে:

তিসিবীজ রক্তে চিনির মাত্রা কমায় যা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখে। 

যারা ডায়াবেটিসের রোগী তাদের ইনসুলিন নেয়ার প্রয়োজন নেই যদি এই তিসি সেবন করে থাকেন দৈনিক অন্তত ১৫-২০গ্রাম তিসি।

আর যাদের ডায়াবেটিস নেই তারা যদি এটি গ্রহণ করে তবে তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।

হজম ক্রিয়াকে উন্নত করে:

শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত মেদ কমায়। 

তিসিবীজে থাকে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ যা হজম ক্রিয়াকে উন্নত করে। 

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে প্রাকৃতিকভাবে মুক্তি পেতে ১-৩ টেবিল চামচ তিসির তেল ২৫০ মিলি বা ১ কাপ গাজরের জুসের সাথে নিয়মিত গ্রহণ করলে উপকার পাওয়া যায়।

এটি সর্বোচ্চ ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধও খাবার।

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে:

তিসিবীজ স্তন, প্রোস্টেট, ওভারিয়ান এবং কোলন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে।

তিসিবীজে থাকা ৩ ধরনের লিগ্নান্স, দেহে থাকা হরমোনের প্রাকৃতিক ভারসাম্যতা বজায় রাখে যা স্তন ক্যান্সারেরঝুঁকি কমায়।

তিসির বীজ যেমন উপকারি তেমনি তিসির তেল ও অনেক উপকারি ত্বকের জন্য।

flax-seed-oil তিসি-বীজের-তেল



তিসির তেল

ত্বকের কোমলতা ফিরিয়ে আনতে ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন তিসির তেল। এতে ত্বকের ভাঁজগুলো ধীরে ধীরে কমে যায়। তিসির তেল খেতেও পারেন। এতে মেধা বাড়ে। চোখের দৃষ্টির জন্যও ভালো।

তেলের ব্যবহার শুধু খাওয়া আর রূপচর্চায় সীমাবদ্ধ নেই। এখন মনকে প্রফুল্ল করতেও তেলের ব্যবহার দেখা যায়। তেলের সঙ্গে বিভিন্ন গাছের ফুল, লতাপাতা, মূলের নির্যাস মিশিয়ে এখন তৈরি করা হচ্ছে এসেনশিয়াল অয়েল। সুগন্ধির পাশাপাশি বেশ উপকারীও এটি। আমরা তেলের সঙ্গে বিভিন্ন ভেষজ উপাদান ও সুগন্ধি যোগ করে পেতে পারি সজীবতা ও সতেজতা। যেমন-
 লবঙ্গ, রোজমেরি, লেবু একসঙ্গে তেলে মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলে সতেজ হওয়া যায়। জায়ফল, কমলা, ভ্যানিলা একসঙ্গে তেলে মিশিয়ে ম্যাসাজ করে আপনার স্নায়ুবিক চাপ কমিয়ে ফেলতে পারেন।
 ক্যামোমাইল, ল্যাভেন্ডার, গোলাপের নির্যাস তেলে মিশিয়ে শরীরের আবর্জনা দূর করুন।ত্বকের উজ্জ্বলতা আনতে তেলে লেবুর নির্যাস ও জেসমিন যোগ করে ম্যাসাজ করতে পারেন।
নানারকম এসেনশিয়াল অয়েল পাবেন যেকোনো সুগন্ধির দোকানেই। এছাড়া নানা বিউটি পার্লারেও এসব তেল কিনতে পাওয়া যায়

 

ঘরে বসে তিসির বীজ ও  তিসির তেল পেতে ক্লিক করুন

অথবা কল করুন 01752805798


Comments are closed.