চুইঝালের নতুন আচার! চলে এসেছে আমড়ার আচার!
কথা দিচ্ছি এক বসায় এক বোতল সাবাড় করতে পারবেন! ঘরে তৈরি প্রিজাভেটিভ মুক্ত আচার তাই স্বাস্থ্যকর এবং রুচি বর্ধক। আমি গত বছর প্রথম খেয়ে আবার প্রেমে পড়ে যাই!
ঘটনাটা বলি তাহলেঃ
আমাদের অফিসে এক্সিকিউটিভ হিসেবে সবে ছেলেটা জয়েন করেছে। এর মধ্যে পরীক্ষার ছুটি নিয়ে ৩ দিনের জন্য গ্রামের বাড়ি যায়। আর ফেরার সময় সাথে নিয়ে আসে নিজেদের গাছের আমড়া। আমি কাঁচা আমড়া খুব একটা খাইনা তাই দেখে এমন একটা এক্সসাইটেড হইনি। আমার বউ ভালো করে যানে আমাকে কিভাবে খাওয়তে হয়। নাইলে আর আমার ওজন বিয়ের পর ২২ কেজি কিভাবে বাড়লো! বিয়ের সময় ছিলাম ৫২ কেজি আর এহন্ন ৭৪ কেজি। পুরোটাই তার হাতের রান্নার কুফল (সুফল)। কুফল বললে চাকরি থাকবেনা!
বিকালের দিকে অফিসে বসে নিয়মিত কাজ করছি আর এর মাঝে বউ হাজির হল হাতে এই আচারের প্লেট নিয়ে। আমি এখন তেমন আর অবাক হইনা এতো নিত্য দিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আমার টেবিলে রেখে কি একটা জরুরি কাজে চলে গেলো।
টেস্ট করার জন্য আঙ্গুলের ডগায় করে সামান্য একটু মুখে দিতেই আমি আবার প্রেমে পড়ে যাই। তোমাকে কিভাবে বলি যতবার তুমি নতুন নতুন রান্নার ডিস নিয়ে হাজির হয়েছো আমি ততবার তোমার প্রেমে পড়েছি। এর ১০ মিনিটের মধ্যে প্লেট সাবাড় করে আমি আমার কাজ করে চলেছি।
প্রায় ২০ মিনিট পর বউ এসে বলে টেস্ট করছো! হায়রে তুমিতো পুরো প্লেট সাবাড় করে দিয়েছো। যে ছেলেটা আমড়া নিয়ে আসছে তাকেও দেইনি। আচার এতটুকুই হয়েছিল! আমি নিজেও খাইনি!
আমি বললাম তুমিতো কিছু বলে যাওনি আমার সামনে দিয়েছো মজা লেগেছে, কাজ করতে করতে কখন শেষ হয়ে গেছে মনেই নেই। সেবার আর কাউকে দিতে না পারায় অনেক মন খারাপ হয়। কাকে কাকে নাকি খাওয়াবে বলেছিল। আমি বলি আমড়া কাল কিনে আনবো তুমি আবার বানাবা সমস্যা কোথায় এত আপসেট হওয়ার কিছু নেই। মেয়ে দেই এই এক সমস্যা খেলেও দোষ আবার না খেলেও দোষ! এত তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আপসেট হওয়ার কি আছে? অনেক অনুরোধের পরেও গত বছর আর আচার বনায়নি। সে একবার না বললে তাকে দিয়ে সেই কাজ করাবার সাধ্য কারোর নেই!
এই বছর বাজারে আমড়া দেখে বউকে বললাম এবার তো একবার খাওয়াও, ওই স্বাদ যে এখনো আমার মুখে লেগে আছে। এবার আর না করেনি, তবে বানিয়েছে ৯৬ কেজি! যাতে সবাই ভাগে পায়।
এই ৯৬ কেজিই সব মিলিয়ে করেছি। এর পর আর আসবে না। যেহেতু সীমিত স্টক তাই টেস্ট করতে আজই অর্ডার করে রাখুন।