- You cannot add "কদবেলের আচার ৪২০ গ্রাম" to the cart because the product is out of stock.


চালতার আচার ১ কেজি
৳ 950.00
যারা চালতার আচার পছন্দ করেন তারা একবার চেখে দেখবেন। চেখে দেখে ফেসে যেতে পারেন আপনার নিজ দায়িত্বে!
গ্রাম এলাকায় সাধারণত জঙ্গলে চালতা গাছ জন্মে। কখনো কখনো দুয়েকটি গাছ বাড়ির উঠানেও দেখা যায়। চালতা ফলের যে অংশ খাওয়া হয় তা আসলে ফুলের বৃতি। প্রকৃত ফল বৃতির আড়ালে লুকিয়ে থাকে। ফল বাঁকানো নলের মত। ভেতরে চটচটে আঠার মধ্যে বীজ প্রোথিত থাকে। চালতা অপ্রকৃত ফল, মাংসল বৃতিই সাধারণত খাওয়া হয়। টক বলে চালতা আচার, চাটনি, টক ডাল হিসেবেই বেশি খাওয়া হয়। টক, ঝাল, মিষ্টি বিভিন্ন রকমের আচার তৈরি করা যায় চালতা দিয়ে।
যারা চালতার আচার পছন্দ করেন তারা একবার চেখে দেখবেন। চেখে দেখে ফেসে যেতে পারেন আপনার নিজ দায়িত্বে
চালতা গাছ মাঝারি আকারের চিরহরিত্ বৃক্ষ জাতীয় গাছ। এ গাছের আদি নিবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র চালতা গাছ জন্মে। চালতা গাছ ভারত, শ্রীলংকা, চীন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি দেশেও প্রচুর জন্মে। চালতা গাছ দেখতে বেশ সুন্দর। উচ্চতায় পনেরো মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এর গায়ে চকচকে লাল রঙের বাকল থাকে। এর গাঢ় সবুজ পাতার কিনার থাকে খাঁজকাটা। ফলে তা দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় মনে হয়। দেখতে সুন্দর বলে শোভাবর্ধক তরু হিসেবে চালতা গাছ পার্ক, উদ্যান, বাগানেও লাগানো হয়। তবে চালতা গাছের মূল আকর্ষণ হলো এর ফুল। এর সাদা রঙের ফুল খুবই মনোলোভা। ফুল বেশ বড় হয়, প্রায় পাঁচ ইঞ্চির ব্যাসের। সুগন্ধীযুক্ত এই ফুলে মোট পাঁচটি পাপড়ি থাকে। এই পাপড়িগুলোকে আঁকড়ে ধরে রাখে ফুলের বৃতি। ফুলের মাঝে থাকে হলদে রঙের কেশর। মে-জুন মাসে চালতা গাছে ফুল ফোটে। চালতা একটি অপ্রকৃত ফল। চালতা ফলের যে অংশটা খাওয়া হয় তা আসলে ফুলের বৃতি। ভক্ষণযোগ্য অংশটা হলো পরিণত বৃতির মাংসল পরত। চালতা ফল বাঁকানো নলের মতো এবং এতে চটচটে কষ বা রস থাকে। ফলগুলো হয় বড় ও গোলাকার। ফলের রং হলুদাভ সবুজ হয় এবং ফলগুলো টক টক স্বাদযুক্ত হয়। চালতা ফলের ইংরেজি নাম Elephant apple এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম Dillenia indica। বাংলাদেশের স্থানবিশেষে এই ফল চালিতা বা চাইলতা নামেও পরিচিত। অসমীয়া ভাষায় চালতাকে বলে ঔটেঙা। চালতা ফল দিয়ে অত্যন্ত সুস্বাদু আচার তৈরি করা যায়। কিছু কিছু এলাকায় চালতা দিয়ে তরকারি রান্না করে খাওয়া হয়। এছাড়া চালতা দিয়ে চাটনিও তৈরি করা যায়। পাকা চালতা ভর্তা মসলা দিয়ে মাখিয়েও খাওয়া যায়।
চালতা একটি অবহেলিত ফল হলেও এর রয়েছে নানা খাদ্যগুণ। যেমন –
চালতা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’-এর ভালো উত্স।
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকায় এই ফল স্কার্ভি ও লিভারের রোগ প্রতিরোধ করে।
চালতায় রয়েছে বিশেষ ধরনের কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা জরায়ু ও স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। *চালতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ যা বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
*চালতায় উপস্থিত আয়রন রক্তের লোহিতকণিকার কার্যক্রমে সহায়তা করে। রক্তের সংবহন ঠিক রাখে। চালতার বিভিন্ন উপাদান হার্টের নানা রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে।
*চালতা পেটের নানা অসুখ প্রতিরোধে সহায়তা করে। ডায়রিয়া সারাতে কাঁচা চালতার রসের তুলনা নেই।
*রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে চালতা।
*ঠান্ডা ও কাশির জন্য পাকা চালতার রস চিনি মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
*কিডনীর নানা রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে চালতা।
শুধু ফল নয়, চালতার মূল ও পাতারও রয়েছে ঔষধীগুণ। মচকে গিয়ে ব্যথা পেলে সেখানে চালতা গাছের মূল ও পাতা পিষে প্রলেপ দিলে ব্যথা কমে যায়।
You must be logged in to post a review.
Reviews
There are no reviews yet.