উপকরণ : রুই বা কাতলা অথবা যেকোনো বড় মাছের মাথা, লেজ ও কাঁটা (কেটে, বেছে, ধুয়ে, পানি ঝরিয়ে নেওয়া) ৫০০ গ্রাম, পানি ১০ কাপ, মাষকলাই ডালের গুঁড়া দেড় কাপ।মাছের মাথা কষানোর জন্য: তেল চার টেবিল চামচ, তেজপাতা তিনটি, দারুচিনি চারটি, এলাচি চারটি, লবঙ্গ তিনটি, আদা-রসুন বাটা এক টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা তিন টেবিল চামচ, ধনে গুঁড়া এক চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া এক চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া এক চা-চামচ, জিরা বাটা এক চা-চামচ, গোটা জিরা আধা চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি সিকি কাপ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, রসুন কুচি দুই চা-চামচ।ডাল বাগারের জন্য: তেল সিকি কাপ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, রসুন কচি দেড় টেবিল চামচ, বিলাতি ধনেপাতা তিন টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ চারটি, পাকা মরিচ (লাল) চারটি।

 

প্রণালি : আট কাপ পানিতে মাষকলাই ডালের গুঁড়া গুলে নিন। চুলায় দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নাড়ুন। দু-একবার ফুটে উঠলে দুই চা-চামচ লবণ ও আধা চা-চামচ হলুদ গুঁড়া দিয়ে নেড়ে মাঝারি আঁচে ঢেকে দিন।পাশের চুলায় হাঁড়িতে বা কড়াইয়ে তেল গরম করে গোটা জিরা ও তেজপাতার ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজুন। এরপর রসুন কুচি দিয়ে ভেজে বাদামি রং হয়ে এলে দারুচিনি, এলাচ ও লবঙ্গ দিন। লাল হয়ে এলে আধা কাপ পানি দিয়ে সব গুঁড়া ও বাটা মসলা একত্রে দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। লবণ ও সিকি কাপ পানি দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। প্রথমে মাছের আস্ত মাথাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে পরিমাণমতো পানি দিয়ে ঢেকে দিন। সেদ্ধ হয়ে এলে লেজ ও কাঁটাগুলো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। তারপর মাছের মাথাটা ডাল-ঘুঁটনি দিয়ে ভেঙে দিয়ে লবণ ও ক্বাথ দিয়ে নেড়ে নিন। ডাল সেদ্ধ হলে নামিয়ে মাছের হাঁড়িতে ঢেলে দিন। হালকা নেড়ে আধা চা-চামচ হলুদ, আধা চা-চামচ করে আদা-রসুন বাটা দিয়ে দুই কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিন।ডাল ভালো করে ফুটে উঠলে কাঁচা ও পাকা মরিচ দিয়ে ঢেকে দিন। পাশের চুলায় ফ্রাইপ্যানে পেঁয়াজ কুচি ও রসুন কুচি দিয়ে সোনালি রং হয়ে এলে ডালে একবারে তা ঢেলে ঢেকে দিন। ১০-১৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে ফ্রাইপ্যানে লেগে থাকা পেঁয়াজ ও রসুন কুচি খুন্তি দিয়ে কেঁচে দিয়ে দিন। তারপর ধনেপাতা ছিটিয়ে দিয়ে ঢেকে পাঁচ মিনিট পর চুলা বন্ধ করে দিন। ডালটা একটু ঘন হবে। কিছুক্ষণ দমে রেখে পরিবেশন।


Comments are closed.