ডাক্তাররা লাল মাংস খেতে নিষেধ করে দেন। কিন্তু লাল মাংসেই আবার আছে নানা পুষ্টিগুণ। তাহলে লাল মাংস খাওয়া ভালো নাকি খারাপ? এই প্রশ্ন আছে অনেকের মনেই। বিশেষ করে যারা মাংস খেতে খুব ভালোবাসেন, তাদের অনেকের মনেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়া অবশ্যই ক্ষতিকর। কিন্তু পরিমিত পরিমাণে লাল মাংসের আছে বেশ কিছু উপকারিতা। জেনে নিন লাল মাংসের কিছু ভালো দিক সম্পর্কে।

প্রোটিন
লাল মাংস প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। মাত্র ৩ আউন্স গরু কিংবা খাসীর মাংস খেলে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক প্রোটিনের চাহিদার অর্ধেক পূরণ হয়ে যায়। সুগঠিত মাংসপেশির জন্য প্রোটিন অত্যন্ত জরুরি।

 

আয়রন
প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রতিদিন ১৮ মিলিগ্রাম আয়রনের চাহিদা থাকে। লাল মাংসে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। মাত্র ৩ আউন্স লাল মাংসে ২.৪ মিলিগ্রাম আয়রন আছে। লাল মাংস খেলে খেলে রক্তের মাধ্যমে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় আয়রনের চাহিদা পূরণ হয়। ।

ভিটামিন ও জিঙ্ক
খাবার তালিকায় লাল মাংস থাকলে শরীরে জিঙ্কের অভাব পূরণ হয়। এছাড়াও লাল মাংসে আছে ভিটামিন বি-১২। নার্ভ সচল রাখতে ভিটামিন বি-১২ খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান।

সারা বছর মাংস কম খাওয়া হলেও এই ঈদে মাংস খাওয়া হয় বেশি। অনেকেই বেশ অনিয়ন্ত্রিত পরিমাণে মাংস খেয়ে থাকেন। ফলে শুরু হয় নানা রকম শারীরিক সমস্যার। জেনে নিন লাল মাংসের ক্ষতিকর দিকগুলো।

হৃদপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকর
লাল মাংসের প্রধান ক্ষতিকর দিক হলো এতে উচ্চ মাত্রার ট্রাইগ্লিসারাইড ও এলডিএল থাকে। এই উপাদানগুলোই ক্ষতিকর কোলেস্টেরল হিসেবে পরিচিত। এই কোলেস্টেরল ধমনির প্রাচীরকে পুরু করে দেয়। ফলে হৃদপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। এভাবে রক্তনালীর ব্লক হয়ে যায়। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়াও স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি
যারা নিয়মিত লাল মাংস খান তাদের বৃহদান্ত্র ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ১৭ শতাংশ বেশি। এছাড়াও লাল মাংস কোলন ও স্তন ক্যান্সারের জন্য ভূমিকা রাখে।

কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের সমস্যা
অতিরিক্ত লাল মাংস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা বেড়ে যায়। এছাড়া গরুর প্রোটিন শরীরে অ্যামাইনো এসিড তৈরি করে হজম প্রক্রিয়া ধীরগতি করে দেয়। ফলে অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে।


Comments are closed.