কুল একটি সুস্বাদু ফল। কোনো কোনো অঞ্চলে একে ‘বরই’ বলা হয়। এটি বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায়, সব ধরনের মাটিতেই জন্মে।

 

পুষ্টি: কুলে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। তবে এতে প্রচুর আঁশ, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম কুলে রয়েছে ক্যালরি ৭৯ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ২০ গ্রাম, আঁশ ১০ গ্রাম। দৈনিক চাহিদার ৭৭ ভাগ ভিটামিন সি, ৫ ভাগ পটাশিয়াম ভাগ পাওয়া যায়।

এছাড়া এতে অল্প পরিমাণে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন, খনিজ উপাদান রয়েছে। তবে প্রচুর ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।

 

  • কুলের উপকারিতা:
  • স্নায়ুতন্ত্র, রোগপ্রতিরোধ ও হজমের জন্য কুল বেশ সহায়ক। এর রয়েছে আরও অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা।
  • ১. কুলে প্রচুর ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা ভালো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ফ্রি র‌্যাডিকেল কমাতে চমৎকার কাজ করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ডায়াবেটিস এবং ক্যানসারের মতো রোগপ্রতিরোধ করে। অবসাদ কমাতে সাহায্য করে।
  • ২. কুল খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এই ফলের রয়েছে ক্যানসার কোষ, টিউমার কোষ ও লিউকেমিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা। এটি যকৃতে সুরক্ষা বর্ম তৈরি করে।
  • ৩. বরই হজমে সহায়ক। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যসহ অন্যান্য হজমজনিত সমস্যার সমাধানে সহায়ক।
  • ৪. কুল রক্ত বিশুদ্ধকারক হিসেবে কাজ করে। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য টক বরই উপকারী।
  • ৫. কুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ফলে এটি সংক্রামক রোগ যেমন- টনসিলাইটিস, ঠোঁটের কোণে ঘা, জিহ্বায় ঘা ইত্যাদি দূর করে।
  • ৬. মৌসুমি জ্বর, সর্দি-কাশিও প্রতিরোধ করে কুল। এ ছাড়া হজমশক্তি বৃদ্ধি ও খাবারে রুচি আনে। ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে কোমল করে তুলতে সহায়ক।

No comments so far.

Leave a Reply