বেশীরভাগ মানুষই বিশ্বাস করেন যে ঘি খেলে মানুষ মোটা হয়। তাই ওজন কমানোর ডায়েটের কথা এলেই বেশীরভাগ মানুষ তাদের খাদ্যতালিকা থেকে প্রথমেই যে উপাদানটি বাদ দেন তা হচ্ছে ঘি। কিন্তু ঘি খেলে কী আসলেই মানুষ মোটা হয়? এই বিষয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শ জেনে নিই চলুন।

ঘি খাওয়া কী ওজন বৃদ্ধির সাথে জড়িত?

ঘি আসলে আপনার ওজন বৃদ্ধির কারণ নয়। এটা সত্য যে, ঘি এ উচ্চমাত্রার ক্যালোরি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। কিন্তু এটি অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার জন্য উপকারী এবং পরিপাক নালীর স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং ওজন কমতে সাহায্য করে।

ঘি দিয়ে খাবার রান্না করা কী স্বাস্থ্যসম্মত?

হ্যাঁ, আপনি রান্না করতে পারেন ঘি দিয়ে। তেলের পরিবর্তে ঘি ব্যবহার করুন। ঘি এর স্মোকিং পয়েন্ট অন্য তেলের চেয়ে বেশি। তাই এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ফ্রি র‍্যাডিকেল উৎপন্ন করেনা। তেল বা চর্বির স্মোকিং পয়েন্ট হচ্ছে তাপমাত্রার সুনির্দিষ্ট অবস্থা যেখানে তেল থেকে ক্রমাগত নীলাভ ধোঁয়া উৎপন্ন হয় যা স্পষ্টত দৃশ্যমান হয়।

ঘি খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় কী?

ঘি খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে সবজি রান্নার সময় ঘি ব্যবহার করা। কারণ ঘি এর স্মোকিং পয়েন্ট অনেক বেশি হওয়ায় বিভিন্ন খাবার ভাজার জন্যও ঘি ব্যবহার করতে পারেন। চাপাতি বা রুটির উপর ছড়িয়ে দিয়ে বা ভাতের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন ঘি।

প্রতিদিন কতটুকু ঘি খাওয়া উচিৎ? 

ঘি এর সাথে নির্দিষ্ট কোন স্বাস্থ্য উপকারিতার সম্পর্ক আছে কিনা তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণা হয়নি। কিন্তু কিছু আয়ুর্বেদ অনুশীলনকারী বিশ্বাস করেন যে, মাখনের চেয়ে ঘি শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু এর স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও গ্রহণ করতে হবে সীমিত পরিমাণে। এক দিনে ২-৩ চামচের বেশি ঘি খাবেন না।

সবাই কী ঘি খেতে পারবে?

ঘি এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক হলেও যদি আপনার ডায়াবেটিস বা উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকে তাহলে ঘি গ্রহণ করা এড়িয়ে চলা উচিৎ।

তাহলে এখন বোঝাই যাচ্ছে যে ঘি গ্রহণ করলে আপনি মোটা হবেন না। তাই আর দ্বিধা না করে ঘি খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।

Facebook Comments


No comments so far.

Leave a Reply