আজ আমাদের আলোচনার বিষয় দারুচিনির যত গুণ!

দারুচিনি, এর ইংরেজি নাম: Cinnamon,এবং  বৈজ্ঞানিক নাম: Cinnamomus Zeylanicum) এটি  একটি মসলা গাছ এর  নাম। নরমাল  পরিবেশে এই গাছ এর  উচ্চতা দশ থেকে পনের মিটার পর্য্যন্ত হয়ে থাকে।

এটি আদি বাসস্থান  শ্রীলংকায়। আজ কাল বেশির ভাগ  ইন্দোনেশিয়া, ভারত, বাংলাদেশ ও চীন প্রভৃতি দেশে ও উৎপাদিত হচ্ছে। দেখতে কিছুটা তেজপাতা গাছ  মতো, এই গাছ  চামড়াটা মসলা হিসেবে ব্যবহৃত করা হয়। দারুচিনি গাছ এর  সুগন্ধ যুক্ত তৈল ও পাওয়া যায়।

দারুচিনি শুধু মসলা হিসেবে দারুচিনি বেশি জনপ্রিইয়তা পেলেও  দারুচিনি  স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী।

জেনে অবাক হবেন দারুচিনি হলো এই গ্রহের সবচেয়ে বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ গাছ। এর মিষ্টি  টেস্ট  ও সুন্দর সুবাসের জন্য যুগ এর যুগ  পর  ধরে প্রায় প্রতিটি সংস্কৃতিতেই আদৃত হয়ে আসছে।

দারুচিনিতে রক্তের শর্করা রোধ করে থাকে সেই সাথে উন্নত ও অসাধারণ ঔষধি গুণাবলি রয়েছে, যা প্রদাহ কমাতে ও স্নায়বিক স্বাস্থ্য উন্নীত করতে সহায়তা  করে। এ ছাড়া সুন্দর সুবাসের  মসলা হিসেবে দারুচিনি ব্যাপকভাবে পরিচিত। শুধু রান্নায় সুবাসের বৃদ্ধি নয়, শরীর ও ত্বক উভয়ের জন্যই দারুচিনি ব্যবহার করা হয়ে থাকে  । এর অনেক উপকারিতা আমারা জানি ।

চলুন আমারা জেনে নিই দারুচিনি আমাদের শরীরের কী কী উপকার সাধন করে থাকে। দারুচিনির যত গুণ

১) হৃদরোগ প্রতিরোধ – হৃদরোগ প্রতিরোধে দারুচিনি দারুণ ভাবে কাজ করে । এই মসলা হৃদযন্ত্রের রক্ত চলাচল ঠিক  রাখে। এতে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক টা  কমে যায় ।

২) অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট – দারুচিনিতে আছে  পর্যাপ্ত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যার  ফলে নানা কঠিন  রোগের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে এই মসলা।

৩) স্নায়বিক স্বাস্থ্য – রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে   দারুচিনি। এর ফলে বেথা  কমে, স্নায়বিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।

৪) ত্বকের যত্নে – দারুচিনি খেলে ত্বকের সুন্দরতা বারায় । ব্রণ রোধ করতে খুব উপকারী এই মসলা।

৫) স্মৃতিশক্তি বাড়ায় – নিয়মিত দারুচিনি খেলে   এতে স্মৃতিশক্তি বাড়বে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

৬) পেট ব্যথা উপশম – এই মসলা অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করে । এতে পেটের ব্যথা ঠিক  হয়ে যায়। এ ছাড়া রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের (এলডিএল) পরিমাণ  কমাতে অনবদ্য  ভূমিকা রাখে দারুচিনি।


No comments so far.

Leave a Reply