ধুলাবালি থেকে অ্যালার্জি
অনেকেরই ধুলাবালি থেকে অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে। তাদের পথে ঘাটে খুব সাবধানে চলাফেরা করতে হয়। কারণ, ধুলাবালি কোনও রকমে নাকে, মুখে ঢুকলেই শুরু হয়ে যায় হাঁচি, কাশি। ঘর বাড়ি পরিষ্কারের কাজে হাত দিলেও তারা একই সমস্যায় পড়েন। এমনকি অনেক দিন ধরে বন্ধ থাকা কোনও ঘরে ঢুকলে বা পুরনো বইয়ের গ্রান নাকে গেলেও তাদের হাঁচি, কাশি শুরু হয়। আজ জানবো ধুলাবালি থেকে অ্যালার্জি প্রতিরোধে যা করণীয়।
অনেকেই এ ধরনের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন ওষুধ খেয়ে থাকে । তবে চিকিৎসকের কথা ছাড়া প্রতিদিন অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধ খেলে অনেকসময় বিপদের ঝুঁকি বাড়ে। যাদের প্রায় প্রতিদিন ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যায় পড়তে হয়, তারা অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধের বিকল্প হিসেবে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।যাতে করে আমরা অ্যালার্জির থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যেমন-
১. বেশি করে নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খেতে হবে । সবুজ শাকসবজি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি অ্যালার্জির অনেক টা কমাতেও সাহায্য করবে। সবুজ শাকসবজি শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজের চাহিদাঅনেক টা পূরণ করে।
২. ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যায় গ্রিন টি খেতে পারেন। গ্রিন টি তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান অ্যালার্জির সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। সেই সাথে চোখে লাল ভাব, র্যা শ বের হওয়া ইত্যাদি প্রতিরোধেও এটি দারুণ কার্যকর।
৩. ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যায় ঘি খেতে পারেন। ঘি প্রাকৃতিক ভাবে যে কোনও ধরনের অ্যালার্জির সমস্যার সাথে যুদ্ধ করতে অনেক কার্যকরী। এজন্য ১ চামচ ঘি তুলায় লাগিয়ে সরাসরি র্যা শে আক্রান্ত ত্বকে লাগান। এতে ত্বকের জ্বালা ভাব, অস্বস্তি অনেকটাই কমে যাবে। নিয়মিত ১ চামচ করে ঘি খেতে পারলে ঠান্ডা লাগা বা অ্যালার্জির সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমবে।
৪. মাথায় জ্বালা পুড়া , বন্ধ নাক, চোখ-নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি সমস্যা অনেক কমিয়ে দেই। ১ টি কাঁচের বাটিতে গরম পানি নিয়ে তার মধ্যে ২/৩ ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল ফেলে ভাপ (ভেপার) নিন। এতে বন্ধ নাক খুলে যাবে, নাকের ভিতরে অ্যালার্জির কারণে হওয়া যন্ত্রণা দূর হবে।
৫ .গাড়ি থেকে কালো ধোয়া, সিগারেটের ধোয়া, কল কারখানার বিভিন্ন উপাদানও এলার্জির আরেকটি কারণ এই সব ধোঁয়া থেকে চেষ্টা করবেন দূরে থাকার।
তাহলে যাদের এলার্জির সমস্যা আছে তারা অবশ্যই এই জিনিস গুলো মেনে চলবেন।  

No comments so far.

Leave a Reply