স্থানীয় একটি জনপ্রিয় ফল পেঁপে। এটি সবজি হিসেবেও বহুল ব্যবহৃত হয়। পেটের নানা রোগবালাই দূরীকরণে কাঁচা পেঁপে খুবই কার্যকরী। পেঁপের পুষ্টিগুণ মেয়েদের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকারী। কারণ এটি মহিলাদের যেকোনো ধরনের ব্যথা কমাতে কার্যকারী ভূমিকা রাখে। শুধু পেটের সমস্যায় নয়, আরো অনেক নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যায় এই ফলের উপকারিতা অনেক।অন্যান্য ফলের তুলনায় পেঁপেতে ক্যারোটিন অনেক বেশি থাকে। কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম থাকায় যারা মেদ সমস্যায় ভুগছেন তারা অনায়াসে খেতে পারেন এ ফলটি। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি যা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। নিচে পেঁপের নানাবিধ পুষ্টিগুণের কথা তুলে ধরা হলো :

কাঁচা পেঁপেতে যা পাওয়া যায়

১০০ গ্রাম কাঁচা পেঁপেতে শর্করা পাওয়া যায় ৭.২ গ্রাম, ক্যালোরি থাকে ৩২ কিলো, ভিটামিন সি ৫৭ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৬.০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম, খনিজ ০.৫ মিলিগ্রাম এবং ফ্যাট বা চর্বি থাকে ০.১ মিলিগ্রাম।

কাঁচা পেঁপের উপকারিতা

১. কাঁচা পেঁপে হৃদরোগের জন্য অত্যন্ত উপকারি। সকালে কাঁচা পেঁপে সালাদ বা

ভর্তা করে খেলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকে।

২. কাঁচা পেঁপেতে অ্যান্টি অ্যামোবিক ও অ্যান্টি প্যারাসিটিক উপাদান রয়েছে, যা

কোষ্ঠকাঠিণ্য দূর করতে ভূমিকা রাখে। অনেক সময় বহু শিশু অতিরিক্ত কেমিক্যাল যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিণ্য দেখা দেয়। তাদের কাঁচা পেঁপে একটু টুকরো খাইয়ে দিলে তা দূর হবে।

৩. কাঁচা পেঁপেতে পেপসিন থাকে, যা কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে। পেটে অতিরিক্ত কৃমির সংক্রমণ দেখা দিলে এর রস ও এক চামচ মধু মিশিয়ে সকালে খালি পেটে সেবন করলে তা দূর হবে।

৪. পেঁপেতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বকের জন্য দারুণ কার্যকরী। যাদের মুখে মেছতা, ত্বক কালোসহ মুখে ব্রণের সমস্যা, তারা কাঁচা পেঁপে বেটে মুখে লাগাতে পারেন।

৫. তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশের মধ্যস্তরের মানুষগুলো পুষ্টিকর বা স্বাস্থ্যকর খাবার কম খাই। আর পুষ্টিজনিত সমস্যাতে নানারকম রোগবালাই দেখা দেয়। যেমন চোখে কম দেখা। রেটিনার ক্ষতি হলে মানুষ চোখে কম দেখে। প্রতিদিন কিছু পরিমাণ কাঁচা পেঁপে খেলে চোখে কম দেখা দূর হয়। কারণ, এতে প্রচুর ভিটামিন এ, ডি ও ভিটামিন সি থাকে। যা বয়সের ছাপ দূর করতে বিশেষভাবে সহযোগিতা করে।

৬.অনিয়মিত মাসিকের ব্যথাতে ভূগে থাকেন অনেক মেয়ে। মাসিক চক্র শুরু হওয়ার পরে ব্যথা হতে থাকলে কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন। কাঁচা পেঁপে বেটে পেটের ব্যথা যুক্ত স্থানে লাগিয়ে দিলে তা কমে যাবে। এছাড়া হাঁটুর অথবা কোমর ব্যথা হলে কাঁচা পেঁপে পানিতে সিদ্ধ করে আক্রান্ত স্থানে সেই পানি ঢাললে উপকার পাওয়া যায়।

৭. ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে কাঁচা পেঁপে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে যথেষ্ট আঁশ বা ফাইবার

রয়েছে। পেঁপেতে যেমন কম ক্যালোরি আছে, তেমন মেদ কমানোর জন্য বিশেষ কিছু উপাদান রয়েছে। প্রতিদিন দুপুরের খাদ্য তালিকাতে পেঁপে রাখলে ওজন কমাতে অনেক সহজ হয়ে যায়।

 


No comments so far.

Leave a Reply