শরীর ও মনকে চাঙ্গা করতে এক কাপ চা-এর জুড়ি নেই। আর তা যদি হয় গ্রিন টি বা সবুজ চা তাহলে প্রফুল্লতার পাশাপাশি নানাবিধ উপকার হবে আপনার শরীরের। তেতো স্বাদের কারণে অনেকেই পান করতে পছন্দ করেন না গ্রিন টি। তবে এর নানাবিধ গুণাবলীর কারণে এর জনপ্রিয়তা এবং প্রচলন বাড়ছে আমাদের দেশে। গ্রিন টি জাপানে ‘এন্টি এজিং ড্রিংকস’ হিসেবে প্রতিদিন পান করেন জাপানিরা।

গ্রীন টি এর উপকারিতা ও খাওয়ার সঠিক সময়

অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি কমিয়ে সুন্দর, আকর্ষণীয় ও সচেতন রাখতে চাইলে;
ত্বক ও চুল সুন্দর রাখতে চাইলে;
বার্ধক্যের ছাপকে ঘুচাতে চাইলে;
ক্যান্সারের ,ডায়বেটিসের ,হার্টের ঝুঁকি কমাতে চাইলে;
রোজ গ্রীন টি খান। অন্যান্য পানীয় থেকে সবচেয়ে উপকারী পানিও গ্রীন টি।

জেনে নেয়া যাক গ্রিন টি’র উপকারিতা সম্বন্ধেঃ

১।  ওজন কমাতে সাহায্য করে।
২।  বয়সের ছাপ পরতে দেয় না,অথচ তারুণ্য ধরে রাখে।
৩।  হার্টের ,ডায়াবেটিস এর, কান্সের ঝুঁকি কমায় ।
৪।  রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণ করে ।
৫।  এ্যাজমা রোধ করে ।
৬।  কানের বেথাকে কমিয়ে ,ফ্ল ও ঠাণ্ডা রোধ করে ।
৭।  কোলেস্টেরল কমায়।
৮।  ত্বকের চুলকানি ও প্রদাহ দূর করে ।
৯।  চোখের ফোলা ফোলা ভাব,চোখের নীচের ডার্ক সার্কেল বা কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে ।( গ্রিন টি এর দুইটি ব্যাগ ২ ঘন্টা ফ্রীজে রেখে, ঠান্ডা করে চোখ বন্ধ করে এর উপর ১০ মিনিট রাখতে হবে)।
১০। টোনার হিসেবে কাজ করে টোনার তৈরির জন্যঃ
( পানি ১ কাপ, গ্রিন টি ৫ চা চামচ, পুদিনা পাতা ১ চা চামচ, ১০ মিনিট ধরে ভালোভাবে ফুটাতে হবে। ঠান্ডা করে ছেঁকে একটি স্প্রে বোতলে সংরক্ষণ করূন।টোনার টি দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করতে হবে।)
১১। ত্বকের সৌন্দর্যে স্ক্রাব এর কাজ খুব দ্রুত ভাবে করে। ( ড্রাই গ্রিন টি এর পাতা মধুর সাথে মিক্স করতে হবে।
১২। ঘামের দূর গন্ধ দূর করে।
১৩। ওরাল ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে,মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
১৪। ব্রণের সমস্যা দূর করে।
১৫। ব্রেনে রক্ত সঞ্চালনকে বারিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে গ্রীন তি।

গ্রীন টি খাওয়ার সঠিকসময়ঃ

১। নাস্তা করার পর-

কথায় বলে – ” সকালে খাবে রাজার মত,দুপুরে খাবে রাজপুতর মত আর রাতে খাবে ভিখারির মত।” তাই সকালের নাস্তা, এমন হতে হবে,যেন আপনার শরীর সারা দিন চাঙ্গা থাকে।তাই সকালের নাস্তাটা ভাল হতে হবে।সকালে খালি পেটে চা খাওয়া একদম সঠিক নয়। এতে করে ডিহাইড্রেশন,গ্যাস্ট্রিক , আলসার এর সমস্যা হবে। তাই সকালের নাস্তা খাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা পরে গ্রীন টি খেতে হবে।

২। রাতে ঘুমানোর আগে

ওজন কমানোর জন্য গ্রীন টি খাওয়ার সঠিক সময় রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ২ ঘণ্টা আগে। অনেক সময় চা ঘুম নষ্ট করে, তাই চা খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমাতে না গিয়ে ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগেই খেতে হবে।

৩। ব্যায়াম করার পরে-
ব্যায়াম করার অন্তত আধাগন্টা আগে গ্রিন টি খেতে হবে। যদি আধাঘন্টা আগে খান, তবে এতে করে শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়বে। এমন কি এটা ওজন এবং মেদ কমাতে সাহায্য করে। কোমরের মেদ কমাতে অধিক কার্যকরী।

৪। খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে অথবা পরে-

অনেকেই আছেন খাবার খাওয়ার পরপরই চা খান। কিন্ত খাবার খাওয়ার সাথে সাথেই গ্রিন টি খাওয়া ঠিক নয়। খাবার খাওয়ার কমপক্ষে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা পরে বা আগে খেতে হবে।

 


No comments so far.

Leave a Reply