সারা দিনের ব্যস্ততা শেষে ক্লান্তি আর আলসেমি দুটোই একসঙ্গে ভর করে। তবে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আলসেমিটুকু জয় করতে হবে। রাতে শোবার আগে সামান্য পরিচর্যা চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।

♦ শোবার আগে চুল ভালো করে আঁচড়ে নিন। চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। প্রথমে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভালো করে জট ছাড়িয়ে নিন। সব চুল উল্টে পেছন থেকে সামনের দিকে কিছুক্ষণ আঁচড়ান। এরপর আবার সামনে সিঁথি করে আরেকবার আঁচড়ে নিন।

♦ অনেকের রাতে গোসলের অভ্যাস থাকে। সে ক্ষেত্রে ভেজা চুল ভালোভাবে শুকিয়ে তারপর বিছানায় যান।

♦ চুল শুকাতে ড্রায়ারের বা ফ্যানের ঠাণ্ডা বাতাস ব্যবহার করুন। গরম বাতাসে চুল শুকালে চুল রুক্ষ ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। ছোট বা বড় যেমনই হোক, চুল ছেড়ে ঘুমাবেন না। শুকনো চুলে হালকা করে পনিটেল বা বেণি করে তারপর ঘুমান।

♦ পরদিন শ্যাম্পু করলে রাতে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করুন।

♦ নারিকেল তেল ও অলিভ অয়েল সমপরিমাণ মিশিয়ে অল্প গরম করে নিন। সপ্তাহে এক দিন তেলের সঙ্গে ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপ মিশিয়ে নিতে পারেন। সিঁথি কেটে সব চুলের গোড়ায় তুলার বল দিয়ে ঘষে ঘষে লাগান। চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তেল লগান।

♦ হালকা করে চুল বেঁধে ঘুমাতে যান।

♦ রাতের দাওয়াতে চুলের সাজে জেল, স্প্রে, ক্লিপ ব্যবহার করতে হয়। বাসায় ফিরে প্রথমে চুলের সাজসরঞ্জাম খুলে চুল আঁচড়ে নিতে হবে। এরপর সম্ভব হলে চুলে শ্যাম্পু করে নেওয়া ভালো। না হলে অন্তত হট অয়েল ম্যাসাজ করলেও চুলের ক্ষতি কিছুটা কমানো যেতে পারে।

♦ স্ট্রেইট চুলে প্রাকৃতিক কার্লি ভাব আনতে চাইলে রাতে শোবার আগে চুলকে বেশ কয়েক ভাগ করে বেণি করে ঘুমাতে যান।

সকালে চুল খুললে বেশ একটা ওয়েভি কার্লি লুক আসবে। চুল ভেজানোর আগ পর্যন্ত এই কার্লি লুক থাকবে।

♦ সিন্থেটিক বালিশের কাভারের ঘষায় চুলের ক্ষতি হতে পারে। নরম সুতি বা সিল্কের বালিশের কাভার চুলের জন্য নিরাপদ। চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন এ ধরনের বালিশের কাভার।

 


No comments so far.

Leave a Reply