সারাদিন রোজার রাখার পর আমাদের শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে আবার তার উপর প্রচন্ড গরম । প্রয়োজন শরীরে একটু সতেজতা। আমাদের  শরীরে সেই প্রাণ চঞ্চলতা এনে দিতে পারে দই চিড়া। একই সাথে  বাড়বে হজম প্রক্রিয়া, দূর হবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও। তবে ইফতারে মিষ্টি দইয়ের চেয়ে টক দই বেশি উপকারী।হইত আমরা তা অনেকেই জানি না ।

চিড়া আমাদের পেট ঠান্ডা করে, পানির অভাব পূরণ করে এবং একইসাথে ক্ষুধা মেটাতে সাহায্য করে । চিড়ায় আঁশের পরিমাণ অনেক কম থাকে যা ডায়রিয়া, ক্রন’স ডিজিজ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, অন্ত্রের প্রদাহ এবং ডাইভারটিকুলাইসিস রোগ প্রতিরোধে এর উপকারিতা অনেক।

চিড়ায় পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের পরিমাণ খুব কম থাকার জন্য কিডনি রোগীদের জন্য  চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক। সিলিয়াক ডিজিজের রোগীদের জন্যও চিড়া খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক । চালের প্রোটিন প্রোলামিন এবং গ্লুটেলিনের শোষণে কোনো সমস্যা না থাকার জন্য এই রোগীদের জন্য চিড়া গ্রহণ করা নিরাপদ।

চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক থাকলেও বেশি শর্করা এবং উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচক সমৃদ্ধ খাবার বেশি গ্রহণে সিরাম ট্রাইগ্লিসারাইডের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায় যা কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। তাই চিড়া খাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ থাকা টা জরুরি।

দই চিড়া তৈরির উপকরণ :

* টক দই (১ – ২ কাপ)

* চিড়া (১/২ কাপ)

* পাকা কলা (স্কয়ার করে কাটা ১ বা ২ টি)

* চিনি (প্রয়োজন মতো)

* লবণ (প্রয়োজন মতো)

* এলাচি গুঁড়া (১/৪ চা চামচ)

* কিসমিস (১-২  টেবিল চামচ)

প্রস্তুত প্রণালী :

প্রথমে চিড়াগুলো  ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এরপর একটি  বাটিতে টকদই, চিনি ও লবণ দিয়ে ভালোকরে  ফেটে নিতে হবে। ফেটানো দইয়ে চিড়া মেখে কিছুক্ষণ  ফ্রিজে রাখুন। ১ ঘণ্টা পর ফ্রিজ থেকে বের করে কলা, এলাচি গুঁড়া ও কিশমিশ ভালোভাবে মিশিয়ে পরিবেশন করুন দই চিড়া ।এটি স্বাস্থ্য জন্য ভালো।

 


No comments so far.

Leave a Reply