প্রতিটা মানুষের সুস্থ থাকার জন্য  নিয়মিত হাঁটা দরকার। প্রতিদিন হাঁটলে হৃদস্পন্দন ভালো  থাকে। হাঁটলে  রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, শরীরের বাজে  কোলেস্টেরল দূর করে ও ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায় । আজকাল সারাদিন আমরা সবাই এত ব্যস্ত থাকি যে নিজের জন্য সময় বের করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।   ফলে দিন দিন আমাদের ভিতরের সত্বা মরে গিয়ে আমরা অলস হয়ে যাচ্ছি। তাই আমাদের  দিনের শেষে মাথা ব্যাথা,ক্লান্তি ঘিরে ধরছে। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য  নিজেকে  কমপক্ষে ৩০ মিনিট সময় বের করার চেষ্টা করুন।

যেখানেই হোক না কেন এই ৩০ মিনিট সময় নিয়ে আপনি হাঁটুন প্রতিদিন ।

যাদের বাইরে যাওয়া সম্ভব না তারা  ছাদে বা বাগানেও হাটতে পারেন। মনে রাখবেন এই সময়টা কোন ব্যায়াম না করে হাঁটার পিছনে ব্যয় করুন।বার বার  কেন হাঁটার উপর এত জোর দেওয়া হচ্ছে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

১. নিষ্ক্রিয় থাকার অর্থ শরীরে পেশীর শক্তি কমে যাওয়া। তাই প্রতিদিন যদি  হাঁটলে গোটা শরীরের পেশিগুলি নাড়াচাড়া হয়। বিশেষ অণু মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। এর ফলে আমাদের ব্রেইনের কোষগুলো বিকশিত হতে পারবে ।

২. আপনি যখন কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করছেন তখন হতাশ হয়ে এক জায়গায় বসে থাকবেন না   বরং  একটু হাঁটাহাঁটি করলে সেটা তাড়াতাড়ি সমাধান মিলবে । ৩. মানুষের পরিপাকতন্ত্রের জন্য হাঁটার থেকে ভালো ওষুধ আর কিছুই হতে পারে না । খাওয়া শেষে একটু হাঁটা ভালো। এতে করে কোষ্ঠকাঠিন্য কাটবে সহজে ওষুধ খেতে হবে না।

৪. গবেষণায় দেখা গেসে , যারা নিষ্ক্রিয় থাকে তারা কম উদার হয় এবং তাদের স্নায়ু-জনিত অনেক সমস্যাও দেখা দিতে থাকে। সক্রিয় থাকলে এই সমস্যাগুলি হয় না। এজন্য হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন প্রতিদিন ।

৫. বসে থাকার সাথে  বিষণ্ণতার  সম্পর্কে রয়েছে অনেক । সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনটাই দেখা  গেছে। তাই হাঁটাহাঁটি করলে শরীরের ব্যায়াম হয় শরীর সুস্থ থাকে ।

৬. হাঁটা হাঁটি করার  ফলে মানুষের চিন্তার সৃজনশীলতা বেড়ে যায়। মেজাজ বা মুড ভালো থাকে  ও স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে অনেক ।তাই সুস্থ থাকতে নিয়মিত হাঁটুন।

 


No comments so far.

Leave a Reply