প্রতিদিন দুধ পান করলে শরীরের পুষ্টির চাহিদা অনেকটা পূরণ হয়। দুধে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম ও জিংক।

তবে প্রতিদিন ঠিক কতটুকু দুধ পান করতে হবে, এ নিয়ে অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে। শুধু দুধ পান করলেই হয় না, বয়স অনুযায়ী কতটুকু দুধ খাওয়া প্রয়োজন, সে বিষয়টিও জানা জরুরি।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, কতটুকু দুধ প্রতিদিন পান করবেন, সে বিষয়ে।

১. শূন্য থেকে ১২ মাস

শূন্য থেকে ১২ মাসের শিশুদের গরুর দুধ খাওয়া ঠিক নয়। এ সময় কেবল মায়ের বুকের দুধ খাওয়ার পরামর্শই দেন বিশেষজ্ঞরা। শিশুর ক্ষুধা লাগলে প্রয়োজন অনুযায়ী বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।

২. ১ থেকে ১০ বছর

এক থেকে তিন বছরের শিশুদের ৩৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রতিদিন প্রয়োজন হয়। এই চাহিদা পূরণে ১০০ এমএল দুধ খেতে হবে। ১০০ থেকে ১২৫ গ্রাম দুধের তৈরি পনির বা দই খাওয়া যেতে পারে এর পাশাপাশি।

আর ৪ থেকে ১০ বছরের শিশুদের ১৩০ থেকে ১৫০ এমএল দুধ খাওয়া প্রয়োজন প্রতিদিন।

৩. ১১ থেকে ১৮ বছর

এ সময় সাধারণত ৮০০ থেকে এক হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রতিদিন প্রয়োজন পড়ে। এ বয়সে দুধ খাওয়া প্রয়োজন ২০০ থেকে ২৫০ এমএল। দুধের বাইরেও অন্যান্য দুগ্ধজাতীয় খাবারও খাওয়া যায়, যেমন : দই খেতে পারেন ২০০ গ্রাম এবং পনির খেতে পারেন ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম।

৪. ১৯ থেকে ৫০ বছর

১৯ থেকে ৫০ বছর বয়সের লোকদের জন্য প্রতিদিন ২০০ এমএল দুধ খাওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি দুগ্ধজাতীয় পণ্য দই (১৫০ গ্রাম) ও পনির (৩০ গ্রাম) খাওয়া প্রয়োজন। এই পরিমাণ খাবার ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে অনেকটা সাহায্য করে।

৫. ৫০ বছর বয়সে

ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের পাশাপাশি ২০০ এমএল দুধ, দই ১৫০ গ্রাম, পনির ৩০ গ্রাম খাওয়া প্রয়োজন। ৭০ বছর বয়সের লোকদের প্রতিদিন ২৩০ থেকে ২৫০ এমএল দুধ খাওয়া প্রয়োজন।

 


No comments so far.

Leave a Reply