জীবনকে উপভোগ করতে প্রত্যেকেরই স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া জরুরি। কিন্তু কীভাবে সুস্থ্য থাকা যায়? সহজ করে বললে, পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ, পর্যাপ্ত ঘুমানো, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম ও কর্মময় থাকাটাই মূল বিষয়। এ ছাড়া রোগ ব্যাধি সম্পর্কে জানা ও স্বাস্থ্য সচেতন থাকাই আসল। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে সুস্থ থাকা যায়। তেমনই
কয়েক টি স্বাস্থ্য টিপস নিচে দেয়া হল।

 

১. প্রতিদিন খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠে দুই অথবা তিন কি.মি. হাঁটুন। এতে মন এবং প্রাণ সতেজ থাকবে।

২. খাবার গ্রহণ করার আগে ও টয়লেট ব্যবহারের পর অবশ্যই হাত ধুয়ে নিন।

৩. যখনই খাবার খাবেন তখন ভালো করে চিবিয়ে খাবার গ্রহণ করুন। এতে পাচন ক্রিয়া ঠিক থাকবে।

৪. মোটা হওয়ার প্রধান কারণ হলো তৈলাক্ত এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া। তাই এ ধরনের খাবার কম খান।

৫. বেশি পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি আর ফলমূল খান।

৬. বেশিরভাগ সময় হেঁটেই কাজ সারুন। এতে পায়ের মাংসপেশির ব্যায়াম হবে। খুব প্রয়োজন না পড়লে লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি বেয়ে নামুন।

৭. সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান করা শরীরের জন্য খুব উপকারী।

৮. মাথাব্যথা হলে প্রচুর মাছ খান। মাছের তেল মাথাব্যথা প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর। খেতে পারেন আদা। প্রদাহ এবং ব্যথা নিরাময়ে তা বিশেষভাবে কার্যকর।

৯. ঘরে তৈরি খাবার খান। শরীর ভালো রাখতে ঘরে তৈরি বিভিন্ন সালাদ বা স্বাস্থ্যকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। ঘরে খেতে পারলে তো ভালোই। তবে কাজের ব্যস্ততারকারণে অনেকের ক্ষেত্রেই তা সম্ভব হয় না।

১০. হাঁপানিতে পিয়াজ খান। শ্বাসনালির সংকোচন রোধে তা ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। পেটের পীড়ায় খেতে পারেন কলা

১১. নিয়মিত ও পরিমিত নিদ্রা সুস্বাস্থ্যও ফিগারের জন্য খুবই প্রয়োজন। দিনে ঘুমানোর অভ্যাস ত্যাগ করে রাতেতাড়াতাড়ি ঘুমানোর অভ্যাস করুন। প্রত্যহ ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তোলেন।

১২. . দেহ-মন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। যে কোনো প্রতিকূল মানসিক চাপে নিজেকে দূরে না সরিয়ে ধৈর্য সহকারে মোকাবেলা করুন।

১৩.  সর্বোপরি সুস্থ ও সুন্দর চিন্তা করুন এবং প্রাণ খুলে হাসুন, এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

১৪. রাতে আহার তাড়াতাড়ি করা উচিত ও আহারের ১-২ঘণ্টা পর ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তোলেন।


No comments so far.

Leave a Reply