ব্যায়াম করার সঠিক নিয়ম:

কোথায় আছে ‘শরীর ফিট তো আপনি হিট’। আর সেজন্যই শরীরকে নিয়মিত ফিট রাখতে দরকার নিয়মিত শরীরচর্চার। সুস্থ ও সুন্দরভাবে জীবনযাপনের জন্য দরকার নিয়মিত শরীরচর্চার। তবে এই শরীরচর্চা ব্যায়াম যখন তখন করা উচিত না, শরীর সুন্দর ভাবে ঠিক রাখতে অবশ্যই সঠিক এবং উপযুক্ত সময়ে শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করা উচিত সবার জন্যই। তাই শরীর চর্চা কখন করবেন বা কখন ব্যায়াম করবেন সে বিষয়ে জেনে রাখা ভালো। আজকে আমরা শরীর চর্চার উপযুক্ত সময় এবং সঠিক শরীরচর্চার নিয়ম সম্পর্কে তুলে ধরবো।

পৃথিবীর কে কোন বিশেষজ্ঞ সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আপনাকে

শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়াম করা জরুরি বা
অবশ্যম্ভাবী বলেই আখ্যায়িত করবেন। এক কথায় এর কোন বিকল্প নেই বললেই চলে। তবে হরহামেশাই ব্যায়াম বা শরীরচর্চার নিয়ম এবং উপযুক্ত সময় নিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েন। অনেকেই হয়তো ইচ্ছা থাকলেও যথাযথ সময়ে ঘুম থেকে উঠতে পারেন না তাই শরীরচর্চা করতে পারেন না আবার যখন সময় পান তখন ব্যায়াম করা ঠিক হবে কিনা তা বুঝে উঠতে পারেন না ঠিক করে। শুধু নিয়মিত শরীরচর্চা ব্যায়াম করলে যে শরীর সুস্থ থাকবে এটাও সম্পূর্ণ ঠিক না, কোন সময় ব্যায়াম করবেন বা কোন সময় ব্যায়াম করা ভালো এবং ব্যায়াম করার সঠিক নিয়ম কী সে বিষয়ে এজন্য ভালো করে জেনে রাখা উচিত।

 

কোন সময় ব্যায়াম করা ভালো আর কোন সময় ব্যায়াম করা ঠিক নয় সে বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞের মতামত আপনাদের জন্য নিচে তুলে ধরছি:

  • দীর্ঘ রাত্রি গভীর ঘুমের পর সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করা যেতে পারে। দীর্ঘ সময় ঘুমের পর সকালের ব্যায়াম সারাদিন আপনাকে ফুরফুরে রাখতে অনেকটাই সাহায্য করবে।

 

  • এছাড়া সকালে ব্যায়াম করা সম্ভব না হলে সন্ধ্যার আগে ঠিক বিকেল বেলা ব্যায়াম করার জন্য উপযুক্ত সময়। যেহেতু ব্যায়াম করলে শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় চর্বি জাতীয় পদার্থ এবং ঘাম ঝরে তাই নরম আবহাওয়াতে ব্যায়াম করা ভালো।
  •  ভর দুপুর বেলা অতিরিক্ত গরমে ব্যায়াম বা শরীরচর্চা না করাই ভালো, এ সময়ে সহজেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে,তাই এ সময় ব্যায়াম না করাই ভালো।
  • যারা মোটামুটি সারাদিন অবসরে থাকেন বা বাড়িতে অবসর সময় কাটান তারা চাইলেই যেকোনো সময় ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করতে পারেন নিজের সুবিধা অসুবিধা মত।
  • যারা চাকুরীজীবী বা ব্যস্ত বা নিয়মিত রুটিন সিডিউল এর কারণে সারা দিন সময় করে উঠতে পারেন না, তারা চাইলে রাখতে ব্যায়াম করতে পারেন এতে কোন সমস্যা নেই বললেই চলে।
  •  ব্যায়াম করার সময়ে অনেক বেশি পরিমাণে খাওয়া একদম ঠিক না, তাই যখন ব্যায়াম করবেন তখন কিছু হালকা খাবার যেমন একটি বিস্কিট এবং 1 টি কলা খেয়ে ব্যায়াম করলে উপকার পাওয়া যায়।
  • যারা সকালে ব্যায়াম করেন তাদের অনেকেই আছেন যারা সকালে ব্যায়াম শেষে পরপর ভরপেট খেয়ে বাসায় ফেরেন এতে ব্যায়াম করে যতটুকু উপকারিতা তার সবটুকু নষ্ট হয়।
  • যারা মোটামুটি নিয়মিত ব্যায়াম করেন বেশি দিনের অবসর সম্ভব না সে সময় তাদের প্রতিদিনের খাবারের দিকে নজর রাখা উচিত। কোথাও ঘুরাঘুরি করতে গেলে বেশি দিনের জন্য সুযোগ মতো টুকটাক ব্যায়াম করা চালিয়ে যাওয়া উচিত।
  • মোটামুটি যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের জন্য ব্যায়াম করার আগে বা ব্যায়াম করার ঠিক পরপরই বেশি পরিমাণে পানি খাওয়া একদমই ঠিক না। নিয়মিত শরীরচর্চা ব্যায়াম এর পর কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে তারপর পানি খেতে হয়।
  • দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা থেকে যতটুকু পারেন মিষ্টি, কোমল পানীয়, ফাস্টফুড ইত্যাদি খাবার বাত্রা খাই অনেক ভালো। কারণ এসব খাবার খেলে আপনার ব্যায়াম এর কোনো উপকারিতা আপনি বুঝতে বা দেখতে পাবেন না সবটাই বৃথা হবে।
  • আপনি যদি অসুস্থ থাকেন তাহলে শরীরচর্চা ব্যায়াম করার কোন প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে গর্ভকালীন চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া কোনো রকম শরীরচর্চা ব্যায়াম না করাই মঙ্গল।
  • যেকোনো ধরনের ব্যায়াম শরীরচর্চা বা রেগুলার ডায়েট করার জন্য অবশ্যই রেজিস্টার চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে তার পরামর্শ অনুযায়ী দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা সাজানো বা দৈনন্দিন শরীরচর্চা ব্যায়াম এর পরিকল্পনা করা উচিত।

 


No comments so far.

Leave a Reply