লবনের উপকারিতা

লবন লবন ভালোবাসা!
লিখেছেন- হাফিজ রহমান

এক দেশে একটা রাজা ছিল সব রাজাদেরই দুইটা বউ থাকে এইরাজারও ছিল সুয়োরানী আর দুয়োরানী, সব রানীদের একটি কইরা রাজকইন্যা থাকে এই রানীদেরও ছিল, আর সব রাজকইন্যাদেরই সর্বগুণে গুনান্বিতা হইতে হয় এরাও ছিল!

রাজা ভাবল একটা ভালোবাসা ‘টেস’ করতে হয় কোন রাজকইন্যা তারে বেশী ভালবাসে! ডাইক্যা পাঠাইল দুই রাজকইন্যারে রাজদরবারে, জিগাইল সূয়োরানীর কইন্যা ‘ক্যাটরিনা’ রে “হে জায়া, বল তুমি আমারে কতটা ভালবাস?”

সুয়োরানীর কইন্যা ক্যাটরিনা কইল “পিতঃ আমি আপনাকে আমার জীবনের চাইতে বেশি ভালবাসি, আপনে হেভভি ‘চুইট’ আপনেরে আমি মধুর মত বালাপাই!”

লবনের উপকারিতা

রাজার দিলখুশ কইল “এই রাজকইন্যার জন্য এক্ষন একটা আউডি এ-৮ গাড়ী দেওয়া হোক! সাথে দুইটা আনলিমিটেড ব্ল্যাক ক্রেডিট কার্ড আর দুবাই যাওয়ার লাইগা এ্যমিরেটেরস একটা প্লেন জবরদখল করা হোক”।

আর এইবার দুয়োরানীর কইন্যা ‘প্রিয়াঙ্কা’রে জিগাইল ‘বল তুমি আমারে কতটা ভালবাস’? সে কইল “আমি আপনেরে লবনের মত ভালবাসি”।

শুইন্যাই রাজার উষ্ণিষের নিচে চান্দির অবশিষ্ট ১৫টা চুলের ১২টা খাড়াইয়া গেল রাগে! তার উষ্ণিষ চান্দি থাইকা উপরে উইঠা গেল, “কি নালায়েক! তোমার আর কোন কথা শুনতে চাই না, দুর হয়া যাও, তোমারে বহিস্কার করা হইল বাংলাদেশ বিমানের বাতিলকৃত ডিসি ১০ প্লেনে কইরা তোমারে জিঞ্জিরা পাঠানো হইব, ইকোনমি ক্লাসের টিকিট আর ভাঙ্গা দরজাওয়ালা বাথরুমের পাশের সীট! আমার হুকুম তামিল হোক”!

দুই রাজকইন্যাই কইল “বাবা যাবার আগে একটা ভোজের ব্যাবস্থা হোক, মেহমানদের আমরা রান্না কইরা খাওয়াইতে চাই”। রাজা কইল “আইচ্ছা তাই হোক”!

পরের দিন ভোজে দুই রাজকইন্যা রান্না করলো, রাজা প্রথমেই সুয়োরানীর কইন্যার খাবার নিলো শাহী তসতরীতে, মুরগ মুসাল্লাম! এক ‘নেওয়ালা’ মুখে দিয়াই রাজার মুখ বাংলা পাঁচ বানাইল, তার মুখ বিস্ফোরিত হইল ‘মুরগ মুসাল্লাম’ মুখ থাইকা সবেগে নিক্ষিপ্ত হইয়া শুয়োয়ানীর খোঁপার ভাঁজে মুখ লুকাইল, রাজার অগ্নিদৃষ্টি, ‘নালায়েক ইহা কিহা’?! ‘কি আচাব্বা রান্না হইয়াছে’!? রাজা সুধাইল!

সুয়োরানীর কইন্যা ক্যটরিনা বলিল “হে পিতঃ আমি আপনাকে যেমন ভালবাসি, তেমন রান্না করিয়াছি, ‘মুরগ মুসাল্লাম’ আর ‘রে্যালা’ আর ‘মোতি পোলাও’তে আমি মধু দিয়া রান্না করিয়াছি। আমার আপনার প্রতি ভালবাসার প্রমান”!

রাজা গোস্বায় মৃগী রোগীর মত কাঁপিতে কাঁপিতে কহিলেন “বহিস্কার হও আমার চক্ষের সন্মুখ থেকে তোমার আউডি এ৮ ক্যান্সেল, দুবাই ক্যান্সেল, ক্রেডিট কার্ড ক্যান্সেল! যাওওওওওও!

এর পরে দূয়োরানীর কইন্যা ‘প্রিয়াঙ্কা’র রন্ধিত খাবার ‘মেথী শাক দিয়া গরুর মাংশ ভুনা’, ‘খাশীর মগজ ফ্রাই’, আর ‘নানরুটি’ পেশ করা হইল, রাজা তৃপ্তি সহকারে খাইল, তার পরে জিজ্ঞ্যাসা করিল “তোমার রান্না এত ভাল হইল কিভাবে?!” প্রিয়াঙ্কা বলিল “আমি রান্নায় লবন ব্যবহার করিয়াছি, রান্নায় যেমন লবন অপরিহার্য আমার জীবনে আপনিও তাই। আর তাই আমি বলিয়াছিলাম আমি আপনাকে লবনের মত ভালবাসি!”

রাজা কহিলেন “যাও ক্যাটরিনার সব পুরস্কার তোমাকে দেওয়া হইল আর তোমার ধেরধেরা ডিসি ১০ ক্যাট কে দেওয়া হইল”!

এইটা নিছক একটা পুরানা মদরে নতুন বোতলে ভইরা দিলাম।  ভূমিকা শেষ আসলি কথা ‘লবন’! আমার আজকের লেখার বিষয়।

স্বাদ কে সংজ্ঞ্যায়িত করে লবন, এইটাকে মৌলিক স্বাদও বলা যায়, যেমন মিষ্টি, তেতো, লবন বা নোনতা একটি মৌলিক স্বাদ!

লবন্ সভ্যতার আদি থাইকাই কাজে লাইগা আসতাছে মানব জাতির। এইটা বোধহয় সবচেয়ে বহূল ব্যবহৃত খণিজ। শুধু মাত্র খাবারে লবন যোগ ছাড়াও আন্দাজ করা হয় মানবজাতির মানব সভ্যতার প্রায় ১৪,০০০ ক্ষেত্রে লবন কাজে লাগে। এখন আমি যদি ১্‌০০০ ক্ষেত্রের লিস্ট দিতে যাই তাইলে আমার লেখার পাঠক হারা্মু নিশ্চিত! তাই কয়েকটা ক্যটাগরী ঠিক কইরা নেই।

রান্নাঃ আমরা সবাই রান্নায় লবনের ব্যবহার করি আর জানি, এটা স্বাদ জোরালো করে, রান্নায় ব্যবহৃত অন্যান্য মশলা ও অনুষংগের স্বাদ ও সুবাস তীব্র করে। চকোলেটের মিস্টি স্বাদকে বাড়াইয়া দেয়। খাদ্য সংরক্ষনের জন্য আদি কাল থাইকাই লবনের ব্যবহার হইয়া আসতেছে, কারন এটা ‘মাইক্রবাইয়াল গ্রোথ’ দমন করে। যখন ফ্রীজ আবিস্কৃত হয় নাই, তখন লবনই ভরসা ছিল মাছ, মাংশ সংরক্ষণের জন্য।

লবন পানি ফুটানোর জন্য ব্যবহার করা যা্‌ যাতে কম তাপে পানি গরম বা ফুটানো যায়, লবনের আয়ণ যখন পানির মৌলের সাথে যোগ হয় তখন তা দ্রুত উইবা যাইতে সাহায্য করে। লবন পানিরে দ্রুত গরম হইতে সাহায্য করে না, কিন্তু তার বয়েলিং পয়েন্ট অর্থাৎ কম তাপেই গরম করে দেয়। একই কারনেই কিছু জমাট করতে বা আইসক্রীমে লবন যোগ করা হয়।

মুরগী বা হাঁস রান্না করতে গেলে অনেকেই এই সমস্যার সন্মুক্ষীন হও; চামড়াতে অনেক শুক্ষ্ণ রোম থেকে যায় যারে ‘পিনফেদার’ বলে ইংরেজীতে। তোলা কষ্টকর হইয়া যায়, এই ক্ষেত্রে লবন ব্যবহার করা যায়। মুরগী বা হাঁসের গায়ে লবন মাইখা দিয়ে কিছুক্ষন রাইখা দিলে সহজেই রোমকূপ দৃশ্যমান হয় আর তুইলা ফেলতে সহজ হয়।

পেয়াজ কূঁচি করার পরে হাত থাইকা গন্ধ দূর করতে হাতে একটা পেপার টাওয়েল খানিকটা সির্কা/ভিনগার আর লবন নিয়ে মাখাইয়া নেও, পেয়াজের গন্ধ চইলা যাবে, সির্কার গন্ধের জন্য কি করবা? সেটা আরেক বিষয়।

নিত্য ব্যবহার্য্য পানির বোতলে একটা বিজাতীয় গন্ধ হইয়া যায়, তা দুর করতে বোতলে কিছুটা লবন আর পানির মিশ্রণ ঢাইলা রেখে ধুইয়া ফেললে বোতলের গন্ধ দূর হইয়া যাবে।

সাধারন তাওয়া বা প্যানরে ননস্টিক বানাইতে লবন ব্যবহার করা যায়, ধোয়া প্যান বা তাওয়ায় লবন ছিটিয়ে তারে গরম করুন ওভেনে, মানে লবন ভাজো, তারপরে ঝাইড়া ফালাও লবনের গুড়া, তোমার তাওয়া এরপরের বার রান্নার জন্য ননস্টিক হইয়া গেল (একবারের জন্য, বার বার করতে গেলে বারবার এই একই পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে), এটা ‘টেফলনে’র প্রাকৃতিক সমার্থক!

salt

যদি ‘পনির’ সংরক্ষন করতে চাও, অনেক সময় ফ্রীজে পনির থাকতে থাকতে তাতে ছত্রাক বা মোল্ড বইসা যায়। এটা রোধ করতে একটা কিচেন টাওয়েল বা কাপড়ে লবনজলের মিশ্রণে ভিজিয়ে তা দিয়ে পনিরকে মুড়ে ফ্রীজ করুন। পনিরে মোল্ড হইব না।

দুধে এক চিমটি লবন দিয়ে দিলে তা বেশীক্ষন তাজা থাকবে।

পরিস্কারকঃ কাঁচ থাইকা চা বা কফির দাগ তুইলা ফেলে লবন। ঘইষা ধুইয়া ফালাও।

অভেন বা স্টোভ টপ থাইকা পুইড়া যাওয়া খাবারের গন্ধ দুর করতে জুড়ি নাই লবন আর দারুচিনি মিশ্রনের। অভেন বা চুলায় গরম থাকতে থাকতেই লবন ছিটাইয়া দিতে হইব। ঠান্ডা হইয়া গেলে তারে শক্ত ব্রাশ দিয়া ঘইষা তুইলা ফেলতে হবে।

অনেক সময় চুলায় বা ওভেনে রন্না করার সময় ছোট খাট আগুন ধইরা যায়। এই আগুনের লবন ছিটাইয়া দিলে তা কইমা ও নিভা যাইব, যেহেতু রান্না করার সময় তেল থাকে আর তেলের আগুনে কখনো পানি দিতে নাই, দিলে তা ছড়াইয়া যায় আরো। লবন বা বেকিং সোডা ব্যবহার করা যাবে।

রংগীন কাপড় বা ফেডেড (রং জ্বলে যাওয়া) কাপড়ে ঔজ্বল্য আনতে চাইলে লবন পানিতে কাপড় ধোও।

জামা থেকে ঘামের দাগ দূর করতে এক কোয়ার্ট (৯৪৬মিলি) পরিমান পানিতে চার টেবল চামচ লবন গুইলা তা দিয়ে দাগ আক্রান্ত যায়গায় ঘষো বিলীন হওয়া পর্যন্ত।

স্বাস্থ্য খাতে লবন অত্যন্ত দরকারী উপাদান, তবে প্রচারের দোষে এর গুনের চাইতে দোষটাই আগে আসে, প্রায়ই শুনবা কারো উচ্চ রক্তচাপের সাথে সোডিয়ামের যোগসুত্র যা কিনা লবনের প্রধান দুইটি যৌগের একটা। কিন্তু লবন আমাদের শরীরের একটি আবশ্যিক উপাদান, এটার অভাব হইলে মানুষ মৃত্যু মুখেও পতিত হবে।

পরিমিত লবন বা সোডিয়াম গ্রহনে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালেন্স করে। শরীরের কোষ গুলি রাসায়নিক যোগসুত্র বজায় রাখে। আমার মা রে দেখেছি, যখন তার শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট নিয়ন্ত্রিত থাকতো না, তিনি প্রলাপ বকছেন, কোন ঘটনা মনে করতে ও রাখতে পারতেন না, খেতে চাইতেন না, যেই তাকে স্যালাইনে সোডিয়াম দেওয়া হইছে পরিস্থিতি সাথে সাথে নিয়ন্ত্রনে আসছে।

কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দুরে ও কারো পরিপাক তন্ত্র (ডাইজেস্টিভ ট্র্যাক্ট ) পরিস্কার করতে লবন পানি ব্যবহার করা হয়, অত্যন্ত জরুরী এইটা একজন অভিজ্ঞ্য চিকিৎসকের তত্বাবধানেই করা উচিত। লবন পানি ফ্ল্যাশ তৈরী হয় দুই চামচ আন আয়োডাইজড লবন এক লিটার রুম টেম্পারেচার পানিতে গুইলা পান করতে হয়, বাথরুম রেডী থাকা দরকার কারন এটা আসলেই সিস্টেম ফ্ল্যাশ করে। এইটা সহ সব স্বাস্থ্যজনিত প্রয়োগ একজন অভিজ্ঞ্য চিকিৎসকের তত্বাবধানেই করা দরকার।

 

আবার অতিরিক্ত লবন শরীরে ইমব্যালেন্স অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে যা থেকে সিভিয়ার ডিহাইড্রেশন হতে পারে।

গড়গড়া করে সোর থ্রোট বা খুশখুশে গলা ব্যাথা দূর করার প্রক্রিয়া কম বেশী সবাই জানে, এই পদ্ধতিতে ইষদুষ্ণ পানিতে লবন মিশিয়ে, মাথা পিছনে কাত কইরা মুখে লবন পানি নিয়া গড়গড়া করতে হয়, খেয়াল রাখতে হইব যাতে পেটে লবন পানি না চইলা যায়, হইলে সিস্টেম ফ্ল্যাশ!!! একই পদ্ধতিতে লবন পানির সাথে বেকিং সোডা মিশাইলে আর তা দিয়ে গড়গড়া করলে মুখের দূর্গন্ধ দুর করে সতেজ ভাব আনে।

পা বা পায়ের পাতার ফোলা ভাব কমাতে হালকা গরম লবন জলের জুড়ি নাই, এই লবন পানি ফোলা জায়গার টিশ্যু থাইকা অতিরিক্ত পানি বাইর কইরা দেয়।

সাইনাস এর ব্যাথা বা সর্দি থেকে আরাম পাবার আরেকটা পদ্ধতি হচ্ছে ‘নেটি পট’ থাইকা লবন পানি গ্রহন করা। ‘সাইনাস’ সবার আছে এটা আমাদের চেহারার একটা অবিচ্ছেদ্য অংগ, এই সাইনাস আছে বইলাই আমরা হা করতে পারি, এই সাইনাস দিয়ে বাতাস চলাচল করে, সর্দি হইলে তাতে ‘স্লেষা/কফ’ জমে, আর বন্ধ হইয়া যায়, মাথা ভার লাগে, একটা কেটলিতে খানিকটা হালকা গরম পানি নিয়ে তাতে এক চিমটি সামুদ্রিক লবন মিশাইতে হইব তার পর নিজ মাথারে ডান দিকে কাইত কইরা বাম নাকে সেই কেটলি থাইকা লবন মেশানো পানি গ্রহন করতে হবে যা নাক দিয়া সাইনাসে প্রবেশ করে চেহারা ঘুরে ডান নাক দিয়ে বাইর হইয়া আসব। বিশ্বাস কর এটা কাজ করে, লবন পানি তোমার সাইনাস পরিস্কার কইরা দিব, জমা শ্লেষা/কফ বাইর কইরা দিব, তুমি আরাম বোধ করবা।

আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় অংগ হইতাছে আমাদের চামড়া, যা কোটি কোটি কোষ এর সমষ্টি, আর তা থাইকা লাখে লাখে কোষ প্রতিদিন মারা যাইতাছে, তারপর ঝইরা যাইতাছে, আবার কিছু কিছু রয়েও যাইতাছে, এই মইরা যাওয়া কোষগুলিরে সরাইয়া দিয়ে ত্বকে চাকচিক্য বাইর করতে লবন ব্যবহার করা যায়। সামুদ্রিক লবন আর কাঁচা মধু মিশাইয়া ম্যাসাজ কর ত্বকে জেল্লা ফেরত না আসলে পয়সা ফেরত!

সল্ট বাথ অনেক খেলোয়াড় বা যারা শরীরের জোড়ায় ব্যথা বা সারা শরীরের ব্যাথায় ভোগে তাদের জন্য উপকারী।

আরেকটি যুগান্তকারী আবিস্কার যা নিয়া আমাদের বাংলাদেশীদের গর্ব করা উচিত ‘আইসিডিডিআরবি’ র আবিস্কৃত ‘ও্যরস্যালাইন’ যার কথা না বললেই নয়। আমাদের দেশ সহ এটা সারা দুনিয়ায় লক্ষ্য শিশু সহ আবার বৃদ্ধ বনিতার জান বাঁচাইতাছে, ও্যরস্যালাইনের একটি উপাদান ‘সোডিয়াম’ যা আসে তারে এক মুঠ গুড়ের সাথে এক চিমটি লবন থেকে!

অনেকের জুতোয় গন্ধ করে, তা পায়ের ঘাম থাইকাই হয়, জুতোয় লবন ছিটাইয়া রাখলে জুতো থাইক্যা জলীয়বাস্প দুর করে জুতারে দুর্গন্ধ মুক্ত রাখে।

মেলা জ্ঞ্যান দান করলাম এল্ল্যা ফিরা যাই রাজার কাহিনীতে, দুয়োরানীর কইন্যা প্রিয়াঙ্কা আসলে সাতকড়া দিয়া পঞ্চা ভাল রান্ধে!

লিখেছেন- হাফিজ রহমান 


Comments are closed.