একবার মামাবাড়ি আমাদের পরিবারের সবার দাওয়াত হল। সেবার মামি দেশি মোরগ রান্না করেছিল। আমরা কেউ সেই তরকারি মুখে তুলতে পারিনি এত ঝাল হয়েছিল! কিন্তু আব্বা খেয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ এতই মজা হয়েছিল। বাড়ীতে এসে রীতিমত মামিকে রান্না করে খাওয়াতে দাওয়াত দিয়ে দিলেন। সেই থেকে কেউ দাওয়াত দিলে আব্বার জন্য স্পেশাল ঝাল দিয়ে রান্না করা হত। এ প্রায় ২০ বছরের পুরনো ঘটনা।
বর্তমানের কথা বলি, আমি কর্ম সুত্রে ঢাকায় বসবাস করি। প্রতি মাসেই আব্বা-আম্মা একবার আমাদের কাছে বেড়াতে আসেন। কিন্তু সমস্যা হল আমরা তুলনামূলক ঝাল কম খাই। এদিকে আমার ছোট বাচ্চা থাকায় ঝাল বাড়িয়ে দিয়ে রান্না করার উপায় নেই। আব্বা কথা সোজাসুজি বলতে পছন্দ করেন, আমার স্ত্রীকে দুপুরে খেতে বসে বলেন বৌমা তোমাদের বাসায় এসে খেতে পারিনা সব পানসে লাগে। আমার স্ত্রীর স্টকে ছিল বোম্বাই মরিচের আচার। আচারের ডিব্বা থেকে ১ চাপচ আচারের তেল উঠিয়ে দিল আব্বার প্লেটে। আমি এর আগে কখনো আব্বাকে এত তৃপ্তি করে খেতে দেখিনি।
আর এভাবেই আব্বার মুখে প্রশংসা ছড়িয়ে পরে। এর কিছুদিনের মধ্যে আমারা বাণিজ্যিক ভাবে বোম্বাই মরিচের আচার বানাতে শুরু করি।
মরিচে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি এবং এটি অরুচি দূর করতে সাহায্য করে। অনেকে বলেন এই আচার ঝালের সাথে টক-টক খেতে কারন কি।
এতে স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করাহয় কাঁচা আম অথবা কাঁচা জলপাই। ব্যবহার করা হয়না কোন ধরনের ক্যেমিক্যাল। যোগকরা হয়নি কোন প্রিজাভেটিভ। আমার আব্বাকে যে রেসিপি খুশি করেছিল কোন পরিবর্তন ছাড়া সেই রেসিপি ধরে রেখেছি।
বোম্বাই মরিচ, মরিচের একটি প্রজাতি যা প্রচন্ড ঝালের জন্য পরিচিত। নাগা মরিচসহ অন্যান্য আরো অনেক নামে এই মরিচ টি পরিচিত । কেউ কেউ এটি কে ফোটকা মরিচ হিসেবে ও জানেন । ভিটামিন “সি” শরীর কে জ্বর , সর্দি , কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে ও যে কোন ধরনের কাটা ছেড়া কিংবা ঘা শুকানোর জন্য খুবই উপকারী।
এই আচার তৈরিতে ব্যবহার হয়েছেঃ
বোম্বাই মরিচ, রসুন, চিনি, লবন,আদা, জিরা, গরম মসলা, পাঁচফোড়ন তেতুল / কাঁচা আমের পাল্প / জলপাই ভিনেগার এবং অন্যান্য উপাদান।
যারা এখনো টেস্ট করেননি তাদের জন্য নোটঃ একবারে ১ চা চামচের বেশি খাওয়া উচিৎ নয়। যাদের বেশি ঝাল খাওয়ার অভ্যাস নেই তারা এড়িয়ে চলুন। আপনারা চাইলে আমাদের কাঁচা মরিচের আচার ও ট্রাই করে দেখতে পারেন।
Reviews
There are no reviews yet.