
কচু শাকের ভেষজ গুণ
স্বাস্থ্যবিধি / October 11, 2020 / Chefকচু শাক বাংলাদেশে অতি পরিচিত একটি শাক, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে কচু শাক খুবই জনপ্রিয়। বাড়ির উঠোনের কোণে, ধানের ক্ষেতের আইলে, বিলের ধারে যত্রতত্র বিনা যত্নে জন্মে বলে এ শাক সহজেই পাওয়া যায়, কিনে খেতে হয় না। এই শাক বিভিন্নভাবে খাওয়া হয়। তবে, কচু পাতা ভর্তা ও তরকারি বেশি জনপ্রিয়। ইলিশ, চিংড়ি, ছোট মাছ বা শুটকি মাছ দিয়ে এ শাকের তরকারি বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়।
কচুর খাবার উপযোগী জাতগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছেঃ মুখী কচু, পানিকচু, পঞ্চমুখী কচু, পইদনাল কচু, দুধ কচু, মৌলবী কচু, মানকচু, ওলকচু ইত্যাদি। প্রজাতিভেদে কচুর মূল তরকারি, কাণ্ড সবজি এবং পাতা শাক হিসেবে খাওয়া হয়।
কচুর কাণ্ড ও পাতা সবকিছুতেই প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। কচু শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ডিটারেরী ফাইবার, শর্করা, বিভিন্ন খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে।
সাধারণত আমরা দু’ধরনের কচু শাক ভোজন করে থাকি বা খেয়ে থাকি। এটা হল, সবুজ কচু শাক ও কালো কচু শাক।
খুব বেশি সহজলভ্য বলে এ শাককে অনেকেই গুরুত্ব দিতে চান না। কিন্তু এই শাকই দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদার অনেকখানি পূরণ করতে পারে।
এক নজরে কচু শাকের উপকারিতা
- কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে “ভিটামিন এ” থাকায় রাতকানা রোগ প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত উপকারী।
- কচু আঁশ জাতীয় হওয়ায় এটি কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর করে।
- কচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ক্যালসিয়াম যা আমাদের হাড় শক্ত করতে সহায়তা করে।
- চুলের ভঙ্গুরতাও বন্ধতেও কচুর উপকারিতা অনেক।
- কচুতে আয়োডিনের পরিমাণও অনেক।
- যাদের গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটি রয়েছে তাদের জন্য কচু অনেক উপকারী।
- কচুর লতিতে চিনির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরাও নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এটি।
এক নজরে কচু শাকের গুণাগুণ
কোষ্ঠকাঠিন্য
কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ থাকে যা খাবারকে সহজে হজম করতে সাহায্য করে থাকে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাঁরা কচুশাক খেতে পারেন।
রাতাকানা রোগ
কচুশাক ভিটামিন এ-এর খুব ভালো উত্স, রাতাকানা রোগসহ ভিটামিন এ-এর অভাবে হওয়া সকল ধরনের রোগ প্রতিরোধে কচুশাক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ কারণে এটি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া চোখ সম্পর্কিত জটিলতা কমায় ও নানান সমস্যা সমাধান করে।
হিমোগ্লোবিন
আমাদের শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ সচল রাখতে কচু শাক অনেক বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। তাছাড়া কচুশাক আয়রনসমৃদ্ধ বলে এর সমাদর অনেক বেশি। আমাদের শরীরে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে সব ডাক্তাররাই কচু শাক খাওয়ার পরামর্শ দেন।
মুখ ও ত্বকের রোগ
ভিটামিন এ-এর পাশাপাশি এতে রয়েছে ভিটামিন বি এবং সি-ও। তাই মুখ ও ত্বকের রোগ প্রতিরোধেও কচুশাক সমান ভূমিকা রাখে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
এছাড়াও এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত কচু শাক খেলে কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
দাঁত ও হাড়ের গঠন
কচু শাকের সব চেয়ে বড় উপকারিতা হল এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ ও ফসফরাস। আমাদের দাঁত ও হাড়ের গঠনে এবং ক্ষয়রোগ প্রতিরোধে কচু শাকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হৃদরোগ ও স্ট্রোক
এতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, তাই হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়। আসুন আমরা জেনে নেই কচু শাক এর উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণের কথা।
উচ্চ রক্তচাপ কমায়
কচু শাকে থাকা স্যাপোনিনস, টেনিনস, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্লাভোনয়েড উচ্চ রক্তচাপ কমায়। নিয়মিত কচু শাক খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেক কমে যায়।
গর্ভবতী নারী
কচু শাকে বিদ্যমান নানা রকমের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান গর্ভবর্তী মা ও শিশুর জন্য অনেক উপকারী। কচু শাক সহজ লভ্য তাই দরিদ্র পরিবারের গর্ভবতী মহিলারা ভিটামিন ও আয়রনের চাহিদা পূরণের জন্য কচু বা কচুশাক খেতে পারেন।
জ্বর কমাতে
জ্বরের সময় রোগীকে দুধ কচু রান্না করে খাওয়ালে জ্বর দ্রুত ভাল হয়।
No comments so far.
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.
Categories
Products
-
3 Pickle Combo Mini Box
৳ 1,170.00Original price was: ৳ 1,170.00.৳ 999.00Current price is: ৳ 999.00. -
টক ঝাল মিষ্টি আচার তেঁতুল, রসুন, আলুবোখারা
৳ 1,470.00Original price was: ৳ 1,470.00.৳ 1,350.00Current price is: ৳ 1,350.00. -
কালোজিরার আচার ১কেজি ৳ 950.00
-
আমলকির ক্যান্ডি ৪০০ গ্রাম ৳ 590.00
-
আমলকির ক্যান্ডি টেস্টার প্যাক ( ১০০ গ্রাম) ৳ 150.00
Facebook Comments