ঠিক মত  না ঘুমনো, অপর্যাপ্ত ঘুম, অনিয়ম অনুযায়ী জীবনযাপন, এ সবের কারণে কেবল অসুখ-বিসুখেরই হয় তা নয় , চেহারাতেও এর ছাপ পড়ে। এখন কম বেশি সবার চোখের নীচে কালো ছাপ দেখা যায়। সহজে এই ছাপ ওঠেও না। চোখের নিচে কালো  ছাপের ফলে সুন্দর চোখও দেখতে খারাপ লাগে। চেহারা অসুস্থ্য  দেখায়।

তবে উন্নত জীবনশৈলীর সাথে  সঠিক খাদ্যাভ্যাসও এই দাগের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে আপনাকে। প্রচুর পানি , ভিটামিন , সবুজ  শাক সব্জি ও পর্যাপ্ত ঘুম এই দাগ তুলে ফেলা যায় সহজে।

আমরা সহজেই যে সব খাবার খেয়ে বা যে সব দিয়ে এই ডার্ক সার্কেল বা কালো দাগের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি ,  তা দেখে নিতে পারেন।

১)শশাঃ

শশা শরীরে পানির  চাহিদা মেটায়। এ ছাড়া শশায় রয়েছে ভিটামিন এ, সি, এর মতো প্রয়োজনীয় উপাদান। শশার সালফার ত্বকে সতেজ করে । প্রতিদিন  খাওয়ার পাশাপাশি শশার টুকরো নিয়মিত চোখে লাগালে  কালো দাগ উঠতে সাহায্য করে । শশার রস নিয়মিত ব্যবহারে এই সমস্যা অনেকটাই কমবে সহজে।

২) টমেটোঃ

সূর্যালোকের অতি বেগুনি রশ্মির সাথে লড়ার  ক্ষমতা রয়েছে টমেটো রসে। তাই টমে টো প্রাকৃতিক টোনার এর কাজ করে থাকে । এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের নীচের কালো দাগ সরাতে খুব ভালো কাজ করে । রোদ থেকে ফিরে টমেটোর রস মুখে লাগাতে পারেন সাথে চোখের নিচে।

৩) পানিঃ

ঠিক কতখানি পানি  আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজন জানেন? চিকিৎসকের সাথে  পরামর্শ করে তা জানতে হবে আগে। তার পর রুটিন মেনে সেইপানি  খাওয়ার  অভ্যাস করুন । চোখের নিচে  কালো ছাপ কমাতে পানির  চেয়ে শক্তিশালী আর কিছু হতে পারে না। ফাস্ট ফুড, প্রচুর চা-কফি, ঠান্ডা পানীয়—এ গুলি শরীরের জল শোষণ করে। তাই এ সব এড়িয়ে পর্যাপ্ত পানি  খান।

৪) তিলঃ

তিল আছে জাদু। তিলে  প্রচুর ভিটামিন ই রয়েছে, যা আমাদের দৃষ্টিশক্তির জন্যও কার্যকর। চোখের চারপাশের কালো দাগ সড়াতে  তিলের উপর ভরসা করেন অনেক বিউটিশিয়ানরাও। অনেক ক্রিমেও তিল ব্যবহৃত হয়।

৫) তরমুজঃ

তরমুজ ফলে জল রয়েছে ৯২ শতাংশ। এতে বিটা ক্যারোটিন, ফাইবার, লাইকোপিন, ভিটামিন বি-১, বি-২, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। চোখের কালো দাগ দূর করতে অনেক সাহায্য করে এই উপাদানগুলি। কালো দাগের উপর তরমুজের শাঁস লাগালেও ভাল কাজ হবে।

 


No comments so far.

Leave a Reply