অনেকের ধারণা শুধু শীতেই ফাটে ঠোঁট । কিন্তু শীতের আর্দ্রতা ছাড়াও থাকে ঠোঁট ফাটার প্রবণতা। ঠোঁট ভালো রাখতে যত্ন নিতে হবে শরীরের ভেতর ও বাইরে দুই দিক থেকেই। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং ত্বক ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। সঙ্গে খেতে হবে মৌসুমি ফল ও সবজি। দীর্ঘদিন ঠোঁট ফাটা থাকলে ঠোঁটে স্থায়ী দাগ বসে যেতে পারে।

এখন জেনে নেওয়া যাক ঠোঁটের যত্ন সম্পর্কে

লিপস্টিক ব্যবহারের পর ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

নারকেল তেলের সঙ্গে মোটা দানার চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তবে ফাটা ঠোঁটে স্ক্রাব ব্যবহার করা যাবে না।

মানসম্পন্ন লিপস্টিকও ঠোঁটের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে। তবে এ ক্ষেত্রে লিপস্টিকের উপাদান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ভিটামিনসমৃদ্ধ ও তেল আছে এমন লিপস্টিক ঠোঁটের জন্য ভালো।

প্রয়োজনে যে টুথপেস্ট ব্যবহার করছেন তা বদলে ফেলুন। সাদা রঙের টুথপেস্ট সাধারণত ভালো ঠোঁটের জন্য।

অবশ্যই সাবান ও ফেসওয়াশ ঠোঁটে লাগাবেন না।

বারবার জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজানো যাবে না।

জলপাই তেলে রয়েছে ভিটামিনসহ নানা রকম খনিজ উপাদান। প্রতিদিন ঘুমানোর সময় ঠোঁটে জলপাই তেল লাগিয়ে ঘুমালে ঠোঁট কোমল থাকে।

ঘুমানোর আগে সামান্য ঘীয়ে মেশান একটু দুধের সর। তারপর এই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। দীর্ঘ সময় ধরে ত্বককে নরম রাখে ঘী। দুধের সর ত্বকের ময়লা দূর করে ও মৃত কোষ ঝরিয়ে দেয়। তাই এই মিশ্রণ সারা রাত ঠোঁটে দিয়ে রাখলে ঠোঁট নরম থাকে, সঙ্গে ঠোঁটের কালো ভাবও দূর হবে।

 

Facebook Comments


No comments so far.

Leave a Reply