আমকে বলা হয় ফলের রাজা। কেবল স্বাদে মিষ্টি বা ত্বককে ভালো রাখাই নয়, এর মধ্যে রয়েছে এমন অনেক পুষ্টিগুণ যা শরীরকে ভালো রাখে। সারা বিশ্বে প্রায় এক হাজার প্রজাতির আম রয়েছে। প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগে হিমালয়ের আশপাশের সমতলভূমিতে এ ফলটি আবিষ্কৃত হয়েছিল। কাঁচা আম সাধারণত আচার বানানোর কাজে ব্যবহার করা হয়।এছাড়াও জুস, চাটনি, সস, জ্যাম এবং ফলি হিসেবে খাওয়া হয়। তবে সবচাইতে আকর্ষণীয় হচ্ছে কাঁচা আমের আচার।
আসুন তাহলে জেনে নেই কাঁচা আমের স্বাস্থ্য গুণাবলী সম্পর্কে-
১. আম রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেলের মাত্রা কমায়। ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করে। ক্যানসার কোষকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে।
২. আমে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ প্রোটিন যা জীবাণু থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়। তাই আমের আচার খেতে পারেন ।
৩. পুরুষের যৌনশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীর ফিট রাখে।
৪. আমে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। চোখের চারপাশের শুষ্কভাবও দূর করে। তাই আমের আচার প্রতিদিন খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন।
৫. ওজন কমাতে চাইলে আম খেতে পারেন। খাবারের প্রতিদিন আমের আচার রাখতে পারেন।
৬. কাঁচা আম দেহের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, দুপুরে খাওয়ার কাঁচা আমের আচার খেলে বিকেলের তন্দ্রাভাব কাটে।
৭. লিভারের সমস্যায় আম খাওয়া উপকারী। এটি বাইল এসিড নিঃসরণ বাড়ায় এবং অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে পরিষ্কার করে।
৮. দেহে নতুন রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে আম।তাই আমের আচার খেতে পারেন।
৯. খনিজ পদার্থ আয়রনের ভালো উৎস আম। অ্যানিমিয়া আক্রান্ত রোগীদের জন্য ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে আম।
১০. সন্তানসম্ভবা নারী এবং মেনোপোজ হওয়া নারীর আয়রনের ঘাটতি পূরণে আম বেশি উপকারী।তাই খাবারের তালিকায় আমের আচার রাখতে পারেন।
১১. কাঁচা আম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য খেতে পারেন। কাঁচা আম মধু দিয়ে খাওয়া পেটের কষাভাব দূর করতে সাহায্য করে।
১২. আয়রন ও সোডিয়ামের ঘাটতি পূরণে বেশ কার্যকরী আম।তাই আমের আচার খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
১৩. আম খেলে মাড়ির জন্য ভালো। দাঁতের ক্ষয় এবং রক্তপাত রোধ করে। এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
১৪. আম পুরুষের শুক্রাণুর গুণগত মানকে ভালো রাখে।
সূত্র; ইন্টারনেট