বাইরে ঝুম বৃষ্টি ঝরছে। এই সময়টা যেন খিচুড়ি না হলেই নয়। বৃষ্টির সঙ্গে খিচুড়ির প্রেমটা যেন অনেক পুরনো। একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই তো বৃষ্টি দিনে বাসায় খিচুড়ি নেই এটা যেন বড়ই বেমানান। তাই এই বৃষ্টি বিলাসে আচারি খিচুড়ি হলে দিনটা যাবে অন্যরকম।

আচারি খিচুড়িতে যা যা প্রয়োজন-

গরু/খাসি/মুরগি মাংস- ২ কেজি

পোলাওয়ের চাল- ৪ কাপ
মসুরের ডাল- ২ কাপ
পেঁয়াজ- ১ কাপ
তেল- ১/২ কাপ
আদা- ২ টেবিল চামচ
রসুন- ২ টেবিল চামচ
জিরা- ১ টেবিল চামচ
ধনে- ১ চা চামচ
হলুদ- ১ চা চামচ
মরিচ গুঁড়া- ২ টেবিল চামচ
যে কোনো আচার- ১/২ কাপ
রসুনের কোয়া খোসাসহ- ১০/১২টি
এলাচ- ৬টি
দারুচিনি- ২ টুকরো
তেজপাতা- ২টি
কাঁচামরিচ- ৭/৮টি
পেঁয়াজ বেরেস্তা- ১/২ কাপ
পানি- ৮ কাপ

প্রণালি-
প্রথমে মাংসে পেঁয়াজ, তেল, আদা, রসুন, জিরা, ধনে, হলুদ, মরিচ, গরম মসলা সব দিয়ে হাতে মেখে প্রয়োজনমত পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করুন। তারপর ৩০ মিনিট কম আঁচে রান্না করুন।

মাংস ৮০℅ সিদ্ধ হলে আচার দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিয়ে আরও ১০ মিনিট রান্না করুন। ঝোল মাখামাখা হলে নামিয়ে একটি মোটা ছাঁকনি দিয়ে ঝোল থেকে ছেঁকে ছেঁকে মাংস একটা বাটিতে তুলে রাখুন। মাংসের ঝোলসহ হাড়ি চুলায় দিন আবার।

এবার ধুয়ে পানি ঝড়ানো চাল, ডাল ঝোলে দিন। নেড়েচেড়ে ভাজুন এক মিনিট। (এই চাল বেশি ভাজার প্রয়োজন নেই)। তারপর ৭ কাপ গরম পানি দিয়ে হাই ফ্লেমে পানি ফুটে উঠা পর্যন্ত রান্না করুন। পানি ফুটে উঠলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কম আঁচে রান্না করুন কিছুক্ষণ।

যখন দেখবেন চালে পানি মাখা মাখা হয়ে গেছে আর চাল প্রায় সিদ্ধ হয়ে এসেছে এবার খিচুড়িতে মাংস এড করে দিন। হাল্কা হাতে মাংস ভালো করে মিশিয়ে উপরে কাঁচামরিচ আর রসুনের কোয়া দিয়ে একটা তাওয়ায় হাড়ি রেখে ১০ মিনিট দমে রাখুন।

দশ মিনিট পর খিচুড়ির ওপর বেরেস্তা ছিটিয়ে চুলা থেকে নামান। রেস্টে রাখুন ৫/১০ মিনিট। খোসাসহ রসুনের ভেতরটা সিদ্ধ হয়ে নরম হয়ে যাবে। খিচুড়ি খাওয়ার সময় এই রসুন আলতো চাপ দিলে রসুন গলে ক্রিমি একটা টেক্সচার বের হয় যা খেতে খুবই সুস্বাদু।


No comments so far.

Leave a Reply