কলার গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা সকলেই কম বেশি জানি । কলা যেমন পুষ্টিকর, তেমনই সুস্বাদু। কলা এমন একটি ফল যা সব অংশতেই  উপকারী। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি কলা ত্বকেরও নানান উপকার করে থাকে বহুগুণ । শুধু কলারই নানা গুণাগুণ আছে তা নয়, কলার খোসার আরও রয়েছে বহু গুণ। । কলার খোসা আমাদের ত্বকের নানা সমস্যা সমাধান করে থাকে । কিভাবে রূপচর্চার কাজে  ব্যবহার করবেন কলার খোসা। জেনে নিন…

) ব্রণ এবং দাগছোপ কমায়:

কলার খোসার ছোটো একটি  টুকরো কেটে ভেতরের সাদা অংশটা আছে ওই অংশ টা যেখানে ব্রণ হয়েছে  সেখানে ভালো করে ঘষতে হবে,কিছুক্ষণ  যতক্ষণ না খোসাটা বাদামি রঙের হচ্ছে। এই ঘরোয়া পদ্ধতি যা ত্বকের দাগ-ছোপ  কমাতে সাহায্য করবে অনেক ।

) ডার্ক সার্কেল :

ডার্ক সার্কেল চোখের নীচে থাকলে খুব বাজে দেখতে লাগে চেহারা । তাই এই ডার্ক সার্কেল অর্থাৎ চোখের কালি তোলার জন্য আমরা কত কিছুই না ব্যবহার করে থাকি । ডার্ক সার্কেল এ কাজে কলার খোসা খুবই উপকারী। কলার খোসার ভেতর থেকে সাদা আঁশটা চামচ দিয়ে বের করে অ্যালোভেরা জেলের সাথে মিশিয়ে লাগালে ভালো উপকার পাওয়া যায়। এই মিশ্রণটি মেখে চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ থাকার পর, ঠান্ডা পানি দিয়ে  মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২/৩ দিন করলেই চোখের কালি আস্তে আস্তে চলে যাবে। উপকার আপনিই বুজতে পারবেন ।

) বলিরেখা কমবে:

বলিরেখা মুখে থাকলে মুখে বয়েসের ছাপ পরে যায় অল্প বয়সে । তাই বলিরেখা কমাতে কলার খোসা খুবই ভালো একটা  জিনিস। কলার খোসা মিক্সিতে দিয়ে পেস্ট করে তার সাথে একটা ডিমের কুসুম মিশিয়ে ফেস প্যাক বানিয়ে নিন। এবার  মিশ্রণটি পুরো মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে নিন। এই ফেস প্যাকটি বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।

) ফাইন লাইনস:

আপনি চাইলে কলার খোসার ভেতরের অংশটি আপনার ত্বকে আলতোভাবে ঘষুন এবং ৩০ মিনিট রেখে দিন। পরে হালকা গরম পানি  দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কলার খোসায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বককে টানটান করতে সাহায্য করে বহুগুণ ।

) ঠোঁটের যত্ন:

মুখের সব জায়গার মতো ঠোঁটের ক্ষেত্রেও কলার খোসা অত্যন্ত উপকারি কাজ করে থাকে । কলার খোসা প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর থাকে , তাই ঠোঁটে ঘষলে ঠোঁটের  আর্দ্রতা বাড়ায়।এবং কালছে ভাব কমতে সাহায্য করে ।


No comments so far.

Leave a Reply