রোগকে প্রতিরোধ করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে খাদ্য এই কথা টা আমরা কম বেশি সকলের জানি । খাদ্য যেমন রোগকে দূরে রাখতে পারে তেমনি আবার এই খাবারের কারণে শত রোগ মানুষের শরীরে বাসা বেঁধে থাকে আমাদের  । কাজেই অন্য কিছু নিয়ম কানুনের সাথে খাদ্যের ব্যাপারেও সবাইকে হতে হবে অনেক বেশী সচেতন যাতে করে আমাদের শরিরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধতে না পারে । পৃথিবীতে বেশ কিছু খাদ্য আছে যা একই সাথে শত গুনের আধার। তেমনই একটি  খাদ্য হচ্ছে টক দই। আমরা অনেকেই জানিনা টক দই শরীরের জন্য কতটা উপকার । টক দই খাওয়ার উপকারিতাগুলো হচ্ছে:

 

১. টক দই  শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়| ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি ও জ্বর না হওয়ার জন্য এটি ভালো কাজ করে।

২. টক দইয়ের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে খুব সহজে তাই  শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে বাড়িয়ে হজম শক্তি বাড়ায় বা ঠিক রাখতে সাহায্য করে ।

৩.  টক দই নিয়মিত খেলে  কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ও কোলন ক্যান্সার এর রোগীদের জন্য উপকারী।

৪. টক দই সহজে  ব্যাকটেরিয়া হজমে সহায়ক| তাই এটি পাকস্থলী/ জ্বালাপোড়া কমাতে বা হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে থাকে |

৫.টক দইয়ে  প্রচুর ভিটামিন ডি  থাকার কারণে হাড় ও দাঁতের গঠনে ও মজবুত করতে সাহায্য করে।

৬. টক দইয়ের  আমিষ দুধের চেয়ে সহজে হজম হয়, এটি দুধের চেয়ে অনেক কম সময়ে হজম হয়| তাই যাদের দুধের হজমে সমস্যা তারা দুধের পরিবর্তে টক দই  খেতে পারেন।

৭. টক দই রক্ত শোধন করতে সাহায্য করে ।

৮. যাদের উচ্চ রক্ত চাপে ভুগছেন সেই  রোগীরা নিয়মিত টক দই খেলে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন।

৯.যাদের  ডায়বেটিস, হার্টের অসুখ এর রোগীরা নিয়মিত টক দই খেলে এসব অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন সহজে ।

১০. নিয়মিত টক দই খেলে তা অন্য খাবার থেকে পুষ্টি নিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে |

১১. টক দইয়ের  পুষ্টি উপাদানগুলো হজমের সময় তাড়াতাড়ি শরীরে শোষিত হয়ে থাকে ও তাড়াতাড়ি  শরীরকে শক্তি দেয়।

১২. টক দই  ব্রেইনকে মানসিক প্রশান্তি দেয় এবং ক্লান্তি কমায়|

১৩. টক দই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে| তাই গ্রীষ্মকালে টক দই খেলে খুবই ভালো |

১৪. টক দই নিয়মিত খেলে স্ট্রেস থেকে মুক্ত থাকে আপনার পেট। স্ট্রেস কি শুধুই মনের ব্যাপার? তা কিন্তু একবারে  নয়। শরীরেও পড়ে স্ট্রেসের নেতিবাচক প্রভাব আর যাদের পেট একটু স্পর্শকাতর, স্ট্রেসে থাকলে তাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। মাঝারি মাত্রার স্ট্রেসেই তাদের হয় বারবার বাথরুমে ছুটতে হয় অথবা বেশ কিছুদিন ধরে স্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে অনেকেই ।

 


No comments so far.

Leave a Reply