জয়ফলের বোটানিকাল নাম মাইরেস্টিকা ফ্রেগরেন্স (Myristica fragrans)। আর জয়ত্রির ইংরেজি নাম (Nutmeg)পরিচিত। জয়ফল বৃক্ষ জাতীয় চিরচহরিত গাছ। জয়ফলের গাছে রসালো খোসাযুক্ত ফল হয়।জয়ফলের খোসা ছাড়ালে দেখা যায় রক্তবর্ণ পাপড়ির মত আবরণযুক্ত গোলাকার একটি বীজ যা আমরা জয়ফল নামে জানি। জয়ফলের আদি বাসস্থান হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া।

 

আমরা যে রোস্ট, কোরমা, বিরিয়ানি, কাবাব ইত্যাদি খাবারে জিভে পানি  আনে এই  বিশেষ ঘ্রাণ তৈরীর অন্যতম মসলাটির নাম  হচ্ছে জয়ফল। অসম্ভব সুন্দর সুগন্ধের ভরা এই মসলাটি ব্যবহার হয় নানারকম রাজকীয় ধরনের রান্নাতে। জয়ফল মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হলেও জয়ফল এর গুণাগুণ অপরিসীম! খাবারে রুচিও বাড়াতে সাহায্য করে এই জয়ফল।

 

Nutmeg oil পেট ব্যাথা কমায়, পেট থেকে অতিরিক্ত গ্যাস বের করে দেয়, খাবারে রুচিও বাড়ায়। মুখের দুর্গন্ধ সড়াতে সাহায্য করে। জয়ফল  মুখের দুর্গন্ধসৃষ্টিকারী ব্যকটেরিয়াকে ধ্বংস করে নিঃশ্বাসকে সজীবও সতেজ রাখে। দাতের ব্যাথা এ মাড়ির বিভিন্ন সমস্যায় সমাধান করে থাকে ।

 

ব্রণের চিকিৎসায় জয়ফল

ব্রণ তাড়াতাড়ি দূর করতে চাইলে জয়ফল ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে জয়ফলের সাথে মধু ও লেবুর রস মেশালে এর কার্যক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। এখন এই উপাদানগুলো দিয়ে কীভাবে মাত্র ৭ দিনে  ব্রণ সমস্যা সমাধান করবেন তা দেখে নিন।

 

যা যা লাগবে

লেবুর রস ১টেবিল চামচ, মধু ১ টেবিল চামচ ও জয়ফল গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ। এবার এই তিনটি উপাদান একসাথে  ব্যবহারে ব্রণের জীবাণু ধ্বংস হবে এবং , ব্রণের দাগ ও বলিরেখা সড়াতে সাহায্য করবে। এই প্যাকটি ব্যবহারে  ত্বক টানটান করতে সাহায্য করে। জয়ফলের গুঁড়ো ত্বকের ব্যবহারে  ত্বকে কোষের  পুষ্টি জোগায় এবং ত্বককে দাগ মুক্ত করে । লেবুর রস ব্রণের দাগ সরিয়ে  ত্বক উজ্জ্বল করে এবং মধু ত্বকের সতেজ ও লাবন্য  ধরে রাখতে সাহায্য করে ।

 

যেভাবে ব্যবহার করবেন

সর্বপ্রথমে জয়ফল ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে গুঁড়ো করে নিতে হবে।তারপর  এর মধ্যে মধু ও লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করতে হবে । এবার এই প্যাকটি  মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে ১০-১৫  মিনিট রাখুন তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কিছুক্ষন পর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে পারবেন।

 


No comments so far.

Leave a Reply