রূপচর্চায় বিটরুট

নিজেকে সুন্দর দেখাতে চান না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। তাইতো কমবেশি সবাই রূপচর্চা করে থাকেন ।আর  এক্ষেত্রে পুরুষদের চাইতে নারীদের সংখ্যাই বেশি। নারীরা রূপচর্চায় নানান প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন । বিশেষ করে মেয়েদের ত্বক ও চুলের নানা সমস্যা লেগেই থাকে।তবে ঘরোয়া উপকরণ দিয়েও সৌন্দর্যচর্চা করা সম্ভব। কখনও ডার্ক সার্কেল, কখনো বা ঠোঁটের কালচে ভাব বা চুল ঝরে পড়া তীব্র সমস্যা। এ সকল রূপচর্চায় সমস্যার সমাধান হতে পারে বিটরুট দিয়ে।

 চলুন জেনে নেই রূপচর্চায় বিটরুটের ব্যবহার: 

১) উজ্জ্বল ত্বক পেতে

বিটরুট টুকরো করে কেটে বা পেস্ট করে  মুখে এবং ঘাড়ে আস্তে আস্তে ম্যাসেজ করে  লাগান। ১০- ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর পানি দিয়ে ভালো করে  ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এভাবে ব্যবহারে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও গোলাপি।

 

রূপচর্চায় বিটরুট
 

২) ডার্ক সার্কেল দূর করতে

বিটরুটের রসের সাথে  মধু এবং দুধ মেশান।তারপর যা করবেন  কটন বাড দিয়ে মিশ্রণটি চোখের চারপাশে লাগিয়ে নিন। এভাবে ১০-১৫  মিনিট অপেক্ষা করার  পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

 

৩) ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে

বিটরুট পেস্ট করে তার রস ঠোঁটে লাগিয়ে নিন। চাইলে পেস্ট করা বিটরুটের সাথে  চিনি মিশিয়ে ঠোঁটে হালকা ভাবে ম্যাসেজ করুন । এতে করে  মরা কোষ দূর হবে এবং ঠোঁট হবে কোমল ওঁ গোলাপি ।

 

৪) চুল পড়া প্রতিরোধ করে

যাদের চুল প্রচুর পরিমানে পড়ছে তারা বিটরুটের রস চুলের গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে ১৫-২০  অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন । হেয়ার মাস্কের জন্য চাইলে  রসের সাথে কফি মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এটি কন্ডিশনার হিসেবেও ভালো কাজ করে থাকে ।

 

৪) মসৃণ ত্বক পেতে

বিটরুট ব্লেন্ড করে পেস্টের সাথে  দুই চামচ দই এবং ১ চা চামচ  আলমন্ড অয়েল মেশান। মিশ্রণটি মুখ এবং শরীরে ম্যাসাজ করে নিন। ১০-১৫  মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

 

৫) বলিরেখা প্রতিরোধে

বিটরুট পেস্ট করে তার রসের সাথে  মধু এবং দুধ মেশান। এই মাস্কটি সারা মুখে পাতলা করে লাগিয়ে নিন। চাইলে সপ্তাহে ২/৩ দিন  এই মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এটি বলিরেখা প্রতিরোধে করতে সাহায্য করে ।

 

৬) খুশকি তাড়াতে

যারা বহু দিন ধরে খুশকির  সমস্যায় ভুগছেন তারা সামান্য ভিনেগার অথবা নিমের পানি বিটরুটের রসে মেশান। মাথায় লাগানোর কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।  ব্যস  খুশকি দূর আর  চুল হয়ে উঠবে  মসৃণ এবং ঝরঝরে।

 

রূপচর্চায় বিটরুট
 

৭) ব্রণ দূর করতে

বিটরুটের রসের সাথে সমপরিমাণ টমেটোর রস মেশান। এবার এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাকুন । এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস দূর করতে সাহায্য  করে।

 

৮ ) চুলে প্রাকৃতিক রঙ

যারা চুল কালার করতে চান কিন্তু চুল নষ্ট হয়ে যাবে বলে পারছেন না তারা চুলে প্রাকৃতিক রঙের আভা আনতে চাইলে এক কাপ গাজরের রসের সাথে  আধা কাপ বিটরুটের রস মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে নিন।এবার  দেড় থেকে দুই ঘন্টা  অপেক্ষা করার পর  চুল ধুয়ে ফেলুন ।ব্যস চুলে প্রাকৃতিক রঙ চলে আসবে ।

 

 


No comments so far.

Leave a Reply