শৈশব থেকেই চুলের স্বাস্থ্যের যত্ন

শিশুর জন্মের পর থেকেই তার শারীরিক যত্নের বিষয়ে নজর রাখেন সকল অভিভাবকরা। কিন্তু অনেক সময় অন্য সব যত্ন নিলেও সন্তানের চুলের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেন হয় না অনেকের । তাই সন্তানের চুলের স্বাস্থ্যের কিছু নিয়ম মানুন তার শৈশব থেকেই।

তাহলে আসুন কিভাবে শৈশব থেকেই চুলের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া যায় তা জানবো – 

ছোটবেলা থেকেই শিশুর খাদ্যতালিকায় রাখুন প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি। এটি চুলের বাড়তে বা বড় হতে  বিশেষ সহায়ক। এখন দেখবেন শিশুদের জন্য তৈরি নানা প্রসাধনে ভিটামিন ডি থাকে। আপনারা তো জানেন ই সূর্যের আলোয় প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে। তাই প্রতিদিন  শিশুকে হালকা রোদে রাখতে পারেন।

মনে রাখবেন দোলনায় বা বিছানায় শিশুকে খালি মাথায় শোয়াবেন না। দোলনা বা বিছানার ঘষায় শিশুর মাথার নরম ত্বকে দাগ পড়ে যেতে পারে । ফলে সেই জায়গার আস্তে আস্তে  চুল উঠে যায়। এমন অবস্থা যাতে না হয় তাই  হালকা কোন কাপড় বা টুপি জড়িয়ে রাখতে পারেন শিশুর মাথায়।

শৈশব থেকেই চুলের
স্বাস্থ্যের যত্নপ্রোটিন ও অ্যামাইনো অ্যাসিডের যাতে ঘাটতি না হয় সে দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। শিশু একটু বড় হলে তাকে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের বাদাম খাওয়ানর অভ্যাস করুন ।আপনি কি জানেন  দিনে ২-৩ টি বাদাম চুলের বাড়াতে  অত্যন্ত উপকারী। মনে রাখবেন শিশুর চুল ফালাণোর  জন্য ব্যবহৃত ছুরি-কাঁচি, ক্ষুর, চিরুণি যেন অপরিষ্কার ও জং ধরা একেবারেই না হয় সেই দিকটাই খেয়াল রাখবেন । বিশেষ করে শিশুর মাথার স্কাল্পের যত্নের জন্য মাঝে মাঝেই নরম চিরুণি দিয়ে আঁচড়ে দিতে পারেন  চুল। এতে মাথার স্কাল্পে রক্ত চলাচল ভাল হয় ওঁ স্বাভাবিক থাকে ।

শিশুকে নিয়ম করে মাথায় শ্যাম্পু করানো উচিত। শিশুদের ওঁ কিন্তু শ্যাম্পু করতে হয় শ্যাম্পু  না করালে মাথার ত্বকেরও বিভিন্ন  ক্ষতি হতে পারে । মনে রাখবেন ঠাণ্ডার ভয় থাকলে হালকা গরম পানি করে শিশুকে শ্যাম্পু করান। শুধু শ্যাম্পুই নয়, ছোট থেকেই শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার দিন শিশুর মাথায় শিশুদের। ১ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। শিশুর ত্বকের উপযুক্ত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার কিনুন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। আপনার সন্তানের মাথার ত্বকে হালকা করে অ্যালোভেরার রস লাগিয়ে রাখতে পারেন। আপনার সন্তানের চুল মাঝে মাঝেই কেটে দিন কয়েক মাস পর পর। চুলের গোড়া কাটলে চুল তাড়াতাড়ি বাড়তে সাহায্য করে। বিশেষ করে গোড়া ফেটে যাওয়ার আগেই অল্প করে কেটে দিলে চুল বাড়বে তাড়াতাড়ি।

 


No comments so far.

Leave a Reply