আচার কথা টা শুনতে বেশ লোভনীয় হলে ও ব্যাপারটা কিন্তু মুখরোচক । এই বিষয়ে কোন কিছু লেখা বা পড়া শুরু করলে জিভ এ জল আসবে না তেমন টা কিন্তু না।তাই কোন কিছু শুরু করার আগে নিজের মতো করে দুটো লাইন বললে কেমন হয়ঃ
‘’আচার তুমি সবার মুখে পানসে পানসে জল
মুখের ভেতর ধরা দিলে টক-মিষ্টি প্রেমাতাল’’
প্রাচীন কাল থেকে কিন্তু এই ভালোবাসার প্রয়োগ চলে আসছে । মিশরীয় নারীরা তাদের রূপবৈচিত্র ফূটিয়ে তূলতে নাকি আচর খেত, তদুপরি শূনতে পাওয়া যায় আমেরিকার আবিষ্কার নাকি আচার খেয়ে হয়েছে। কথাটা শুনতে লে বাবা টাইপ প্রশ্ন আসলেও এর কিন্তু সুন্দর একটা ব্যাখ্যা আছে। তাহলে আসুন জেনে নেই ব্যাপারটা কি?
নারী হিসেবে মিশরের প্রথম ফারাও ছিলেন সোবেকনেফেরু। তিনি ৩য় ফেরাউন আমেনেমহাটের কন্যা। সোবেকনেফেরু কেউ কেউ নেফারুসোবেক ও বলেন। যার অর্থ সোবেক এর সৌন্দর্য্য। খ্রিষ্টপূর্ব ১৮০৬ থেকে ১৮০২ পর্যন্ত চার বছর সোবেকনেফেরু মিশর শাসন করেছেন। তার ছিলো হাজার হাজার প্রেমিক যারা তার রুপের জন্য পাগল। তিনিও তার খাদ্য তালিকায় আচার কে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন। ফারাও নারীদের পছন্দ আচার তারা বিশ্বাস করতেন আচার তাদের রুপ যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
প্রাচীন কাল এর আচার তৈরি শুরু হয় সবজি সংরক্ষণ এর মধ্য দিয়ে। অনেক দূর ভ্রমন করার জন্য এর ব্যবহার করা হত, তাতে করে গুনাগুন ভালো থাকতো। সেই সাথে ভিটামিন সি এর অভাব মোচন হতো একই সাথে রিকেটস নামক রোগ থেকে রক্ষা পেতো। কারন কলম্বাসকে লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয়েছিলো, আর সেই সাথে খাবার ও সংরক্ষণ করতে হয়েছিল গুনাগুন এর কথা চিন্তা করে।
যদি জানতে চাওয়া হয় বাবহার এর ব্যাপক সাড়া কবে থেকে পরে তা হলে বলা চলে মুঘল আমল এর প্রাক্কালে। তখনকার রাজা বাদশারা খাবার শেষে আচার খেতো, এটার মধ্যে একটা বাদশাহী বাদশাহী ভাব থাকতো। তাদের ধারণা ছিল খাবার শেষে আচার খেলে পরিপাকতন্ত্রের কাজটা ঠিক ভাবে হত,আর খাবারে হজম শক্তি বৃদ্ধি পেত। তাইতো ইতিহাস পড়লে বোঝা যায় তখনকার বাদশাহরা কতোইনা সুঠাম ছিলো এর একমাত্র কারন ছিলো তাদের খাদ্যতালিকা।
সেই ধারাবাহিকতায় এখনো কিছু কিছু মোঘল সংস্কৃতি রেস্তোরাঁতে কিন্তু খাবারের সাথে আচার দিয়ে থাকে। তাই আচার কে বলা হয় মুঘোল মুখরোচক খাবার।
আচারের গুণাগুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না, হার্টের রোগ, ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসার, এর জন্য বিশেষ ভূমিকা রয়েছে আচারের। আর সেই সাথে ২০১৫ সাল থেকে চুইঝাল দিয়ে আসছে মান সম্মতো ঘরোয়া আচার। আমাদের সার্বিক জীবনে ব্যাস্ততার কারনে হয়তো ঘরোয়া আচার খাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও করে হওয়া ওঠেনা।আর আমরা চুইঝাল সেই দিক বিবেচনা করে আপনাদের ঘরে পৌছেদিতে সর্বদা প্রস্তুত আমাদের ঘরোয়া আচার।
এখনকার সময়ে মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে, তারা ঔষধের বিকল্প হিসেবে মুঘোলিক পন্থা অবোলম্বন করছে।তার একমাত্র কারন আচারের কার্য দক্ষতা।
তাই সর্বোপরি বলাযায় তিনবেলা না হোক অন্তত দু বেলা খাবারের পরিসমাপ্তিটা হোক আচার দিয়ে।