মাছ বাঙালির খুবই পছন্দের একটি খাদ্য। সব বয়সীদের জন্যই মাছ উপাদেয় ও সহজপাচ্য। তাই পরিবারের সদস্যদের আমিষের চাহিদা পূরণে মাছের গুরুত্ব সর্বাধিক। দামে তুলনামূলকভাবে সস্তা ও সহজলভ্য হওয়ার কারণে ছোট মাছ, বড় মাছের তুলনায় বেশি খাওয়া হয়। ছোট মাছ বলতে মূলত পুঁটি মাছ, কাঁচকি মাছ, মলা, ঢেলা, টেংরা, কৈ, মইলশা, শিং, পাবদা, বাটা, মেনি ইত্যাদিকেই বুঝিয়ে থাকে। আমাদের দেশে এই মাছগুলো খুব সহজেই পাওয়া যায়। গ্রামে বেশির ভাগ মানুষ টাটকা মাছ পেয়ে থাকে আর শহরে বাজার হতে পাওয়া যায় ছোট মাছ। আজকে লেখাতে থাকছে মুলত আপনাদের জন্য ছোট মাছের উপকারিতা গুলো।

চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক ছোট মাছের উপকারিতা গুলোঃ

(১) ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খনিজ লবণ সমৃদ্ধ গুঁড়া মাছ উপকারী। হৃদরোগী, স্ট্রোকের রোগীর ও গর্ভবতী মা ও দুগ্ধদানকারী মায়ের জন্য গুঁড়া মাছ খুবই উপকারী।

 

(২) ছোট মাছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে যা রাতকানা, অন্ধ হয়ে যাওয়া ছাড়াও দৈনন্দিন অনেক শারিরীক সমস্যা দূর করতে সক্ষম। শিশুদের রাতকানা রোগ ঠেকাতে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ মলা, ঢেলা ও গুঁড়া মাছ খাওয়ান। দৃষ্টিশক্তির জন্যও গুঁড়া মাছ দরকার।

 

(৩) উঠতি বয়সী শিশুদের জন্য প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৩ এবং ভিটামিন ডি যুক্ত গুঁড়া মাছ খুবই উপকারী।

 

(৪) ছোট মাছে অসম্পৃক্ত চর্বি আছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এ ছাড়া আয়রন, প্রোটিন, ফসফরাস, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি২, ফ্যাটি অ্যাসিড, লাইসনি ও মিথিওনিনেরও ভাল উৎস ছোট মাছ।

 

(৫) ছোট মাছে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। কাঁটাসহ ছোট মাছ ক্যালসিয়ামের এক অনন্য উপাদান। মলা, ঢেলা, চাঁদা, ছোট পুঁটি, ছোট চিংড়ি, কাচকি ইত্যাদি জাতীয় মাছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন ‘এ’ বিদ্যমান। মানবদেহে দৈনিক প্রচুর ক্যালসিয়ামের চাহিদা থাকে। বিশেষ করে বাড়ন্ত শিশু, গর্ভবতী মা এবং প্রসূতি মায়েদের ক্যালসিয়ামের চাহিদা আরও বেশি। হাড় ও দাঁত গঠনে ক্যালসিয়াম অত্যন্ত দরকারি। তাই প্রতিদিন আমাদের ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ ছোট মাছ খাওয়া উচিত।

 

 


No comments so far.

Leave a Reply