শিশুর ডায়াপার র‍্যাশ

অনেক সময় দেখবেন যে শিশুর ডায়াপারের নিচের ত্বক লাল হয়ে আছে  বা ফুসকুড়ি দেখা দেয় আমরা সাধারণত তাকেই  ডায়াপার র‍্যাশ বলে থাকি । বাড়িতে সহজেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

ডায়াপার ্যাশ কখন বেশি হয়?

  • ৫-৯ মাস বয়সি শিশুর
  • পাতলা পায়খানা বা অন্য কোনো অসুখে-বিসুখে।
  • শিশুকে শক্ত খাবার খাওয়ানো  শুরু করলে
  • শিশু সারারাত ঘুমানো শুরু করলে
  • এই সময়গুলোতে শিশুর ত্বকের প্রতি বেশির ভাগ খেয়াল রাখতে হবে।

ডায়াপার ্যাশ হলে কী করবেন?

 

নিয়মিত ডায়াপার বদলানো: 

শিশুর ডায়াপার ভিজে গেলে বদলাতে দেরি করবেন না কোন মতেই । ভেজা ত্বকেই  র‍্যাশ বাড়ার কারণ হতে পারে।

মনে রাখবেন রাতে অনেকটা সময় যেন একই ডায়াপার না পরিয়ে রাখা হয়। সাধারণত ৪-৫  ঘণ্টা পরপর ডায়াপার বদলে ফেলা উচিত।

কিছুক্ষণ ডায়াপার ছাড়া থাকা: 

দিনে কিছুক্ষণ সময়  ডায়াপার ছাড়া শিশুকে রাখবেন, এটি র‍্যাশ দ্রুত সমাধান করতে সাহায্য করবে। যখন শিশু টয়লেট করবে তা করার ঠিক পরপর কিছু সময় ডায়াপার ছাড়াই এভাবে রাখতে পারেন।

সঠিক মাপের ডায়াপার পরানো:

বিশেষ করে শিশুদের বেশি ছোটো বা অনেক টাইট  ডায়াপার র‍্যাশের কারণ হতে পারে। শিশুর ডায়াপারটি সঠিক মাপের কি না খেয়াল রাখবেন মা বাবা কে ।

ডায়াপার পরায় এবং পরানোয় পরিচ্ছন্নতা:

১। মনে রাখবেন ডায়াপার বদলানোর আগে ও পরে নিজের হাত ধুয়ে নিবেন।

২। পরিষ্কার পানি বা প্রয়োজনে শিশুর উপযুক্ত বেবিদের সোপ  ব্যবহার করে ডায়াপারের নিচের ত্বক পরিষ্কার করবেন।

৩। মনে রাখবেন বেশি মাত্রার  সুগন্ধি বা অ্যালকোহল যুক্ত বেবি ওয়াইপ ব্যবহার করবেন না  । এতে শিশুর ত্বকের জন্য  ক্ষতিকারক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তার চেয়ে ভেজা রুমাল বা নরম কাপড় ব্যবহার করতে পারেন। এটা নিরাপদ।

৪। আরেকটি ডায়াপার পরানোর আগে জায়গাটি পুরোপুরি শুকনো আছে কি না নিশ্চিত হয়ে ডায়পার পড়ান।

শিশুর ডায়াপার র‍্যাশ

ডায়াপার ্যাশ হলে শিশুর ত্বকে কী ব্যবহার করবেন? 

ডায়াপার র‍্যাশ এর সমস্যার  জন্য ভালো মানের ডায়াপার ক্রিম, বা পেট্রোলিয়াম জেলি বা অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করতে পারেন শিশুর ত্বকে তবে ডাক্তারের পরামশ নিয়ে । ক্রিমের উপকরণে জিংক অক্সাইড থাকলে সেটি র‍্যাশ এর সমস্যা সমাধান  করতে সাহায্য করবে। তবে মনে রাখতে হবে, আবার ভালো মানের পাউডার ব্যবহার করলে খেয়াল রাখবেন যেন শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে না যায়।

শিশুর ডায়াপার র‍্যাশ

কখন ডাক্তার দেখাবেন?

শিশুর ডায়াপার র‍্যাশের সাথে যদি ফোঁড়া হয় বা পুঁজ নির্গত হয়, অথবা ব্যথা বা জ্বর হয় তবে এটি ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সংক্রমণের লক্ষণ হতে পারে অনেক সময় । এছাড়া র‍্যাশ যদি অনেকদিন থেকেই যায়।  সর্তকতা অবলম্বনের পরেও যদি ঠিক  না হয় তবে এসব সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না।

বেশিরভাগ শিশুই কখনো না কখনো ডায়াপার র‍্যাশের সমস্যায় পড়েই থাকে।তাই  সঠিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মাধ্যমে  রাখলে এটি অনেকটাই সমাধান করা  সম্ভব।

 


No comments so far.

Leave a Reply