ডিম খেতে পচ্ছন্দ করেন না, এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। ডিমে খুব সহজেই প্রোটিন পাওয়া যায়। শিশুরাও অন্যান্য খাবারের চেয়ে ডিম বা ডিম দিয়ে তৈরি খাবারই বেশি পছন্দ করে। শুধু খাদ্য হিসেবেই নয়, রূপচর্চা সহায়ক উপাদান হিসেবেও প্রত্যেক গৃহস্থের ঘরে ডিম থাকে।

ডিম দিয়ে তৈরি নানা খাবারের কথা তো আমরা জানি। কিন্তু ডিমের খোসাও যে নানারকম প্রয়োজনে ব্যবহার হয়, তা কি আমরা জানি? ডিমের খোসায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, গ্লুকোসামিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ও কোলাজেন। এই সব যৌগ শরীরের নানা ব্যাধি, মূলত, ব্যথা-বেদনা সরাতে কাজে আসে।

১. ডিমের খোসায় রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম কার্বনেট, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম। বা়ড়ির বাগানে বা কোনও গাছের গোড়ায় ডিমের খোসা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিন। পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচবে গাছ।

২. ত্বক পরিচর্যাতেও ডিমের খোসা খুব কার্যকর। ডিমের সাদা অংশে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিন। আপনার দরকারি ফেসপ্যাক তৈরি হয়ে যাবে। এবার তা মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিটের মতো অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। মুখে পুরনো দাগ বা ব্রণের সমস্যা থাকলে এই প্যাক সহজ সমাধান।

৩. কোনও কারণে চা বা কফি খুব ফুটিয়ে ফেলেছেন? তেতো হওয়ার ভয়ে ফেলে দেবেন না। ডিম ভেঙে তার খোসা ধুয়ে বড় বড় টুকরো করে তা ছড়িয়ে দিন চা বা কফিতে। তারপর আরও একবার ছেঁকে নিন চা। ডিমের খোসার হায়ালুরোনিক অ্যাসিড টেনে নেবে তেতো ভাব।

৪. বাসনের পোড়া দাগ দূর করতেও ডিমকে কাজে লাগান। বাসন ধোয়া সাবানের সঙ্গে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। পোড়া দাগ গায়েব হবে সহজে।

৫. বাত বা গাঁটের ব্যথা কমিয়ে আরাম দেয় ডিমের খোসা। আপেল সাইডার ভিনেগারের সঙ্গে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে দুই দিন রেখে দিন। গলে মিশে যাবে খোসা। এই মিশ্রণ লাগান ব্যথার জায়গায়। ব্যথা কমে যাবে এবং আরাম পাবেন।

৬. ডিমের খোসা সাদা কাপড়কে উজ্জ্বল করতে বেশ সহায়তা করে। একটি কাপড়ে মুড়িয়ে ওয়াশিং মেশিনের ভেতরে ডিমের খোসা দিয়ে ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় ধুয়ে দেখুন। সাধারনের তুলনায় অনেক ভালো কাজ করবে।

 


No comments so far.

Leave a Reply