ফলের রাজা আম। আমাদের দেহে আম রাজার মতোই কাজ করে থাকে। আম শুধুমাত্র একটি সুস্বাধু ফলই নয়, এটি স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমাতে ওষুধের কাজও করে।আমে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন এ বা বিটা ক্যারোটিন।গবেষণায় দেখা গেছে, আম খাওয়ার ফলে স্থুলতা, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এছাড়া ত্বক ও চুলের রঙের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, দেহের শক্তি বৃদ্ধির জন্য, কোলন ক্যান্সার রোধে, হাড় ও হজম শক্তির উন্নত করার ক্ষেত্রে এই ফলের ভূমিকা রয়েছে। আম দিয়ে বিভিন্ন টক ঝাল মিষ্টি আচার , জেলি, মোরব্বা , আমের ফালির আচার আমচুর ও চাটনি, আমের জুস ইত্যাদি করা হয়।
তাই আজ জেনে নিন আমের কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা;
১. আম রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেলের মাত্রা কমায়। ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করে। ক্যানসার কোষকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে।
২. আমে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ প্রোটিন যা জীবাণু থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়।তাই আমের ফালির আমচুরের আচার খেতে পারেন।
৩. পুরুষের যৌনশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীর ফিট রাখে। আমচুরের খেতে পারেন ।
৪. আমে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। চোখের চারপাশের শুষ্কভাবও দূর করে।
৫. ওজন কমাতে চাইলে কাঁচা আম খেতে পারেন। এটি পাকা আমের থেকে অনেক ভালো। কেননা পাকা আমে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে।
৬. আম দেহের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, দুপুরে খাওয়ার পর আম খেলে বিকেলের তন্দ্রাভাব কাটে।
৭. লিভারের সমস্যায় কাঁচা আম খাওয়া উপকারী। এটি বাইল এসিড নিঃসরণ বাড়ায় এবং অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে পরিষ্কার করে।
৮. দেহে নতুন রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে আম।
৯. খনিজ পদার্থ আয়রনের ভালো উৎস আম। অ্যানিমিয়া আক্রান্ত রোগীদের জন্য ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে আম।
১০. সন্তানসম্ভবা নারী এবং মেনোপোজ হওয়া নারীর আয়রনের ঘাটতি পূরণে আম বেশি উপকারী।তাই আমের আচার আমচুর খেতে পারেন।
১১. আম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য খেতে পারেন। আম খেলে পেটের কষাভাব দূর করতে সাহায্য করে।
১২. আয়রন ও সোডিয়ামের ঘাটতি পূরণে বেশ কার্যকরী আম।
১৩ আম খেলে মাড়ির জন্য ভালো। দাঁতের ক্ষয় এবং রক্তপাত রোধ করে। এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
১৪. আম পুরুষের শুক্রাণুর গুণগত মানকে ভালো রাখে।