আমাদের দেশে বিভিন্ন উপাদেয় খাবার তৈরিতে কিশমিশ ব্যবহৃত হয়। তবে খুব বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় না মহাগুণধর এই পণ্যটিকে। কিশমিশ নিয়ে আবার অনেকের ভুল ধারণাও রয়েছে। অথচ এটি আমাদরে শরীরের জন্য খুবই উপকারি উপাদান। তাই প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে। আসুন জেনে নেই কিশমিশের গুণাগুণ। তবে ডা য়াবেটিস রোগীদের জন্য কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস না করাই ভালো। আসুন জেনে নেই কিসমিসের যত উপকারিতাঃ
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে
কিশমিশে রয়েছে বোরন যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। বোরন মনোযোগ বৃদ্ধিতে বিশেষ ভাবে কার্যকর একটি উপাদান। মাত্র ১০০ গ্রাম কিশমিশ থেকে প্রায় ২.২ মিলিগ্রাম বোরন পাওয়া সম্ভব।
উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
কিশমিশের পটাশিয়াম উচ্চ রক্ত চাপে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত সোডিয়াম রক্ত থেকে দূর করে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা প্রতিরোধ করে।
কোলেস্টেরল কমায়
কিশমিশে খারাপ কোলেস্টোরল রয়েছে ০%। এছাড়া কিশমিশের স্যলুবল ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে কোলেস্টেরল সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। ১ কাপ কিশমিশ থেকে প্রায় ৪ গ্রাম পরিমাণে স্যলুবল ফাইবার পাওয়া যায়।
চোখের সুরক্ষা করে
প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস বার্ধক্যজনিত চোখের সমস্যা সমাধান করে। কিশমিশের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেলন ম্যাকুলার ডিগ্রেডেশন প্রতিরোধ করে চোখের সুরক্ষায় কাজ করে।
অ্যাসিডিটি দূর করে
কিশমিশের ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম আমাদের পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিড যা অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি করে তা দূর করতে সহায়তা করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধে সবচাইতে বেশি কার্যকরী। মাত্র ১ টেবিল চামচ কিশমিশ আপনাকে প্রায় ১ গ্রাম পরিমাণ ফাইবার দিতে পারে। এছাড়াও কিশমিশের টারটারিক অ্যাসিড হজম সমস্যা দূর করে পরিপাকতন্ত্রের সুরক্ষা করে।
রক্তস্বল্পতা দূর করে
আমরা সকলেই জানি দেহে আয়রনের অভাবের কারণে রক্তস্বল্পতার সমস্যা শুরু হয়। কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। ১ কাপ কিশমিশে রয়েছে প্রায় ৬ মিলিগ্রাম আয়রন যা আমাদের দেহের প্রায় ১৭% আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম।
দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা করে
অনেকে ভাবতে পারেন কিশমিশে চিনি রয়েছে যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু চিনির পাশাপাশি কিশমিশে রয়েছে ওলিনোলিক অ্যাসিড যা মুখের ভেতরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাঁধা দেয় এবং ক্যাভিটি প্রতিরোধে কাজ করে।