আজ আমাদের জানাবো আমচুরের আচার তৈরির সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া।

আমচুর বা আমের ফলির আচার আমাদের অন্যতম বেস্ট সেলার একটা আচার। বেস্ট সেলার হওয়ার পেছনে যথেষ্ট কারন আছে! রয়েছে আমাদের প্রডাকশন টিমের দিন রাতের পরিশ্রম!

এত আমের ফলি বা আমচুর কিভাবে পাই?

প্রতি বছর কাল বৈশাখী বা মৌসুমি বায়ু পরিবর্তনের কারনে যে ঝড় হয়ে তাহে প্রায় কয়েক হাজার টন আম ঝড়ে পরে।  আর সেই ঝড়ে পরা আম গ্রামের প্রত্যান্ত অঞ্চলে বিক্রি করায় কোন উপায় থাকে না। সেই আম গুলোকে ফালি করে কেটে রোদে শুকানো হয়। এই জন্যেই হয়তো এর নাম হয়েছে আমের ফলি!

সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে সেগুলো বস্থাবন্দি হয়ে চলে আসে ঢাকার নানা আড়তে। আড়তে কিনে এগুলো এক বছরের জন্যে কোল্ড স্টোরেজে রাখা হয়। এর পরই এগুলো আচার বানানোর জন্য উপযুক্ত হয়।

আমাদের কাজ শুরু হয় কোল্ড স্টরেজ থেকে আমের ফলি সংগ্রহ করার সময় থেকে।

ধাপ ১

আমচুর বা আমের ফলি প্রথমে নানা ময়লা, ঘাস, পাতা ইত্যাদি বেছে ফেলে দিতে হয়। এর পর প্রায় ৫ থেকে ৬ বার পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নেই। এর পর একবার গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নেওয়া হয়। এতবার ধোয়ার কারন আমচুর শুকানোর সময় কাদা, বালু ও অন্যান্য ময়লা অনেক সময় মিশে যায়।

amchur-achar আমচুর-আচার@chuijhal.com

ধাপ ২

এর পর আমচুর সিদ্ধ করার পালা। পরিমান মত লবন, চিনি ও পানি দিয়ে আমচুর সিদ্ধ করার জন্য চুলায় বসানো হয়। পানি শুকিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত অনাবড়ত নাড়তে হয়। নহলে তলায় লেগে যেতে পারে। পানি সুকিয়ে গেলে সেদিনের মত কাজ শেষ। পরের দিন প্রয়োজনীয় মসলা এবং তেঁতুলের পাল্প দিয়ে আবার জ্বাল দেওয়া হয় ১ থেকে ২ ঘন্টা।  এই দিনের কাজ শেষ।

 

ধাপ ৩

৩য় দিন আমচুরের রং সম্পূর্ণ কালো আকার ধারন করলে আচারের বিশেষ মশলা দিয়ে নামানো হয়। ঠান্ডা হলে চলে যায় আমাদের প্যাকেজিং ডিপার্টমেন্টে। সেখানে ডিমান্ড অনুযায়ী নানা সাইজের প্যাক করে আমাদের সেলস সেন্টারে চলে আসে।

 

আর এভাবেই চুইঝাল টিম আপনার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে মজাদার আমচুরের আচার সেই ২০১৫ সাল থেকে। আপনারা ভালবাসেন তাই এতটা কষ্ট করে এই আচার বারবার তৈরি করি। সত্যি বলতে আমচুরের আচার বানাতে যে পরিমান খাটুনি তার ৪ ভাগের ১ গাগ দিয়ে অন্য যেকোন আচার বানানো যায়।

 

 


Comments are closed.